পাণ্ডু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shubhrodeep4 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
Shubhrodeep4 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১২ নং লাইন:
 
[[মহাভারত|মহাভারতে]] বর্ণিত [[হস্তিনাপুর|হস্তিনাপুরের]] রাজা। পাণ্ডবদের পিতা। বিচিত্রবীর্যের কনিষ্ঠ সন্তান। অভিশপ্ত জীবনের কারণে স্ত্রী সহবাসের পর দেহ ত্যাগ করেন। পাণ্ডুর দুই স্ত্রী। যথাঃ [[কুন্তী]] এবং [[মাদ্রী]]। পান্ডুকে একজন বীর হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে।
শান্তনুর কনিষ্ঠ পুত্র বিচিত্রবীর্যের মৃত্যু হয় নিঃসন্তান অবস্থায়। হস্তিনাপুর রাজহীন দেখে রাজমাতা সত্যবতী তার জ্যেষ্ঠতম পুত্র, ব্যাসদেবকে আবাহন করেন তার দুটি পুত্রবধূ অম্বিকা ও অম্বালিকার গর্ভে দুটি সন্তান উৎপন্ন করতে। ব্যাসদেবের ঔরসে অম্বালিকার গর্ভসঞ্চার হলে, তিনি একটি পাণ্ডুবর্ণ সন্তানের জন্ম দেন। এই সন্তানের নাম হয় পাণ্ডু।
অম্বিকার গর্ভের সন্তান ধৃতরাষ্ট্র অন্ধ হওয়ার ফলে, প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর পাণ্ডু রাজা হন। তিনি যথেষ্ট প্রজাবৎসল ছিলেন। তার বিবাহ হয় কুন্তীভোজের পালিতা কন্যা, তথা বসুদেবের বোন কুন্তীর সাথে। পরবর্তীকালে মদ্রদেশের রাজকন্যা মাদ্রীর সাথেও তার বিবাহ হয়।
 
বিয়ের পর মৃগয়ার সময়ে তিনি ভুলবশত দুটি মিলনরত হরিণকে বিদ্ধ করেন। সেটি ছিল আসলে ঋষি কিন্দম ও তার স্ত্রী, যারা সন্তান উৎপন্ন করতে মিলিত হয়েছিলেন। কিন্দম অভিশাপ দেন যে পাণ্ডুও স্ত্রীসম্ভোগকালে মৃত্যুবরণ করবেন।
হস্তিনাপুরের রাজা বিচিত্রবীর্য নিঃসন্তান অবস্থায় দেহত্যাগ করলে, রাজমাতা সত্যবতী তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ব্যাসকে অনুরোধ করেন তার দুই পুত্রবধূর সাথে মিলিত হয়ে সন্তান উৎপন্ন করতে। পাণ্ডু ব্যাসদেবের ঔরসে তার ভ্রাতৃবধূ অম্বলিকার গর্ভে জন্মান। তিনি হস্তিনাপুরের রাজা হন। তার দুই স্ত্রী। কুন্তীভোজের কন্যা কুন্তী ও মদ্র রাজকন্যা মাদ্রী। ইনি সঙ্গমরত হরিণবেশী কিন্দন মুনিকে হত্যা করলে কিন্দন এনাকে বলেন যে সহবাসকালে তার মৃত্যু হবে।তাই পুত্রকামনায় কুন্তী ও মাদ্রী একে একে [[ধর্ম]], [[বায়ু]] ও [[ইন্দ্র]], এবং [[অশ্বিনীকুমারদ্বয়কে]] আহবান করে তাদের ঔরসে পঞ্চপাণ্ডবের জন্মদান করেন। পরে একদিন ঋতুস্নাত পত্নী মাদ্রী কে দেখে ইনি কামার্ত হন ও তার সাথে সঙ্গম করেন। বীর্যপাত মাত্রই কিন্দন মুনির অভিশাপে এনার মৃত্যু হয় ও লজ্জিতা ও ব্যথিত মাদ্রী গর্ভাবস্থা সত্ত্বেও সতী হন।
 
অভিশাপের ফলে পাণ্ডুর সন্তানলাভের পথ বন্ধ হয়ে গেলে, কুন্তী দুর্বাসমুনির থেকে প্রাপ্ত বিশেষ দিব্যমন্ত্রর সাহায্যে [ধর্ম] দেবতাকে আহ্বান করে তার ঔরসে [যুধিষ্ঠির]কে জন্ম দেন, এইভাবে [বায়ুর] সাহায্যে [ভীম], ও [ইন্দ্র] দেবের মাধ্যমে [অর্জুন]কে জন্ম দেন। মাদ্রীও একই মন্ত্রের বলে [অশ্বিনীকুমার]দ্বয়কে আহবান করে [নকুল] ও [সহদেব]কে জন্ম দেন।
এরাই পঞ্চপাণ্ডব।
[[বিষয়শ্রেণী:মহাভারত]]