কমল হাসান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
প্রতিভা মনির (আলোচনা | অবদান)
প্রতিভা মনির (আলোচনা | অবদান)
২৩ নং লাইন:
শিশুশিল্পী হিসেবে কমল হাসান অভিনয় শুরু করেন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বিমসিং পরিচালিত [[তামিল চলচ্চিত্র]] কালাথুর কান্নাম্মায় (১৯৬০) প্রথম অভিনয় করেন। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর জাতীয় পুরস্কার জিতে ছিলেন এ ছবিতে অভিনয় করে। এ পর্যন্ত তিনি নায়ক, ভিলেন, জোকারসহ বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এমনকি কাজ করেছেন নারী চরিত্রেও। এ পর্যন্ত তিনি তামিল, হিন্দি, বাংলা, তেলেগু, কন্নড়, মালয়ালাম প্রভৃতি ভাষায় প্রায় দুই শর মতো ছবিতে অভিনয় করেন। কমল হাসান অভিনীত অধিকাংশ ছবির ভাষা [[তামিল]]। অনেকের মতে, কমল হাসানের বেশির ভাগ ছবির ভাষা তামিল হওয়ায় তিনি [[অমিতাভ বচ্চন]] বা [[শাহরুখ খান|শাহরুখ খানের]] মতো জনপ্রিয়তা পাননি।
 
বিশ্ববিখ্যাত [[টাইম (সাময়িকী)|টাইম ম্যাগাজিন]] কর্তৃক নির্বাচিত সেরা ১০০ ছবির তালিকায় কমল হাসান অভিনীত নায়াগন (১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত [[তামিল ভাষা|তামিল ভাষার]] চলচ্চিত্র) ছবিটি রয়েছে। এ পর্যন্ত তাঁর অভিনীত সাতটি ছবি বিদেশি ভাষার ছবির ক্যাটাগরিতে [[একাডেমি পুরস্কার]] (অস্কার) মনোনয়নের জন্য পাঠানো হয়। একজন ভারতীয় অভিনেতার জন্য এটা সর্বোচ্চ। কমল হাসান [[সাগর (১৯৮৫ চলচ্চিত্র)|সাগর]] (১৯৮৫, হিন্দি) ছবিতে রাজা চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতার ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। এ ছাড়া কমল হাসান অপূর্ব সাগোধারারগাল (১৯৮৯, তামিল) ছবিতে তিনটি, মাইকেল মাধান কামারাজান (১৯৯১, তামিল) ছবিতে চারটি এবং দসাবতারম (২০০৮, তামিল) ছবিতে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় বেকারত্ব নিয়ে সাড়া জাগানো তামিল চলচ্চিত্র '''[[ভারুমায়িন নিরাম ছিভাপ্পু]]''' যেখানে কমল রঙ্গন নামের এক শিক্ষিত বেকার তরুণের চরিত্রে অভিনয় করেন , ছবিটি বানিয়েছিলেন খ্যাতনামা পরিচালক [[কে. বলচন্দ]] । এছাড়াও তিনি পি. ভারতীরাজার ১৬ ভায়াথিনিলে (১৯৭৭, তামিল) এ প্রতিবন্ধী 'ছাপ্পানি' এর চরিত্র, [[ছিগাপ্পু রোজাক্কাল]] (১৯৭৮, তামিল) এ মানসিক রোগী নারী বিদ্বেষী দীলিপের চরিত্র এবং [[টিক টিক টিক (চলচ্চিত্র)|টিক টিক টিক]] (১৯৮১, তামিল) এ এক ফটোগ্রাফারের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান । কমলের প্রথম হিন্দি ছবি ছিল 'এক দুজে কে লিয়ে' (১৯৮১), যেটি ছিল ব্যাপক ব্যবসাসফল । এছাড়া ১৯৭৫ এর তামিল চলচ্চিত্র [[অপূর্ব রাগাঙ্গাল]] যেখানে তিনি তার চেয়ে বয়স্ক এক নারীর প্রেমে পড়েন, ওরু উধাপ্পু কান ছিমিত্তুগিরাধু (১৯৭৬, তামিল), ১৯৭৭ এর [[আভারগাল]] (তামিল), ১৯৭৮ এর ইলামাই উঞ্জাল আদুকিরাথু (তামিল) এবং আভাল আপ্পাদিথান (তামিল), ১৯৮০ এর [[উল্লাসা পারাভাইগাল]] (তামিল), ১৯৮২ এর [[মুনড্রাম পিরাই]] (তামিল), ১৯৮৫ এর [[কাক্কী ছাট্টাই]] (তামিল), ১৯৯৪ এর নাম্মাভার (তামিল), ১৯৯৬ এর [[আভভাই শানমুগি]] (যেখানে তিনি নারী চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, তামিল), ২০০৩ এর [[আনবে ছিভাম]] (যেটি নাস্তিকবাদ ও মানবতাবাদ নিয়ে তৈরী, তামিল), ২০০৯ এর উন্নাইপোল ওরুভান (হিন্দি চলচ্চিত্র 'এ ওইনেসডে' এর পুনঃনির্মাণ যেটি ২০০৮ এ মুক্তি পেয়েছিল, তামিল), জঙ্গীবাদ নিয়ে নির্মিত বিশ্বরুপম (২০১৩, তামিল) তার অভিনীত গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র । কমল অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছিল ১৯৮৩ এর 'সাদমা' যেটি ছিল '৮২ এর তামিল চলচ্চিত্র [[মুনড্রাম পিরাই]] এর পুনঃনির্মাণ, '৮১ এর 'এক দুজে কে লিয়ে', 'সনম তেরি কসম' (১৯৮২), '৮৫ এ মুক্তি পাওয়া '[[সাগর (১৯৮৫ চলচ্চিত্র)|সাগর]]' এবং 'গিরাফতার' ।
 
==ব্যাক্তিগত জীবন==