হাসান (গায়ক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২১ নং লাইন:
== ছেলেবেলা<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.jessore.info/index.php?option=content&value=43|title=হাসান / Hasan (1970)|work=মোঃ হাসানূজ্জামান (বিপুল)}}</ref> ==
ছোট বেলা থেকেই হাসান হামদ, নাত ও কবিতা আবৃত্তিতে পারদর্শী ছিলেন। কবিতা লেখার অভ্যাসও ছিল কিছুটা। শিশু কবি হিসাবে তার বেশ পরিচিতি ছিল। অভিনয়েও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তীতে তিনি অভিনয়, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। পারিবারিক অনুমতি না থাকায় তিনি এগুলো একরকম লুকিয়ে লুকিয়েই করতেন। এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র তার স্কুলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। বাইরের অন্য কোন সংগঠনের সাথে তার জড়িত হবার সুযোগ ছিল না। এমনকি গান শোনা, কবিতার বই পড়া বা সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রেও ছিল প্রতিবন্ধকতা। বড় বোন হুসনা আফরোজ রেডিও ও টিভিতে নাটক করতেন। শুটিং এ যাবার সময় মাঝে মধ্যে ছোট ভাই হাসানকে সঙ্গে নিতেন। মূলত সেখান থেকেই তিনি সাংস্কৃতির দিকে ঝুঁকে পড়েন। ৫ম ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়াকালীন তিনি নিজে গান লিখে সুরারোপ করার চেষ্টা করতেন।
১৯৮৯-৯০ সালের দিকে তিনি ইংরেজী গানের দিকে ঝুঁকে পড়েন। নিজেদের বাড়ীতে গান শোনা বা গাওয়ার সুযোগ না থাকায় স্কুলজীবনের শেষের দিকে বন্ধুদের বাসায় গিয়ে তিনি গান শুনতেন। প্রথম দিকে মাইকেল জ্যাকসন, জর্জ মাইকেল, স্কোরপিওন, মেইডেন প্রভৃতি শিল্পীদের গান শুনতেন। ১০ম শ্রেণীতে পড়াকালীন তিনি কিছুটা হাইগ্রেড এর গান শোনা শুরু করলেন। এই সময় তার গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ জন্মায়। ১৯৮৯-৯০ সালের দিকে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমীতে পল্লীগীতির উপর একটি সার্র্টিফিকেট কোর্সে ভর্তি হন। শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণ ও পল্লীগীতির সুর আয়ত্ব করতেই তার এই পল্লীগীতি কোর্সে ভর্তি হওয়া। ছোট বেলা থেকেই তিনি সুরের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
== ব্যক্তিগত জীবন <ref name=":0" /> ==
৩৩ নং লাইন:
হাসানের প্রথম ব্যান্ড হচ্ছে ‘আর্ক’। পরবর্তীতে আর্ক থেকে বের হয়ে তিনি স্বাধীনতা নামে একটি ব্যান্ড তৈরী করেছেন। আর্কের সঙ্গে প্রায় নয় বছর ছিলেন তিনি। আর্কে যোগ দেয়ার পর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। মূলত টুলু এবং পঞ্চম এর ছত্রছায়ায় থেকে তিনি গানের প্রকৃত মর্যাদা অনুভব করেন।
১৯৯৬ সালে হাসান প্রথম তাজমহল নামে আর্কের একটি এ্যালবাম বের করেন। এই এ্যালবামে তার গাওয়া গানগুলি ছিলো নিজের লেখা এবং সুর। এই এ্যালবামটি সুপার হিট হওয়ার পর তিনি একজন ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে পরিচিতি লাভ করলেন।
হাসান তার আর্কের সাথে শেষ ভলিউম স্বাধীনতা। তারপর বের করেন একক অ্যালবাম ‘তাল’। পরবর্তী ৪ মাস আমেরিকাতে থাকার পর সেখান থেকে ফিরে এসে আর্কের নাম পরিবর্তন করে সমস্ত লাইনআপটা নিয়ে ২০০২ সালে নতুন আর একটি ব্যান্ড করলেন "স্বাধীনতা" । স্বাধীনতার ব্যানারে প্রথম এ্যালবাম হচ্ছে ‘কারবালা’।
|