নারায়ন চন্দ্র চন্দ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
রচনাশৈলী, পরিষ্কারকরণ
১ নং লাইন:
{{Infobox person
== '''বর্ণাঢ্য জীবন ও পরিচয়''' ==
|name= নারায়ন চন্দ্র চন্দ
| image =পুরুষ
| office =
| order =
| term_start =
| term_end =
| succeeding =
| successor =
| birth_date = [[১২ মার্চ]], [[১৯৪৫]]
| birth_place =
|death_date=
|death_place=
| known = প্রতিমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ
| occupation = রাজনীতিবিদ
| birth name =
| party =
| spouse =
| children =
| residence =
| citizenship = {{BAN}}
| nationality = বাংলাদেশী
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| profession =
| religion = [[হিন্দু]]
| signature =
| website =
| footnotes =
}}
 
'''নারায়ন চন্দ্র চন্দ''' ([[জন্ম]]: [[১২ মার্চ]], [[১৯৪৫]]) একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ ও জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। <ref name="মৎস ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|last1=চন্দ্র চন্দ|first1=নারায়ন|title=মাননীয় প্রতিমন্ত্রী|url=http://mofl.portal.gov.bd/sites/default/files/files/mofl.portal.gov.bd/npfblock//State%20Minister%20MOFL.pdf|website=www.mofl.portal.gov.bd}}</ref>
 
== '''বর্ণাঢ্য জীবন ও পরিচয়''' ==
নারায়ন চন্দ্র চন্দ খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার উলা গ্রামের বিখ্যাত চন্দ বংশের স্বর্গীয় কালীপদ চন্দের মেঝ ছেলে। ১৯৪৫ সালের ১২ মার্চ তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর মাতা ছিলেন স্বর্গীয়া রেণুকা বালা চন্দ। স্ত্রী ঊষা রানী চন্দ স্কুলশিক্ষক। নারায়ন চন্দ্র চন্দ তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক। বড় ছেলে ড. বিশ্বজিত চন্দ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও ডীন। মেঝ ছেলে সত্যজিত চন্দ্র চন্দ ব্যবসায়ী ও ছোট ছেলে অভিজিত চন্দ্র চন্দ ব্যবসায়ী। একমাত্র মেয়ে জয়ন্তী দত্ত গৃহিনী। জামাতা বাংলাদেশ ব্যাংকের তিডজিএম। তাঁর বড় ভাই দীন বন্ধু চন্দ্র চন্দ শোভনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
 
== '''শিক্ষাজীবন''' ==
উলাগ্রামের পাঠশালায় তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু। বান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেন। ১৯৬১ সালে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক্যুলেশন পাশ করেন। ১৯৬৩ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স এবং ১৯৬৭ সালে একই বিষয়ে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেন। চাকুরীকরাকালীন সময়ে ১৯৭২ সালে তিনি বিএড পাশ করেন।
 
== '''কর্মজীবন''' ==
মাস্টার্সের ফল প্রকাশের পুর্বেই নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৬৮ সালে এই স্কুল থেকে সর্বপ্রথম শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পায়। ১৯৭৩ সালের ৭ মে ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭৪ সালে তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ডুমুরিয়ায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র চালু হয়। এর আগে খুলনা শহরে শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা দিতে হত। চাকুরীকরাকালীন সময়ে ১৯৭২ সালে তিনি বিএড পাশ করেন। তিনি ২০০৫সালের ১১ মার্চ চাকরী থেকে অবসর নেন।
 
== '''শিক্ষক নেতা ও সংগঠক''' ==
১৯৬৮ সালে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠা করেন থানা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। তিনি প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৮৭ সালে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুই দশক ধরে তিনি ওই পদ সামলেছেন।
 
== '''শিক্ষক নেতা ও সংগঠক রাজনীতি''' ==
শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি ১৯৬৭ সালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান। ১৯৮৪ সালে তিনি ডুমুরিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০০৩ সালে গঠিত কমিটিতেও তিনি সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন। ওই পদে এখনও তিনি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনি আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সদস্য।
 
== '''জনপ্রতিনিধিত্ব''' ==
বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। ছয় বার তিনি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তৎকালিন স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও পরে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সালাহউদ্দিন ইউসুফের মৃত্যুর পর ২০০০ সালের ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে নারায়ন চন্দ্র চন্দ ডুমুরিয়া-ফুলতলা আসনে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে তিনি চারদলীয় জোট প্রার্থীর নিকট পরাজিত হন। দলের জন্য পরিশ্রমী, নিবেদিতপ্রাণ একজন কর্মী-সংগঠক চন্দ ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর মেয়াদকালে গত ৫ বছরে ডুমুরিয়া ফুলতলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে তিনি ব্যাপক কাজ করেছেন। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃতীয়বারের মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এবার তিনি দায়িত্ব পেলেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে।
 
== সূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
 
==বহি:সংযোগ==
[http://www.mofl.gov.bd/ Ministry of Fisheries And Livestock of Bangladesh]