বৃটিশ শাসিত ভারতে ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক প্রথম জেলা কালেক্টরের পদ সৃষ্টি করা হয়। ব্রিটিশ আমলে প্রথম সৃষ্ট পদটির নাম ছিলো ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। এজন্য ডিসি অফিসকে আজও বলাঐতিহ্যগতভাবে হয়কালেক্টরেট কালেক্টরেট।হিসেবে অভিহিত করা হয়। পরবর্তীতে তাঁকে দায়িত্ব পালনের প্রয়োজনে ফৌজদারী বিচার ব্যবস্থার ক্ষমতা অর্পণ করা হয়, ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট নামে আরেকটি পদ দেয়া হয়। এটি জেলার আইনশৃঙ্খলারসামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট। পরেপরবর্তীতে পাকিস্তান আমলে District Magistrate বা Collector এর জন্য আরেকটি পদ সৃষ্টি করা হয় জেলার উন্নয়ন কর্মসমূহের সমন্বয় সাধনের জন্য, যার নাম ডেপুটি কমিশনার। ডেপুটি কমিশনার পদ সৃজনের দ্বারা কিন্তু আগের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর এবং ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পদ বিলুপ্ত করা হয় নি বা উক্ত পদের জন্য অন্য কাউকে দিয়েনিয়োগ দেয়াপ্রদান করা হয়নি। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে বিচার বিভাগ পৃথকপৃথকীকরণ হলেওহলে জেলাফৌজদারী পর্যায়েকার্যবিধি, তাঁদের১৮৯৮ পদটিরএ নামপরিবর্তন সাধন করা হয়। বিচারিক কাজের জন্য জেলা পর্যায়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।ম্যাজিস্ট্রেট ডিস্ট্রিক্টপদ ম্যাজিস্ট্রেটসৃষ্টি করা হয়। কিন্তু ডিসিগণইজেলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব পূর্বের ন্যায় ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের হাতেই অর্পিত রয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির আছেন।সদস্য। Magistrate শব্দটি ল্যাটিন Magistratus শব্দ থেকে এসেছে যার মানে Administrator বা শাসক। ভারতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে বাংলায় বলা হয় 'জেলা শাসক'। 'শাসক' শব্দটি সহনীয় করে বাংলাদেশে 'প্রশাসক' শব্দটি গ্রহণ করা হয়েছে। 'জেলা প্রশাসক' বহুল ব্যবহৃত District Magistrate শব্দের পরিবর্তিত বাংলারূপ যা এখনো ভারতে জেলা শাসক নামেই ডাকা হয়।
