কটকম সুদর্শন (আনন্দ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বানান
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন:
'''কটকম সুদর্শন''' ওরফে '''আনন্দ''' হলেন নিষিদ্ধ [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)]] দলের একজন শীর্ষ নেতা ও পলিটব্যুরো সদস্য।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.ipcs.org/article/india/naxal-violence-profile-of-katakam-sudarshan-3986.html|title=Naxal Violence: Profile of Katakam Sudarshan|last=Deepak Kumar Nayak|first=|date=|website=|publisher=|access-date=১৫ আগস্ট, ২০১৭}}</ref>
==প্রারম্ভিক জীবন==
কটমকম সুদর্শন [[অন্ধ্রপ্রদেশ]] রাজ্যের [[আদিলাবাদ|আদিলাবাদে]] জন্মগ্রহণ করেন। ওয়ারঙ্গলের পলিটেকনিক কলেজে শিক্ষা সম্পন্ন করার পর শিক্ষকতার কাজে যোগ দেন ও পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষার জন্যে পড়াশোনা করতেন। ভারতের নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)র [[আদিলাবাদ জেলা]]<nowiki/>র সম্পাদক সাধনাকে বিবাহ করেন তিনি। কয়েক বছর আগে সাধনা নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মারা যান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://archive.indianexpress.com/news/the-men-who-run-dandakaranya/602025/0|title=The men who run Dandakaranya|last=Sreenivas Janyala|first=|date=৯ এপ্রিল, ২০১০|website=archive.indianexpress.com|publisher=|access-date=১৫ আগস্ট, ২০১৭}}</ref>
 
==গেরিলা যুদ্ধ==
সুদর্শন [[মাওবাদ]] অনুসৃত দলের অন্যতম প্রবীন ও শীর্ষ নেতা। তিনি বিগত ৩০ বছর ধরে অতি [[বামপন্থী রাজনীতি]]<nowiki/>র সাথে যুক্ত আছেন। [[তেলঙ্গানা]] ও [[দণ্ডকারণ্য]] অঞ্চলে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন তিনি। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী তিনি আনন্দ নামে অধিক পরিচিত। ব্যক্তিগত জীবনে কটকম সুদর্শন নম্র, তাত্ত্বিক ও সাংগঠনিক ক্ষমতা সম্পন্ন নেতা। দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক গঠনপ্রণালী নির্ণায়ক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। শিক্ষা সম্পন্ন করার পরে ১৯৭৫ সালে জঙ্গী বামপন্থি সংগঠনে যোগ দেন ও ১৯৮৯ সালে [[ছত্তীসগঢ়]] চলে যান। ১৯৮০ সালে [[কোন্ডাপল্লী সীতারামাইয়া]] প্রতিষ্ঠিত কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী - লেনিনবাদী) জনযুদ্ধ দলের সদস্য হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=https://www.telegraphindia.com/1100407/jsp/nation/story_12311694.jsp|title=Portrait of ‘mastermind’|last=G.S. RADHAKRISHNA|first=|date=|website=telegraphindia.com|publisher=|access-date=১৫ আগস্ট, ২০১৭}}</ref> সদস্যদের [[গেরিলা যুদ্ধ|গেরিলা যুদ্ধে]]<nowiki/>র প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন, দলের সামরিক বিভাগের দায়িত্ব ছিল তার ওপর ও ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে যুদ্ধে দক্ষতার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। মাওবাদী দলের কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের সদস্য ও পলিটব্যুরো সদস্য নির্বাচিত হন একসময়। মনে করা হত অপর এক পলিটব্যুরো নেতা [[কিষেনজি]]<nowiki/>র মৃত্যুর পর তিনি পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগে মাওবাদী আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়েছিলেন। একটি সুত্র জানাচ্ছে আনন্দ অত্যন্ত কৌশলী ও আপসহীন হিসেবে পরিচিত। তিনি কিষেণজির মৃত্যুর পর মাওবাদীদের সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করেছেন। পুলিশের মতে, ২০১০ সালের এপ্রিলে ছত্তিশগড়ের রাজ্যের [[দান্তেওয়াদা]]<nowiki/>য় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৭৬ জন জওয়ানকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীও ছিলেন আনন্দ, তাঁকে ধরিয়ে দিতে ১২ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.kalerkantho.com/print-edition/hot-jobs/2012/11/25/302462|title=নেতৃত্বে আনন্দ, না কোসা?|last=|first=|date=|website=kalerkantho.com|publisher=|access-date=১৫ আগস্ট, ২০১৭}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.kalerkantho.com/home/printnews/352042/2013-05-28|title=পরিকল্পনা এপ্রিলে নেতৃত্বে সুদর্শন|last=|first=|date=|website=kalerkantho.com|publisher=|access-date=১৫ আগস্ট, ২০১৭}}</ref> সাংবাদিকদের এক সাক্ষাতকারে আনন্দ জানান যে দলের কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশনের ৪৫ জন সদস্য গ্রেপ্তার নয় মৃত্যুবরণ করেছেন ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। অপারেশন গ্রীন হান্ট প্রতিরোধে তিনি তার দলকে নেতৃত্ব দান করছেন। [[হিন্দুস্থান টাইমস]] এর একটি সাক্ষাতকারে এক পুলিশ করত্তা জানান সুদর্শন [[চেরুকুরি রাজকুমার আজাদ|চেরুকুরি রাজকুমার আজাদদে]]<nowiki/>র মত আলোচনাপন্থী নন বরং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চলমান সংগ্রামে রত থাকার পথের মতাবলম্বী।<ref name=":0" />
 
==তথ্যসূত্র==