নামাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Afifa Afrin (আলোচনা | অবদান) 103.243.83.2 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল। (টুইং) |
|||
১ নং লাইন:
{{ইসলামী আক্বিদাহ}}
[[File:Salat Positions and Prayers - transparent background - RGB.jpg|thumb|নামাজের প্রধান চারটি আসন এবং সম্পর্কিত দোয়া দুরুদ।]]
'''নামায''', '''নামাজ''' ({{lang-fa|نَماز}}) বা '''সালাত''' হল [[ইসলাম ধর্ম|ইসলাম ধর্মের]] প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ [[ওয়াক্ত]] (নির্দিষ্ট নামাযের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক
'''নামায''' শব্দটি [[ফার্সি ভাষা]] থেকে উদ্ভূত ({{lang-fa|نماز}}) এবং [[বাংলা ভাষা]]য় পরিগৃহীত একটি শব্দ যা [[আরবি ভাষা]]র '''সালাত''' শব্দের ({{lang-ar|صلاة}}, কুরআনিক আরবি: صلوة,) প্রতিশব্দ। [[বাংলা ভাষা]]য় 'সালাত'-এর পরিবর্তে সচরাচর 'নামাজ' শব্দটিই ব্যবহৃত হয়। [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]], [[উর্দু ভাষা|উর্দু]], [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]], [[তুর্কী ভাষা|তুর্কী]] এবং [[বাংলা ভাষা]]য় একে নামায (ফার্সি ভাষা থেকে উদ্ভূত) বলা হয়। কিন্তু এর মূল আরবি নাম '''সালাত''' (একবচন) বা '''সালাহ্''' (বহুবচন)।
৮ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
ইসলামের বিভিন্ন বর্ননা অনুযায়ী [[মুহাম্মাদ]] (সা.) ৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন এবং অব্যবহিত পরে সূরা মু’মিন-এর ৫৫ নম্বর আয়াত স্রষ্টার পক্ষ থেকে সকাল ও সন্ধ্যায় দৈনিক দুই ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ (আবশ্যিক) হওয়ার নির্দেশনা লাভ করেন। তিনি ৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে সকাল, সন্ধ্যা ও দুপুরে দৈনিক তিন ওয়াক্ত নামাজের আদেশ লাভ করেন। ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৭শে রজব তারিখে মিরাজের সময় পাঁচওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। উল্লেখ্য যে, এ সময়
== শর্ত ==
কারো ওপর নামাজ ফরয হওয়ার জন্য শর্তগুলো হলোঃ-
*
* সাবালক হওয়া এবং
* সুস্থ মস্তিস্কের হওয়া।
২৬ নং লাইন:
নামাযের ফরজ মোট ১৩ টি। আহকাম ৬ টি। আরকান ৭ টি। নামাযের বাহিরের কাজগুলিকে আহকাম বলে। আর নামাযের ভিতরের কাজগুলোকে আরকান বলে।
====আহকাম====
১. শরীর পাক ২. কাপড় বা বস্ত্র পাক ৩. বিছানা(যেখানে নামায পড়া হবে) পাক ৪.
====আরকান====
১. তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলে নামায শুরু করা ২. দাঁড়িয়ে নামায পড়া ৩. আলহামদুর সাথে
== নামাজের নিয়ম ==
৩৬ নং লাইন:
== নামাযের ওয়াক্ত ও রাকাত ==
[[চিত্র:Salattimes.jpg|thumb|right||350 px|১ ফযর, ২ যোহর, ৩ আসর, ৪ মাগরিব, ৫ ইশা]]
প্রতিদিন একজন
উপরোক্ত ৫ টি ফরজ নামায ছাড়াও
কোন ওয়াক্ত-এর নামাজ কয় রাকাত তা দেয়া হল :
৫৬ নং লাইন:
|-
| [[যোহরের নামাজ|
| ঠিক দুপুর থেকে আসরের পূর্ব পর্যন্ত
| ৪ রাকাত<sup>১</sup>
৭৫ নং লাইন:
| ২ রাকাত<sup>১</sup>
|-
| [[ইশার নামাজ|
| গোধূলি থেকে ঊষা<sup>৪</sup>
| ৪ রাকাত
৮৪ নং লাইন:
<sup>১</sup> সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত [[মুহাম্মদ]] (সা.) প্রতিদিন এ নামাজগুলো পড়তেন।
<sup>২</sup>শুক্রবারে
এশা নামাজ আদায় করার পর বেজোড় সংখ্যক রাকাত বিতর এর ওয়াজিব নামাজ আদায় করতে হয়।
৯০ নং লাইন:
== বিশেষ নামাজ: ==
* তাহাজ্জুদের নামাজ। এশা'র পর এবং ফজরের আগে এই নামাজ পড়তে হয়।
* তারাবীহ্ এর নামাজ : শুধু মাত্র রমজান মাসে এই নামাজ পড়তে হয়।
* [[জানাযা|জানাযার নামাজ]] : কোন মুসলমান মারা গেলে, মৃত দেহ [[কবর]] দেওয়ার আগে এই নামাজ পড়তে হয়। জানাযার নামাজ ফরযে
* ঈদের নামাজ। প্রতি ঈদে দুই রাকাত করে নামাজ পড়া ওয়াজিব।
|