ইসলাম খাঁ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
Bellayet (আলোচনা | অবদান)
৬ নং লাইন:
 
==বাংলা বিজয়==
সম্রাট [[আকবর]] বাংলা অঞ্চলে নজ শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অনেকবার অভিযান পরিচালনা করলেও সামন্তত্রান্ত্রিক বিদ্রোহের কারণে তা সফল হয়নি। সিংহাসনে আরোহনের পর সম্রাট জাহাঙ্গীরও বাংলা প্রদেশে কয়েকবার সৈন্যদের অভিযানে পাঠান। কিন্তু সবগুলো অভিযান ব্যর্থ হয়। [[১৬০৮]] সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর বাংলা বিজয়ের লক্ষ্যে ইসলাম খান কে প্রেরণ করেন। ইসলাম খানের বয়স তখন মাত্র ৩৮ বছর। তিনি বাংলার রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তার প্রচারাভিযান পরিচালনার বিষয়াদির সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বাংলায় মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠার প্রধান বাঁধার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে [[বারো ভূঁইয়া|বারো ভূঁইয়ার ভাটি]] এবং খাজা উসমানের অধীনস্থ [[আফগানিস্থানআফগানিস্তান|আফগানী]] মদদদাতাদের সরিয়ে ফেলার পরিকল্পনা করেন।
 
ইসলাম খান তার সামরিক এবং [[নৌবাহিনী|নৌবাহিনীকে]] পুনগঠিত করে প্রথমে বারো ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেন। তিনি উপলব্ধি করেন ভাটি অঞ্চলে যুদ্ধ জয়ের জন্য তাকে তার নৌবাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে। এই উপলব্ধি থেকে ভাটি অঞ্চলে সামরিক অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তা এবং সৈন্য নিয়োগ দেন। ইসলাম খান খুব সতর্কতার সাথে ভাটি অঞ্চলে তার যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেন, তিনি প্রথমে বারো ভূঁইয়াদের মিত্র যেমন [[যশোর|যশোরের]] শক্তিশালী রাজা প্রতাপাদিত্য এবং ভুসনার রাজা সতরঞ্জিতকে দমন করেন। তিনি বাংলার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের অবাধ্য জমিদারদের বিরুদ্ধেও সৈন্য প্রেরণ করেছিলেন। [[১৬০৯]] সালের জুন মাসে ইসলাম খানের সৈন্যরা রাজমহল থেকে ঘোড়াঘাটে এসে পৌছায়। তিনি জুন-জুলাউ মাসে ঢাকায় পৌছানোর আগে [[১৬১০]] সালের প্রথম কয়েক মাস বারো ভূঁইয়াদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যয় করেন।
 
ইসলাম খা নিযুক্ত হওয়া মাত্র বাংলার রাজধানী [[রাজমহল]] থেকে [[ঢাকা|ঢাকায়]] স্থানান্তরিত করেন এবং ঢাকার ''জাহাঙ্গীরনগর'' নামকরণ করেন। তিনি বারো ভূঁইয়াদের বিদ্রোহ, মগ ও পূর্তগীজ জলদস্যুদের দমন করেন। [[ঢাকা|ঢাকার]] ইসলামপুর সড়ক তার নামানুসারে করা হয়।