পৃথিবীর গঠন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
২৮ নং লাইন:
| caption4 = পৃথিবীর অভ্যন্তরীন অংশের বিন্যস্ত চিত্র। ১. মহাদেশীয় ভূ-ত্বক – ২. মহাসাগরীয় ভূ-ত্বক – ৩. উপরস্থ ভূ-আচ্ছাদন – ৪. নিম্নস্থ ভূ-আচ্ছাদন – ৫. বহিঃস্থ মজ্জা – ৬. অন্তঃস্থ মজ্জা – এ: [[মহো বিচ্ছিন্নতা]] – বি: [[গুটেনবার্গ বিচ্ছিন্নতা]]– সি: [[লেমান-বুলেন বিচ্ছিন্নতা]]
}}
পৃথিবীর গঠনকে দু’ভাবে বর্ণনা করা যায়। এক- যান্ত্রিক উপায়ে যেমন, বস্তুবিদ্যা, অথবা দুই- রাসায়ানিক ভাবে। যান্ত্রিক ভাবে দেখলে, পৃথিবীকে অশ্বমন্ডল, আস্থেনোস্ফিয়ারআস্থেনোমণ্ডল, মেসোস্ফিয়ারমেসোমণ্ডল, বহিঃস্থ মজ্জা এবং অন্তঃস্থ মজ্জা এই ক’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। আর রাসায়নিক ভাবে পৃথিবীকে ভাগ করা হয়েছে ভূত্বক, উপরস্থ ভূ-আচ্ছাদন, নিম্নস্থ ভূ-আচ্ছাদন, বহিঃস্থ মজ্জা এবং অন্তঃস্থ মজ্জা এই ক’টি ভাগে। ভূপৃষ্ঠ থেকে পৃথিবীর ভূ-তাত্ত্বিক উপদানগুলোর গভীরতা<ref>{{cite journal|author=T. H. Jordan|pmc=411539|title= Structural Geology of the Earth's Interior|journal=Proceedings of the National Academy of Sciences|year= 1979|volume=76|issue=9|pages=4192–4200|doi=10.1073/pnas.76.9.4192|pmid=16592703|bibcode = 1979PNAS...76.4192J |url=http://www.pnas.org/content/76/9/4192.full.pdf}}</ref> নিচের তালিকায় দেখানো হয়েছে।
 
{| class="wikitable"
৪২ নং লাইন:
|৩৫-২,৮৯০ || ২২-১৭৯০ || ভূ-আচ্ছাদন
|-
| ২১০-২৭০ || ১৩০-১৬৮ || উচ্চ মেসোস্ফিয়ারমেসোমণ্ডল ( উপরস্থ ভূ-আচ্ছাদন)
|-
| ৬৬০-২,৮৯০ ||৪১০-১,৭৯০|| নিম্ন মেসোস্ফিয়ারমেসোমণ্ডল (নিম্নস্থ ভূ-আচ্ছাদন)
|-
| ২,৮৯০-৫,১৫০ || ১,৭৯০-৩,১৬০ ||বহিঃস্থ মজ্জা
৬১ নং লাইন:
=== ভূ-আচ্ছাদন ===
[[চিত্র:Mohomap.png|thumb|upright=1.4|পৃথিবীর মানচিত্রে মহো বিচ্ছিন্নতা দেখানো হয়েছে।]]
ভূ-আচ্ছাদনের গভীরতা ২,৮৯০ কিলোমিটার। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে পুরু স্তর। দু'টো ভাগে ভাগ করা যায় ভূ-আচ্ছাদনকে; উচ্চ আচ্ছাদন এবং নিম্ন আচ্ছাদন। এই দু'টো স্তর একটি [[Transition zone (Earth)|পরিবৃত্তি এলাকা]] দ্বারা বিভাজিত হয়েছে। ভূ-ত্বকের সর্বনিম্ন অংশ, যেটা ভূ-ত্বক এবং ভূ-আচ্ছাদনের সীমারেখায় অবস্থিত, সেটাকে বলা হয় ডি″ (ডি ডাবল প্রাইম) স্তর।