চণ্ডীদাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪২ নং লাইন:
[[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষায়]] [[রাধা]] ও [[কৃষ্ণ|কৃষ্ণের]] প্রেম সম্পর্কিত প্রায় ১২৫০ টির অধিক কাব্যের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে রচয়িতা হিসেবে ''বড়ু চণ্ডীদাস'', ''দীন চণ্ডীদাস'' ও ''দ্বিজ চণ্ডীদাস'' তিনটি ভিন্ন নামের উল্লেখ রয়েছে আবার কোনোটিতে রচয়িতার নামের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় নি। এ কাব্যগুলো ''ভণিতা'' নামে পরিচিত। ''ভণিতা'' একই ব্যক্তি কর্তৃক রচিত কিনা তা পরিষ্কার করে জানা যায় না। আধুনিক পণ্ডিতরা ধারনা করে থাকেন, বর্তমান যে সকল কবিতা চণ্ডীদাসের নামে রয়েছে তা অন্তত চারজন ভিন্ন চণ্ডীদাস কর্তৃক রচিত হয়েছে। ''ভণিতা'' কাব্যের রচনাশৈলী অনুযায়ী তাদের পৃথক করা যায়।<ref name="বিকাশপিডিয়া">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://bn.vikaspedia.in/education/9b69bf9b69c1-9859999cd9979a8/9ac9be9829b29be9b0-9b69cd9b09c79b79cd9a0-9b89be9b99bf9a49cd9af9bf9959a69c79b0-99c9c09ac9a89c0/9ac9c1-99a9a39cd9a19c09a69be9b8 |title=বড়ু চণ্ডীদাস |author= |editor= |date= |website=bn.vikaspedia.in |publisher=[[বিকাশপিডিয়া]] |language=বাংলা |accessdate=জুলাই ২৪, ২০১৫}}</ref>
 
প্রথম চণ্ডীদাস হিসেবে অনন্ত বড়ু চণ্ডীদাসকে ধারণা করা হয় যিনি আনুমানিক ১৪ শতকে [[বীরভূম জেলা|বীরভূম জেলায়]] (বর্তমানে [[পশ্চিমবঙ্গ]]) জন্ম নেন। তার আসল নাম অনন্ত, কৌলিক উপাধি ''বড়ু'', এবং গুরুপ্রদত্ত নাম ''চণ্ডীদাস''। তিনি মধ্যয়ুগীয় বাংলা কবিতার অন্যতম নিদর্শন ''[[শ্রীকৃষ্ণকীর্তন]]'' রচনা করেন।<ref name="মিলনসাগর">{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.milansagar.com/kobi/boishnabpodaboli/kobi-boruchandidas.html |title=কবি বড়ু চণ্ডীদাসের শ্রীকৃষ্ণকীর্তন |author=নীলরতন সেন |editor= |website=milansagar.com |publisher=milansagar |location=ভারত |language=বাংলা |accessdate=জুলাই ২৪, ২০১৫}}</ref> এই কাব্যে তিনি নিজেকে অনন্ত বড়ু চন্ডীদাস হিসাবে [[ভণিতা]] দিয়েছেন। তিনি বাসলী/বাশুলী দেবীর উপাসক ছিলেন। [[বীরভূম]] এর নানুরে এই দেবীর মন্দির আছে। "বড়ু" শব্দটি "বটু" শব্দের [[অপভ্রংশ]]। চণ্ডীদাসের মৃত্যু সম্বন্ধে ''শ্রীকৃষ্ণকীর্তন'' কাব্যের আবিষ্কর্তা বসন্তরঞ্জন রায় উল্লেখ করেছেন — বীরভূমের নানুরে বাশুলীদেবীর মন্দিরের কাছে চণ্ডীদাসের কীর্তন দলের একটি নাট্যশালা ছিল। চণ্ডীদাস একবার গৌড়ের নবাবের রাজসভায় গান গাওয়ার অনুরোধ রক্ষা করতে সেখানে যান। তাঁর কণ্ঠে ভক্তি-প্রেমের গান শুনে নবাবের বেগম মুগ্ধ হয়ে যান এবং তিনি চণ্ডীদাসের গুণের অনুরাগিণী হয়ে পড়েন। বেগম একথা নবাবের কাছে স্বীকার করলে নবাব ক্রোধের বশে চণ্ডীদাসকে মৃত্যুর দণ্ডাদেশ দেন। আত্মীয় বন্ধুবর্গের সামনে চণ্ডীদাস হস্তিপৃষ্ঠে আবদ্ধ হয়ে নিদারুণ কশাঘাত সহ্য করে প্রাণবিসর্জন দেন; বেগম সেই দৃশ্য দেখে শোকে মুর্চ্ছিতা হয়ে প্রাণবিয়োগ করেন।<ref> দীনেশচন্দ্র সেন, বঙ্গভাষা ও সাহিত্য, প্রথম খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষদ, কলকাতা-১৩, প্রকাশ: ১৯৮৬ </ref>
 
 
দীন চণ্ডীদাস এবং দ্বিজ চণ্ডীদাস নামক ভণিতার দুইজন কবিকে চৈতন্য-পরবর্তী যুগের কবি বলে ধারণা করা হয়।
==পদাবলী==
সহজিয়া ভাবধারায় চণ্ডীদাস রচিত মানবিক প্রেমের কয়েকটি পদ -
৮৬ নং লাইন:
{{উইকিসংকলন|বড়ুচণ্ডীদাস}}
{{উইকিসংকলন|শ্রীকৃষ্ণকীর্তন}}
{{বীরভূম প্রসঙ্গ}}
 
{{বাঁকুড়া প্রসঙ্গ}}
{{অসম্পূর্ণ}}