হেমন্ত মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''হেমন্ত মুখোপাধ্যায়''' (১৬ জুন ১৯২০ খ্রিস্টাব্দ - ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ) একজন খ্যাতিমান [[বাঙালি]] কণ্ঠশিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক এবং প্রযোজক ছিলেন। তিনি হিন্দি সঙ্গীতজগতে '''হেমন্ত কুমার''' নামে প্রসিদ্ধ। ভারতীয় কণ্ঠ সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে যাঁদের স্পষ্ট স্বরক্ষেপণের আওয়াজ শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে যুগে যুগে, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ছিলেন তাঁদের মধ্যে অগ্রগণ্য।

শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্ম [[বারাণসী]]র পবিত্র শহরে। তাঁর পরিবার [[কলকাতা]]য় আসে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে‌। হেমন্ত ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ছিলেন। সেখানেই তাঁর সাথেসঙ্গে পরিচয় হয় কবি [[সুভাষ মুখোপাধ্যায় (কবি)|সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের]]। ইন্টারমিডিয়েট পাশপাস করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। কিন্তু তিনি সঙ্গীতের জন্য আপন শিক্ষা ত্যাগ করেন। তাঁর সাহিত্যিক হবার ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন তিনি [[দেশ (পত্রিকা)|দেশ]]পত্রিকার জন্যে লেখেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীতজগতেসঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন।

হেমন্তের ছোটবেলা কাটে তিন ভাই এবং এক বোন নীলিমার সাথে।সঙ্গে। বড়বড়ো ভাই তারাজ্যোতি ছোটগল্পছোটো গল্প লিখতেন। ছোটভাইছোটো ভাই অমল মুখোপাধ্যায় কিছু বাংলা ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন এবং ১৯৬০গত এরশতাব্দীর ছয়ের দশকে কিছু গান ওগানও গেয়েছিলেন।

১৯৪৫ সালেখ্রিস্টাব্দে হেমন্তের সাথেসঙ্গে বেলা মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ হয়। ১৯৪৩ সালেখ্রিস্টাব্দে বাংলা ছায়াছবি "'কাশীনাথ"'-এ সঙ্গীতপরিচালকসঙ্গীত পরিচালক পঙ্কজ মল্লিক বেলাকে দিয়ে কিছু জনপ্রিয় গান গাইয়েছিলেনগাইয়েছিলেন। কিন্তু বিবাহের পর বেলা আর সঙ্গীতজগতেসঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেননি।

হেমন্তরহেমন্তের দুই সন্তান—পুত্র জয়ন্ত ও কন্যা রাণু। রাণু মুখোপাধ্যায় ১৯৬০-৭০ এখ্রিস্টাব্দে গান গাইতেন।

শৈলেশ দাসগুপ্তরদাশগুপ্তের সাহায্যে হেমন্তর প্রথম গান করেন ১৯৩৫ সালে।খ্রিস্টাব্দে। প্রথম গান ''আমার গানেতে এল নবরূপী চিরন্তন'' রেকর্ড করেন। এএই গানটি সেরকম জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। এরপর ১৯৩৭ সালেখ্রিস্টাব্দে তিনি গ্রামোফোন রেকর্ড Columbia'কলম্বিয়া' লেবেলে ''জানিতে যদি গো তুমি'' ওএবং ''বলো গো বলো মোরে'' গানগুলো করেন।গেয়েছেন। গান দুটো নরেশ ভট্টাচার্যের লেখা ও শৈলেশ দাসগুপ্তরদাশগুপ্তের সুর করা। এরপর থেকে প্রতি বছর তিনি গ্রামোফোন কঃকোম্পানি অব ইন্ডিয়ার জন্য গান রেকর্ড করেছেন। ১৯৪০ সালেখ্রিস্টাব্দে সঙ্গীতপরিচালকসঙ্গীত পরিচালক কমল দাসগুপ্তদাশগুপ্ত হেমন্তকে দিয়ে ফাইয়াজফইয়াজ হাস্মিরহাসমির কথায় ''কিতনা দুখ ভুলায়া তুমনে'' ওএবং ''ও প্রীত নিভানেভালিনিভানেওয়ালি'' গাওয়ান। প্রথম ছায়াছবির গান তিনি গেয়েছেন "নিমাই সন্ন্যাস" ছবিরছবিতে। বিগত শতকের আটের দশকে কলকাতার রবীন্দ্র সদনে এক অনুষ্ঠানের ফাঁকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে একজন একান্ত অনুরাগীর প্রশ্ন ছিল : "কোন্ গান আপনার নিজের ভালো লাগে ?" তাঁর উত্তর ছিল : "রবীন্দ্র সঙ্গীত"। আক্ষরিক অর্থেই হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অতি জনপ্রিয় রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পীদের একজন ছিলেন। জন্যে।

* এই রাত তোমার আমার, ঐওই চাঁদ তোমার আমার…শুধু দুজনে

[[বিষয়শ্রেণীবিষয়শ্রেণি:১৯২০-এ খ্রিস্টাব্দে জন্ম]]

[[বিষয়শ্রেণীবিষয়শ্রেণি:১৯৮৯-এ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যু]]

[[বিষয়শ্রেণীবিষয়শ্রেণি:বাঙালি কণ্ঠশিল্পী]]

[[বিষয়শ্রেণীবিষয়শ্রেণি:রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী]]

[[বিষয়শ্রেণীবিষয়শ্রেণি:ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক]]

[[বিষয়শ্রেণীবিষয়শ্রেণি:ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী]]