জাহান তালিশিন্সকায়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tafhim Mahmud (আলোচনা | অবদান)
"Jahan Talyshinskaya" পাতাটি অনুবাদ করে তৈরি করা হয়েছে
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৯:৩৫, ২০ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জাহান মীর রাজ্জাক কিজি তালিশিন্সকায়া (আজারবাইজানি: কাহন তালিসিন্স্কায়া) (৯ ফেব্রুয়ারী ১৯০৯ লঙ্কাননে - ১ মার্চ ১৯৬৭ জুলাই বাকুতে) ছিলেন একজন আজারবাইজানি লোক সঙ্গীত গায়ক এবং থিয়েটার অভিনেত্রী।

Jahan Talyshinskaya
জন্ম(১৯০৯-০২-০৯)৯ ফেব্রুয়ারি ১৯০৯
Lankaran, present-day Azerbaijan
মৃত্যু১ মার্চ ১৯৬৭(1967-03-01) (বয়স ৫৮)
Baku, Azerbaijan
ধরনFolk
কার্যকাল1927–1949

প্রাথমিক কর্মজীবন 

তিনি লাংকারান এর একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করন। (মাতৃসূত্রে তিনি ছিলেন জেনারেল সামাদ বে মেহমানদারভ এর ভাগ্নী)। তালিশিন্সকায়া প্রথমে মারয়াম বায়ারামালিবেয়োভা এর ইউএনএস স্কুলে ভর্তি হন এবং পরবর্তীতে নয় বছর বয়সে বাকুতে এসে আজারবাইজানি বালিকা সেমিনারিতে যোগ দেন।তার বড় বোন বিলিজিসের বাসায় থাকাকালীন তিনি পিয়ানো এবং টার বাজান। কিভাবে  তা বাজাতে হয় তা তিনি কোন পেশাগত নির্দেশনা ছাড়াই শিখেন। ১৯৩৪ সালে তাঁর সুন্দর কন্ঠ এবং সঙ্গীতের জন্য তিনি অপেশাদারী মুঘাম সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন, তিনি আজারবাইজান ফিলহরমনিস সোসাইটির একজন একক গায়িকা হয়ে ওঠেন। তিনি লোকগীতির নমুনা সংগ্রহের জন্য আজারবাইযানের দূরবর্তী গ্রামাঞ্চলে ভ্রমণ করেন, যা পরবর্তীতে প্রথমবারের মতো সর্বজনীনভাবে পরিবেশিত হয়। ১৯৩৬ সালে তিনি মস্কো, সেন্ট পিটার্সবার্গে এবং কিয়েভের এ সঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য কনসার্ট এর আয়োজন করেন এবং একটি গ্র্যামোফোন রেকর্ড প্রকাশ করেন।[১]

নির্বাসন এবং পরবর্তী জীবন 

স্ট্যালিন পারগেসের সময় ১৯৩৭ সালে তাঁর প্রাক্তন স্বামী, ভাই, বোন এবং দুই ভাইয়ের গ্রেফতার এবং নির্বাসন হওয়ার পর, ট্যালিশিন্সকায়া সরকার কর্তৃক সন্দেহভাজনদের তালিকাভুক্ত হন, কখনও কখনও তাঁর পর্যটনে যাওয়ার জন্যও অনুমতি দেওয়া হতো না। ১৯৪০ সালে আজারবাইযানের একটি সম্মানিত শিল্পী হিসাবে স্বীকৃতি থাকা সত্ত্বেও, তালিশিন্সকায়া এবং তার চৌদ্দ বয়সী ছেলে নাজিমকে অবশেষে ১৯৪২ সালে "জনগণের শত্রু" হিসেবে ভূষিত করে কাজাখস্তানে এবং পেত্রোপাভলোভস্ক এ নির্বাসিত করে দেয়। পরে তাকে টাস্কেন্ট, উজবেকিস্তান এ স্থায়ীভাবে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয় যেখানে তিনি স্থানীয় ফিলহারামনিক সমাজে তার কর্মজীবন অব্যাহত রাখেন। তিনি ইউএসএসআর কাউন্সিল অফ আর্টস কমিটির সদস্য এবং সংস্কৃতি ভ্লাদিমির সুরিনের উপ উপমন্ত্রী ছিলেন যিনি  মস্কোতে পপ সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় প্রথম টালিশিন্সানাকে চিনছিলেন, যেখানে তিনি ১৯৩৮ সালে অংশগ্রহন করেন এবং জয় লাভ করেন। সুরিনের অনুমতি পেয়ে তিনি তিনি তিব্বিলিসি এবং জর্রজিয়াতে আজেরি নাটক থিয়েটারে নাটক পরিবেশনার জন্য তাশকেন্ট ত্যাগ করেন,  এবং পরবর্তীতে আজারবাইজান মিউজিক্যাল কমেডি থিয়েটারে (পরিচালক শামসী সিল্যাবলাইলি এর আশ্বাসে) কাজ করার জন্য তাসখন্দ ছেড়ে দেন, যেখানে তিনি একটি অসামান্য কমেডি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। ১৯৪২ সালে তাঁর মামলা প্রত্যাহার করা হয় এবং দ্বিতীয়বারের জন্য তাকে কেন্দ্রীয় এশিয়াতে নির্বাসিত করা হয়। তালিশিন্সকায়া ও তার পুত্র সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী জোসেফ স্ট্যালিনের মৃত্যুর অল্প সময়ের মধ্যেই বহিষ্কৃত হন, কিন্তু ১৯৬৬ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তাঁদের বাড়ি ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত তাঁরা তাশখন্দে বসবাস করতে থাকে। তারা অবিলম্বে বাকু ফিরে যেখানে  একটি বছর পর পিয়ানো বাজানো সময় জাহান তালাশিন্সকায়া হার্ট ফেইল কত্রে মারা যান। 


তথ্যসূত্র 

  1. (আজারবাইজানি) The Voice of Happiness and Optimism: Jahan Talyshinskaya by Afruz Mammadova. Musigi-dunya.az