<ref name="DDoublePron">{{cite web | url=http://www.sciencemag.org/news/2004/03/d-layer-demystified | title=D' Layer Demystified | publisher=[[American Association for the Advancement of Science]] | work=Science News | date=24 March 2004 | accessdate=5 November 2016 | author=Krieger, Kim}}</ref> ভূ-আচ্ছাদনের নিম্নভাগে মোট চাপের পরিমাণ প্রায় ১৪০ গিগা প্যাসকেল (১.৪ মেগা এটমোস্ফিয়ারবায়ুচাপ)। সিলিকেট শিলার মাধ্যমে ভূ-আচ্ছাদন গঠিত হয়। সিলিকেট শিলায় [[লোহা]] এবং [[ম্যাগনেসিয়াম|ম্যাগনেসিয়ামের]] পরিমাণ উপরিভাগের ভূ-ত্বকের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে বেশি থাকে। যদিও ভূ-আচ্ছাদন কঠিন অবস্থায় থাকে, তবে উচ্চ তাপমাত্রার ফলে এটি এক সময় বেশ নমনীয় হয় এবং প্রায় তরলের মতোই প্রবাহিত হতে পারে। তবে এ ঘটনা ঘটতে লক্ষ-কোটি বছর সময় লেগে যাবে। [[টেকটনিক পাত|টেকটনিক পাতের]] গতিবিধির কারণে এক সময় ভূ-পৃষ্ঠে ভূ-আচ্ছাদনের পরিচলন ঘটে। ভূ-আচ্ছাদনের গভীরে যত যাওয়া হয়, ভূ-চাপ ততোই বেড়ে যায় বলে ভূ-আচ্ছাদনের প্রবাহিত হবার ঘটনা উপরিভাগে বেশি ঘটে, নিচের দিকে ঘটে কম (বলা ভাল, ভূ-আচ্ছাদনের রাসায়নিক পরিবর্তনও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে)। গভীরতার উপর নির্ভর করে, ভূ-আচ্ছাদনের সান্দ্রতার ব্যাপ্তি &nbsp;১০<sup>২১</sup> থেকে ১০<sup>২৪</sup> প্যাসকেল-সেকেন্ড হতে পারে।<ref>Uwe Walzer, Roland Hendel, John Baumgardner [http://web.archive.org/web/20060826020002/http://www.chemie.uni-jena.de/geowiss/geodyn/poster2.html Mantle Viscosity and the Thickness of the Convective Downwellings].</ref> তুলনামূলক আলোচনা করলে বলা যায়, [[পানি]]<nowiki/>র সান্দ্রতা প্রায় ১০<sup>−৩</sup> প্যাসকেল-সেকেন্ড এবং আলকাতরার ১০<sup>৭</sup> প্যাসকেল-সেকেন্ড। ভূ-আচ্ছাদনে তাপের অন্যতম উৎস হলো প্লেট টেকটোনিক থেকে আসা তাপ, এই তাপ একদম পৃথিবী গঠিত হবার শুরুর দিকে তৈরি হয়েছিল। এছাড়া ভূ-ত্বকে থাকা [[ইউরেনিয়াম]], [[থোরিয়াম]] এবং [[পটাশিয়াম]] মৌলের [[তেজস্ক্রিয়তা]]<nowiki/>র ক্ষয় থেকেও ভূ-আচ্ছাদনের ভেতর তাপ জমা হয়ে থাকে।<ref>[http://newscenter.lbl.gov/2011/07/17/kamland-geoneutrinos/ Lawrence Berkeley National Laboratory (Berkeley Lab) is a Department of Energy (DOE) Office of Science lab managed by University of California., What Keeps the Earth Cooking? News Release by Paul Preuss, July 17, 2011]</ref>
 
=== ভূ-মজ্জা ===