ভীষ্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১২ নং লাইন:
ভীষণ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ এবং তা সর্বাত্মকভাবে পালন করার জন্য রাজকুমার দেবব্রত ভীষ্ম নামে ভূষিত হন। রাজা শান্তনু ধীবর(জেলে) রাজকন্যা সত্যবতীর প্রেমে পড়ে তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। ধীবর রাজ বলেন যে যেহেতু দেবব্রত শান্তনুর প্রথম পুত্র তাই সত্যবতীর ছেলের কোনদিন রাজা হওয়ার সুযোগ আসবে না। সুতরাং তিনি রাজা শান্তনুর এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। তখন রাজকুমার দেবব্রত প্রতিজ্ঞা করলেন যে তিনি কোনদিন রাজা হবেন না। দূরদর্শী ধীবর রাজ তার পর বলেন, যদি দেবব্রতর উত্তরসূরিরা রাজসিংহাসন দাবি করে তাহলেও এ বিয়ে সম্ভব নয়। তখন দেবব্রত আরো প্রতিজ্ঞা করলেন যে তিনি কোনদিন বিয়েই করবেন না। এই ভীষণ প্রতিজ্ঞার জন্য তাঁর নাম হলো ভীষ্ম। ধীবর রাজ এই দুই শর্তে রাজি হয়ে রাজা শান্তনুর হাতে কন্যাদান করেন। রাজা শান্তনু খুশি হয়ে ভীষ্মকে স্বেচ্ছামৃত্যুর বর দিলেন। এই সময় ভীষ্মর এই প্রতিজ্ঞার আসল রহস্য নিয়ে স্বর্গ এবং মর্ত্যলোকে নানা রটনা রটতে লাগলো। অনেকে বলতে শুরু করলেন যে রাজসিংহাসনের আসল উত্তরাধিকারকে সরানোর ক্ষমতা রাজার থাকেনা বলে রাজা শান্তনু দেবব্রত কে দিয়ে প্রতিজ্ঞা করিয়ে নিয়েছেন। তখন ভীষ্ম নিজে সমস্ত ব্যাপার খুলে বলেন এবং একান্ত নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিজ্ঞা করেছেন বলে জানালেন। কিন্তু আগামী রাজকুমার সিংহাসনের অযোগ্য হলে কি হবে বলে প্রশ্ন তোলেন কুলগুরু। তখন ভীষ্ম আবার প্রতিজ্ঞা করলেন যে, যেই রাজা হোক না কেন, তিনি সবসময় রাজার প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবেন এবং রাজা শান্তনুর বংশের কোনো অপমান হতে দেবেন না।
বৈমাত্রেয় ভাই বিচিত্রবীর্য-র বিয়ে দেওয়ার জন্য ভীষ্ম কাশী রাজার আয়োজিত স্বয়ম্ভর সভা থেকে তিন রাজকন্যা [[অম্বা]], অম্বিকা এবং অম্বালিকা-কে জয় করে আনেন। এঁদের মধ্যে বড় মেয়ে [[অম্বা]] সৌবলের রাজা শল্ব-র প্রনয়ী ছিলেন। হস্তিনাপুরে পৌছে [[অম্বা]] ভীষ্মকে সে কথা জানালে ভীষ্ম অম্বাকে শল্বর কাছে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু শল্ব তখন বলেন যে, যেহেতু অম্বা অন্য একজন পুরুষের সাথে অনেকটা সময় কাটিয়েছেন, সুতরাং অম্বাকে বিয়ে করা তার পক্ষে অপমানজনক। আসলে শল্ব-ও স্বয়ম্ভর সভায় এসেছিলেন এবং ভীষ্মের কাছে খুব খারাপভাবে পরাজিত হয়ে খুব অপমানিত বোধ করেছিলেন। এমতাবস্থায় [[অম্বা]] ভীষ্মকে বলেন যে, যেহেতু তিনিই অম্বাকে স্বয়ম্ভর সভা থেকে জয় করে এনেছেন, সেহেতু ভীষ্মের উচিত অম্বাকে পত্নীরূপে গ্রহণ করা। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ভীষ্ম তাঁর প্রতিজ্ঞার কথা মনে করিয়ে অম্বার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। নিদারুণ অপমানিত হয়ে নিরুপায়ী [[অম্বা]] তখন ভীষ্মের বিনাশের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে পাগলপ্রায় হয়ে যান। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে অম্বা
অম্বা যখন ভীষ্মের বিনাশের জন্য পাগলপ্রায় হয়ে উঠেছিলেন, সেই সময় অম্বা ভীষ্মের গুরুদেব [[পরশুরাম]] মুনির কাছেও গিয়েছেলেন। পরশুরাম মুনি তাঁর শিষ্য ভীষ্মকে অম্বাকে বিবাহের আদেশ দিলেন। ভীষ্ম প্রতিজ্ঞার প্রসঙ্গ তুলে গুরুদেবের আদেশ মানতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে তিনি গুরুদেবের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত আছেন, তবু প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে পারবেননা। যথারীতি গুরুদেব শিষ্যর বিরুদ্ধে কুরুক্ষেত্রের প্রাঙ্গনে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ভীষ্ম রথ নিয়ে অবতীর্ণ হয়ে দেখলেন যে [[পরশুরাম]] কোনো বাহন নেননি। গুরুদেবকে এই অবস্থায় দেখে ভীষ্ম ভাবলেন তিনি বুঝি যুদ্ধে অনায্য সুবিধা ভোগ করতে চলেছেন। তাই তিনি গুরুদেবকে অস্ত্রভুষিত হয়ে রথ নিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করলেন। পরশুরাম তখন শিষ্যকে দিব্যদৃষ্টি দান করলেন এবং আবার তাকিয়ে দেখতে বললেন। তখন ভীষ্ম দেখলেন যে পৃথিবীটাই তাঁর গুরুদেবের রথ, চার বেদ সেই রথের চার ঘোড়া, উপনিষদগুলি তাঁর বল্গা, বাতাস তাঁর সারথী, আর গায়াত্রী, সাবিত্রী, সরস্বতী এই বৈদিক দেবীরা তাঁর বর্ম। ভীষ্ম রথ থেকে নেমে এসে গুরুপ্রণাম করে গুরুদেবের কাছে ধর্মকে জয়ী করতে পারার আশির্বাদ চাইলেন এবং যুদ্ধের জন্য অনুমতি চাইলেন। [[পরশুরাম]] খুব খুশি হয়ে বললেন যে, ভীষ্ম এটা না করলে তিনি অভিশাপ
এক মত অনুযায়ী, ২২তম দিনে ভীষ্ম যুদ্ধে জিততে সাহায্য পাবার জন্য তাঁর পুর্বপরুষদের প্রার্থনা শুরু করলেন। পূর্বপুরুষরা তাঁকে [[পাশুপতাস্ত্র]] নামে এক অস্ত্র প্রদান করলেন। এই অস্ত্র প্রয়োগে তিনি পরশুরামকে ঘুম পাড়িয়ে দিতে পারতেন। আর, বেদ অনুযায়ী, যুদ্ধক্ষেত্রে ঘুমিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার বিধি ছিল। কিন্তু এই অস্ত্রের ব্যবহার ভীষ্ম পূর্বজন্মে জানতেন। এই জন্মে তা তিনি ভুলে গেছিলেন। অপর পক্ষে, দেবতারাও তাঁকে এই অস্ত্র
এদিকে [[অম্বা]] বিফলমনোরথ হয়ে
== ব্যক্তিত্ব ==
|