বাগর্থবিজ্ঞান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Eurodyne (আলোচনা | অবদান)
116.58.203.12-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে 79.79.161.52-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
১ নং লাইন:
{{ভাষাবিজ্ঞান}}
গভীর
'''শব্দার্থবিদ্যা''' ({{lang-en|Semantics ''সেম্যান্টিক্‌স''}}) [[ভাষা|ভাষাতে]] অর্থ বিষয়ক গবেষণা। একে '''শব্দার্থতত্ত্ব''', '''অর্থতত্ত্ব''', ইত্যাদি নামেও বাংলায় ডাকা হয়।
 
আপাতদৃষ্টিতে অর্থকে বেশ অস্পষ্ট, বিমূর্ত, ধরা-ছোঁয়ার বাইরের একটি বস্তু বলে মনে হতে পারে। তবে শব্দার্থবিদরা ভাষার ব্যবহার নিয়ে অত্যন্ত সচেতনভাবে চিন্তা করেন যাতে তাঁরা অর্থ সম্পর্কে কিছু নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেন।
 
শব্দার্থবিদরা অর্থকে দুইটি প্রধান ভাগে ভাগ করেন: বক্তার অর্থ, এবং শব্দার্থ/বাক্যার্থ। বক্তার অর্থ বলতে কোন বক্তা কোন একটি ভাষাংশ ব্যবহারের মাধ্যমে আসলে কী বোঝাতে চাচ্ছেন তাকে বোঝায়; বক্তার অভিব্যক্তি-ই এখানে মুখ্য। অন্যদিকে শব্দার্থ/বাক্যার্থ বলতে কোন ভাষার শব্দ বা বাক্যের সমতুল কোন কিছুকে বোঝায়; অর্থাৎ এটি শব্দ বা বাক্যটির আভিধানিক অর্থ।
 
একই বাক্য বা শব্দ ভিন্ন ভিন্ন বক্তা পরিস্থিতিভেদে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে প্রয়োগ করতে পারেন। এমনকি কোন কোন বাক্যের আক্ষরিক অর্থ স্ববিরোধী বা অবাস্তব হলেও ঐ বাক্যগুলির মাধ্যমে বক্তা কোন অনুভূতি অপরের কাছে প্রকাশ করতে পারেন। শব্দার্থবিদরা চেষ্টা করেন বিধিসম্মতভাবে এই ঘটনাগুলি ব্যাখ্যা করতে। তাঁরা রসায়ন, ভূ-বিজ্ঞান ও অন্যান্য ভৌত বিজ্ঞানের মত অর্থ সম্পর্কিত তত্ত্ব দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন। তাঁরা অর্থ সম্পর্কে কতগুলি সুনির্দিষ্ট, পরস্পর-সম্পর্কিত, সাশ্রয়ী সংজ্ঞা ও বিবৃতি গঠন করার চেষ্টা করেন, যেগুলি ভাষাতে অর্থ সম্পর্কিত বিপুল পরিমাণ সাধারণ তথ্য (fact) ব্যাখ্যা করতে সক্ষম। দেখা গেছে, বিভিন্ন ভাষার অর্থ সম্পর্কিত প্রাথমিক তথ্য বা ঘটনাবলির মধ্যে অনেক মিল আছে (অনেক অমিল-ও আছে, কিন্তু শব্দার্থবিদরা মিলগুলির প্রতিই আগ্রহী)। শব্দার্থবিদরা এই সাদৃশ্যগুলি বিবেচনা মানুষের বলা সব ভাষার জন্য প্রযোজ্য একটি সাধারণ অর্থ বিষয়ক তত্ত্ব নির্মাণের চেষ্টা করেন।
 
প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক আরিস্তোত্‌ল অর্থ নিয়ে প্রথম গবেষণা শুরু করেন, তবে তার পর শব্দার্থবিদ্যার অনেক উন্নতি ঘটেছে। বর্তমান শব্দার্থবিদরা প্রতীকী যুক্তিবিজ্ঞান, সৃষ্টিশীল ব্যাকরণ, ইত্যাদি আধুনিক কলাকৌশলের সহায়তা নিয়ে থাকেন, যেগুলি আরিস্তোত্‌লের কাছে লভ্য ছিল না।
 
== উক্তি, বাক্য ও বচন ==