মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইজিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২২ নং লাইন:
|
}}
'''মঙ্গল পাণ্ডেঃ দ্যা রাইজিং''' বা '''দ্যা রাইজিংঃ ব্যালাড অব মঙ্গল পাণ্ডে''' হচ্ছে ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি ভারতীয় চলচ্চিত্র যেটি ১৮৫৭ সালে সংঘটিত ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানীর বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের বিদ্রোহ বা সংক্ষেপে ১৮৫৭ সালের সিপাহী (সৈনিক) বিদ্রোহের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছিলো। চলচ্চিত্রটির পরিচালক ছিলেন কেতন মেহতা এবং প্রযোজনা উনি ছাড়াও তার স্ত্রী দীপা সাহি এবং ববি বেদী করেছিলেন তাদের কালেইডোস্কোপ এন্টারটেইনমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানটির দ্বারা।
 
চলচ্চিত্রটিতে মঙ্গল পাণ্ডে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলিউড সুপারস্টার আমির খান, যাকে ২০০১ সালের ''দিল চাহতা হে'' এর পর আর চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। ২০০৫ সালের 'কান চলচ্চিত্র উৎসব' এর 'মার্শ দু ফিল্ম' শাখায় এটি প্রদর্শিত হয়েছিলো।<ref>{{cite news|url=http://www.thehindu.com/2005/05/19/stories/2005051903572400.htm|title=The Hindu : Entertainment / Cinema : Indian films a `nonentity' at Cannes|publisher= | location=Chennai, India|date=19 May 2005}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.thehindujobs.com/thehindu/fr/2005/05/20/stories/2005052004130400.htm |title=The Hindu : Entertainment Bangalore / Cinema : Cannes premier for Naina |publisher= |deadurl=yes |archiveurl=https://web.archive.org/web/20100204184554/http://thehindujobs.com/thehindu/fr/2005/05/20/stories/2005052004130400.htm |archivedate=4 February 2010 |df=dmy }}</ref> মঙ্গল পাণ্ডেঃ দ্যা রাইজিং চলচ্চিত্রটি ২০০৫ সালের চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ছিলো।<ref>{{Cite web|url=http://www.boxofficeindia.com/movie.php?movieid=391|title=Mangal Pandey - The Rising|last=|first=|date=|website=www.boxofficeindia.com|publisher=|access-date=2016-08-17}}</ref>
==কাহিনীসংক্ষেপ==
সিনেমার কাহিনী শুরু হয় ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে, ওম পুরী কাহিনীর বর্ণনা করতে থাকেন।
 
ভারত তখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শাসনাধীন। এই ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির নিজস্ব সেনাবাহিনী আছে যেটাতে বহু ভারতীয় পুরুষ সৈনিক পদে চাকরী করে। এমনই একজন সৈনিক হলেন মঙ্গল পাণ্ডে। এই মঙ্গল পাণ্ডে প্রথম 'ইংরেজ-আফগান যুদ্ধে' অংশগ্রহণ করেন এবং আহত হন। যুদ্ধচলাকালীন তিনি তার ব্যাটেলিয়নের একজন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন উইলিয়াম গর্ডনকে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচান এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উইলিয়াম মঙ্গলকে দেখতে যান সৈনিকদের জন্য মাটিতে বিছানো চাদরে সেখানে মঙ্গলও চিকিৎসাধীন ছিলো। এই ক্যাপ্টেন এবং সৈনিক মঙ্গলের মধ্যে এক ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
 
একদা ক্যাপ্টেন উইলিয়াম জোয়ালা নামের এক নারীকে তার মৃত স্বামীর সাথে জ্যান্ত আগুনে জালানোর সময় উঠিয়ে নিয়ে আসেন এবং এই সতীদাহ প্রথা পালনকারী মানুষদেরকে তার তলোয়ার দিয়ে ভয় দেখান এবং পরে মঙ্গলও উইলিয়ামের পক্ষে কথা বলেন। ক্যাপ্টেন উইলিয়াম গর্ডন জোয়ালার প্রেমে পড়ে যান এবং পরে তার সাথে দৈহিক মিলন করেন। অপরদিকে অন্যএকদিন হীরা নামের একটি মেয়েকে স্থানীয় বাজারে দাসী হিসেবে বিক্রি করার জন্য কিছু পুরুষ ভাষণ দিতে থাকে এবং ক্যাপ্টেন উইলিয়াম এবং তার বান্ধবী এমিলি কেন্ট এবং সৈনিক মঙ্গল পাণ্ডে দেখতে থাকে। মেয়েটিকে পরে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় যেখানে লোল বিবি নামের এক সর্দারনী থাকেন, মঙ্গল পরে হীরার প্রেমে পড়ে যায়।
 
ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির সেনাবাহিনীতে একটি নতুন বন্দুক আনা হয় যার নাম হচ্ছে 'এনফিল্ড'। সকল ভারতীয় সৈনিকদের মধ্যে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে এনফিল্ড বন্দুকটিতে যে কার্তুজ আছে সেটির টোটা যেটি গুলি করার আগে দাঁত দিয়ে কাটতে হয় সেটি নাকি শুকরের চর্বি এবং গরুর মাংস দিয়ে তৈরি। ভারতীয় সেনাদের মধ্যে যারা হিন্দু তারা গরু মুখে দিতে পারবেনা আবার মুসলিম সেনারা শুকর মুখে দিতে পারবেনা। এই জন্য সেনারা কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করে এ ব্যাপারে।
 
ক্যাপ্টেন উইলিয়াম গর্ডন একবার এক বন্দুক চালানো অনুশীলনে লক্ষ্য করে সৈনিকেরা বন্দুক চালাতে অপারগ এবং ঐ মূহুর্তে একজন জেনারেল এসে জিজ্ঞেস দেখেন এবং জিজ্ঞেস করেন যে কি ব্যাপার, ক্যাপ্টেন উইলিয়াম তাকে সব কিছু বললে জেনারেল ক্যাপ্টেনকে বলেন যে সৈনিকদেরকে বলতে যে বন্দুকের কার্তুজ কোনো প্রাণী দ্বারা তৈরি নয় এবং বন্দুক চালাতে বলেন। তার কথা শুনে কোনো সেনা না এলেও মঙ্গল পাণ্ডে দৃপ্তচিত্তে এগিয়ে আসেন এবং কার্তুজ কামড়িয়ে বন্দুক থেকে গুলি চালান কুশপুত্তলিকায়।
 
মঙ্গল একবার বন্দুক বানানোর ফ্যাক্টরি দেখে নিশ্চিত হন যে আসলেই বন্দুক শুকর এবং গরু দ্বারা তৈরি। তিনি দেখে মাথা গরম করেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মনে মনে বিক্ষুব্ধ হন।
 
মঙ্গল পাণ্ডে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের ডাক দেন এবং সকল ভারতীয় সেনাদের একত্রিত করেন। অনেক ব্রিটিশ সেনা এবং কর্মকর্তা মারা যান, এমনকি ক্যাপ্টেন উইলিয়ামের সঙ্গেও লড়াই এর এক পর্যায়ে নাকে তলোয়ার দিয়ে খোঁচা দেন মঙ্গল।
 
মঙ্গলকে ব্রিটিশরা গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় এবং তার কোর্ট মার্শাল হয় যেখানে মৃত্যুদণ্ড পায়, ঐ সামরিক আদালতে ক্যাপ্টেন উইলিয়ামও উপস্থিত থাকে এবং মঙ্গলকে বাঁচানোর চেষ্টা করে তবে ব্যর্থ হয়। মঙ্গলকে ফাঁসি দিলে সাধারণ জনগণ অনেক ক্ষেপে যায় এবং বিভিন্ন ব্রিটিশ স্তাপনায় অগ্নি-সংযোগ এবং মানুষ হত্যা করে। এই সেনা বিদ্রোহের ফল স্বরূপ ব্রিটেনের মহারাণী ভিক্টোরিয়া ভারতের শাসন ক্ষমতা সরাসরি নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন।
==অভিনয়ে==
{| class="wikitable"
৩০ ⟶ ৪৬ নং লাইন:
! অভিনেতা/অভিনেত্রী !! যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন
|-
| আমির খান || সিপাহী (সৈনিক) মঙ্গল পাণ্ডে
|-
| রাণী মুখার্জী || হীরা