জেলা প্রশাসক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Nazmul.dubd (আলোচনা | অবদান)
2001:D08:2080:90:78A4:3E49:FAA0:3C4A (আলাপ)-এর সম্পাদিত 2775439 নম্বর সংশোধনটি ব...
১ নং লাইন:
{{পুনর্নির্দেশ|ডিসি}}
গণপ্রজাতন্ত্রী'''জেলা প্রশাসক''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] সংবিধানমতে[[বাংলাদেশের জেলা|জেলার]] প্রধান প্রশাসনিক একাংশ যাররাজস্ব প্রধানকর্মকর্তা।<ref name="বাংলাপিডিয়া">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=ডেপুটি কমিশনার |url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=ডেপুটি_কমিশনার |website=[[বাংলাপিডিয়া]]|accessdate=৩০ জানুয়ারি ২০১৭}}</ref> তিনি একাধারে জেলা প্রশাসক।প্রশাসক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(District Magistrate), জেলা কালেক্টর (District Collector)ও ডেপুটি কমিশনার(Deputy Commissioner)। ফলে তিনি একইসাথে আইনশৃঙ্খলা, ভূমিপ্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় এবং সাধারণ ও স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। জেলা প্রশাসক জেলাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানমতে বাংলাদেশ মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার হওয়ায় জেলা প্রশাসকগণ জেলাতে জাতীয় সরকারের প্রতিনিধি। জেলা প্রশাসক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও [[বিভাগীয় কমিশনার|বিভাগীয় কমিশনারের]] নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে কাজ করেন। তিনি ঐ জেলার সবকিছুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট জবাব্দিহি করেন। তিনি সরাসরি সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে যোগাযোগকারী ক্ষমতাপ্রাপ্ত জেলার একমাত্র কর্মকর্তা। তিনি [[বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস| বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের]] প্রশাসন ক্যাডারের জেষ্ঠ পর্যায়ের সদস্য ও সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ আমলা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডার হতে পদোন্নতিপ্রাপ্ত সরকারের উপসচিবগণের মধ্য হতে জেলা প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। Warrant of Precedence, 1986 অনুসারে উপসচিব এর পদমর্যাদার ক্রম ২৫ হলেও জেলা প্রশাসকের পদমর্যাদার ক্রম ২৪। তবে জেলা প্রশাসক জেলারশব্দটি সার্বিকডেপুটি বিষয়াদিকমিশনার সমন্বয়শব্দের করেন।বঙ্গানুবাদ নয়, বরং দুটো আলাদা পরিচিতিকে নির্দেশ করে। বর্তমান বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় জেলা প্রশাসক একাধারেশব্দটির জেলাসর্বব্যাপী ম্যাজিস্ট্রেটপ্রয়োগ সুপ্রতিষ্ঠিতভাবে ডেপুটিলক্ষ কমিশনার।সমাজকরা সেবাযায়। বিশেষত জনহিতকরসরকারী দপ্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাধ্যতামূলকভাবে গৃহীত হওয়ার কারণে কেবলমাত্র ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাজের বিষয়েক্ষেত্রেই তিনিনয়, জেলারকালেক্টর প্রধান।বা বাণিজ্যডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট ব্যাবসাবা সংক্রান্তডেপুটি বিষয়েকমিশনারের জেলারসামগ্রিক প্রধানকাজের অধিকর্তাক্ষেত্রে তিনি।একক তিনিবাংলা জেলারপ্রতিশব্দ হিসেবে জেলা প্রশাসক এর চিফব্যবহার অবপ্রায়োগিক প্রটোকল।ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট : সরকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে জেলা প্রশাসককেই ক্ষমতা প্রদান করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলার জাস্টিস অব দ্যা পিস। তিনি জেলার আইন-শৃংখলার জন্য জবাবদিহি করেন। জেলা কারগারে বা পুলিশ হেফাজতে রক্ষিত সকল নাগরিকের দায় তার উপর বর্তায়। তবে ১৯৭৫ সালের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ রহিত করা হয়। বর্তমানে অপরাধের তাতক্ষণিক বিচার ও প্রতিবিধান করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এটি পুরাতন পদ্ধতি। তিনি জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভাপতি। তিনি জেলা আনসারের প্রধান কমান্ডিং অফিসার।
ডিসি (ডেপুটি কমিশনার): জেলার ভূমি সংক্রান্ত বিষয়াদির ক্ষেত্রে ডেপুটি কমিশনার তথা ডিসি'র দ্বায়িত্ব জেলা প্রশাসক পালন করেন। ফলে জেলা প্রশাসক ডিসি হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত। পূর্বে এই পদটির নাম ছিল ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর অর্থাৎ জেলা পর্যায়ে রাষ্ট্রের সকল পাওনাদি কালেক্ট করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করেন। বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভুমি রাজস্ব বিষয়াদি দেখে থাকেন।
জেলাপ্রশাসকের অফিস: প্রত্যেক জেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় আছে। এই কার্যালয় জেলার সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের যোগাযোগ মাধ্যম। জেলাপ্রশাসকের দপ্তর পরিচালনার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, এনডিসি, আরডিসি, আর আআর ডিসি, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, ইত্যাদিসহ সহকারি কমিশনার আছেন। এই কার্যালয়ে বিচার, আইন শৃংখলা, জেলার সাধারন বিষয়াদি তথা সরকারের যত মন্ত্রণালয় ও বিভাগ আছে প্রত্যেক কাজ করে থাকে।
জেলা প্রশাসকের কার্যাবলী :
জেলা প্রশাসক কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় কাজ জেলা পর্যায়ে করে থাকে। জেলায় অবস্থিত প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অফিস জেলা প্রশাসনের অংশ এবং জেলা প্রশাসকের সাধারন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। নির্বাচনের কাজও জেলা প্রশাসক করে থাকে। জেলা পর্যায়ে এনজিও বিষয়ে কার্যাদি সম্পন্ন করেন।
আইন শৃংখলা, অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবসা বাণিজ্য, চিকিতসা, বিনোদন, শিক্ষা, বিজ্ঞান, কর্মসংস্থান, নারী ও শিশু, ধর্ম, পাঠাগার, দূর্যোগ ও ত্রাণ, কৃষি, প্রাণি, সার ও বীজ ইত্যাদি বিষয়ে সমন্বিত কাজ করেন। স্থানীয় পর্যায়ের সার্বিক অবস্থা সরকারকে অবহিত করেন, সমস্যার সমাধান দেন। তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা সাধারনভাবে সকলের কর্তব্য। তিনি গুরিত্বপূর্ণ বিষয়াদি সরকারের নজরে আনেন, জেলার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে প্রতি পনেরদিন অন্তর পাক্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট প্রেরণ করেন। তার সুপারিশে সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে। ডিউটিজ অব চার্টার অব ডেপুটি কমিশনার অনুযায়ি ১২০ টি কমিটির সভাপতি তিনি। এসব কমিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে।
 
== ইতিহাস ও উৎপত্তি ==