সূরা মুনাফিকুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rafiqul-Islam (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৩০ নং লাইন:
== নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান ==
{{কুরআন}}
মুহাম্মদ ইবন ইসহাক এর বর্ণনা অনুযায়ী এই সূরা ৬ষ্ট হিজরীতে নাজিল হয়। কাতাদাহ এরম ত অনুযায়ী ৫ম হিজরীতে অবতীর্ণ হয়। রাসুলে কারীম (সা) সংবাদ পেলেন যে , উম্মুল মোমীনুন হযরত যোয়াইরিয়ার পিতা , বনী মোস্তালিক গোত্রের প্রধান হারিস ইবন যিরার তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহন করছে। এরপর তিনি জিহাদেও জন্য বের হন। তাঁর সাথে মুনাফিকরাও অংশ গ্রহন কওে গনীমতের মাল লাভের আশায়। মুরাইসী নামক স্থানে একটি কুপের কাছে হারিস বাহিণীর সাথে যুদ্ধ হয় এবং মুসলমানেরা জয়লাভ করে। তাদের বহু আহত হয়। অনেকই বন্দী হন এবং গনীমতের মাল লাভ হয়। সে সময় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। একজন মুহাজির ও আনসারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে মুহাজির অন্য মুহাজিরদেরকে এবং আনসার অন্য আনসারদেরকে ডাকে। রাসুলে কারীম (সা) এটা শোনার পর উভয়কে ভতসনা করেন। মুহাজির সাহাবীর ভুল ছিল কারণ সে সিনান ইবন ওযরা আনসারীকে আহ করেন। হযরত উবদিাহ ইবন সামিত বুঝিয়ে তাকে মাফ করিয়ে নেন। আব্দুল্লাহ ইবন উবাই এই ঘটনা শোনার পর সে মুহাজির ও আনসারদের মাঝে দীর্ঘমেয়াদীসংঘাত সৃষ্টির জন্য আনসারদেরকে এই বলে উত্তেজিত করার চেষ্টা কওে যে, তোমরাইতো তাদেরকে অর্থ দিয়ে নিজের ঘর দিয়ে বউ দিয়ে সাহায্য করেছো। এখন তোমাদেও কাজ হচ্ছে সন্মানীয়রা মদীনায় গিয়ে এসব বাজে লোকদের বের করে দিবে।
يَقُولُونَ لَئِن رَّجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الْأَعَزُّ مِنْهَا الْأَذَلَّ وَلِلَّهِ الْعِزَّةُ وَلِرَسُولِهِ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَلَكِنَّ الْمُنَافِقِينَ لَا يَعْلَمُونَ)
 
হযরত যায়েদ ইবন আরকাম এই কথা শোনার পর বলল তুই ঘৃণিত এবং মহানবী (সা) মহাসন্মানীত। ইবন ইবাই ততক্ষনাত কথা ঘুরিয়ে বলল আমি এই কথা হাসির ছলে বলেছি। কিন্তু যায়েদ ইবন আরকাম পুরো ঘটনা রাসুলে কারীম (সা)কে শোনালেন। এই বিষয়টি সকল সাহাবার কাছে পৌছে গেল। এদিকে আনসাররা ইবন আরকামকে তিরষ্কার করতে লাগলো যে তুমি সম্প্রদায়ের নেতার বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছো। অপরদিকে হযরত ওমর এসেবললো ইয়া রাসুলাল্লাহ আমাকে অনুমতি দিন আমি তার মাথা দ্বিখন্ডিত করি। রাসুল (সা) বললেন এটা করা হলে বলাবলি হবে যে আমি আমার সাহাবা হত্যা করি। ইবন ইবাই এর ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ এই বিষযটি জানার পর আরয করেন ইয়া রাসুলাল্লাহ আপনি আমাকে আদেশ করুণ। কিন্তু তিনি বলেন, তাকে হত্যা করার ইচ্ছা আমার নাই।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সাহাবাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হওয়ায় রাসুলে কারীম (সা) অসময়ে সফর শুরু করেন। পুরো দিন ও রাত চলার পর পরের দিন সুর্য উদয়ের পর তিনি এক স্থানে যাত্রা বিরতি করলেন। ইবাদাহ ইবন সামেত ইবন উবাইকে অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনার কথা বলেন।
وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا يَسْتَغْفِرْ لَكُمْ رَسُولُ اللَّهِ لَوَّوْا رُؤُوسَهُمْ وَرَأَيْتَهُمْ يَصُدُّونَ وَهُم مُّسْتَكْبِرُونَ (- سَوَاء عَلَيْهِمْ أَسْتَغْفَرْتَ لَهُمْ أَمْ لَمْ تَسْتَغْفِرْ لَهُمْ لَن يَغْفِرَ اللَّهُ لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ
 
রাসুল (সা) ইবন উবাইকে তার উক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে কসম খেয়ে অস্বীকার করে। এরপর সকলেই মনে করল সম্ভত ইবন আরকাম ভুল বুঝেছে। রাসুলে কারীম (সা) ইবন উবাই এর কথা কবুল করে নিলেন। যায়েদ ইবন আরকাম মন খারাপ করল কিন্তু তার বিশ্বাস ছিল যে আল্লাহ অহী নাযিল করবে। এই জন্য সে আল্লাহর রাসুলের আশ পাশে থাকতো। কিছুদুর পথ চলার পর অহী নাযিল হলো। রাসুল (সা) যায়েদ ইবন আরকাম এর কান ধরে বলল , হে যু¦ক আল্লাহ তোমার কথার সত্যায়ন করেছে।মদীনার নিকট পৌছার পর আব্দুল্লাহ তার পিতার উটনীকে বসিয়ে দিয়ে পথরোধ কওে রাখে। আর বলে তুমি মদীনায় পৌছতে পারবেনা যে পর্যন্তনা তোমার কথার ব্যাখ্যা না করবে। সাহাবারা পুত্র আব্দুল্লাহকে তিরষ্কার করে কিন্তু সে অটল ছিল। অশেষে রাসুলে কারীম (সা) ঐ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় ইবন উবাই বলতে লাগলো, ’ আমি তো ছেলে পেলে ও নারীদের চেয়ে লাঞ্চিত। অতপর রাসুলে কারীম (সা) বললেন তার পথ ছেড়ে দাও। তাকে মদীনায় যেতে দাও।
 
== আয়াত সমূহ ==