জাপান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ |
অ স্থানাঙ্ক |
||
১ নং লাইন:
{{উইকিউপাত্ত স্থানাঙ্ক}}
{{redirect|নিপ্পন|অন্য ব্যবহারের|জাপান (দ্ব্যর্থতানিরসন)|এবং|নিপ্পন (দ্ব্যর্থতানিরসন)}}
{{Infobox country
১৩০ ⟶ ১৩১ নং লাইন:
===প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও প্রাচীন যুগ===
[[File:Horyu-ji11s3200.jpg|thumb|left|[[মেইন হল (জাপানি বৌদ্ধধর্ম)|গোল্ডেন হল]] ও [[হোর্যুা-জি]]-র [[তো|পাঁচ-তলা প্যাগোডা]]। এই দুটি বিশ্বের প্রাচীনতম কাঠের তৈরি ভবনগুলির অন্যতম, [[জাপানের জাতীয় সম্পদ|জাতীয় সম্পদ]] এবং [[জাপানে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির তালিকা|ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।]]।]]
আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৩০,০০০ অব্দের একটি [[জাপানি পুরনো প্রস্তরযুগ|পুরনো প্রস্তরযুগীয়]] সংস্কৃতি জাপানি দ্বীপমালায় প্রথম মানব জনবসতি গড়ে তুলেছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর খ্রিস্টপূর্ব ১৪,০০০ অব্দ নাগাদ ([[জামোন যুগ|জামোন যুগের]] শুরুতে) [[মধ্য প্রস্তরযুগ]] থেকে [[নব্য প্রস্তরযুগ|নব্য প্রস্তরযুগের]] মধ্যবর্তী সময়ে একটি সেমি-সেড্যানটারি [[শিকারী-সংগ্রাহক]] সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। এদের মধ্যে সমসাময়িক কালের [[আইনু জাতি]] ও [[ইয়ামাতো জাতি|ইয়ামাতো জাতির]] পূর্বপুরুষেরাও ছিলেন।<ref>{{
চীনা ''[[বুক অফ হান]]''-এ প্রথম জাপানের লিখিত ইতিহাস পাওয়া যায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি | last=Takashi | first=Okazaki | last2=Goodwin | first2=Janet | title=The Cambridge history of Japan, Volume 1: Ancient Japan | year=1993 | publisher=Cambridge University Press | location=Cambridge | isbn=0-521-22352-0 | page=275 | chapter=Japan and the continent}}</ref> ''[[তিন রাজ্যের নথি]]'' অনুযায়ী, খ্রিস্টীয় ৩য় শতাব্দীর জাপান দ্বীপমালার সবচেয়ে শক্তিশালী রাজ্যটির নাম ছিল [[ইয়ামাতাই]]-কোকু। [[কোরিয়া|কোরিয়ার]] [[বায়েকজে]] থেজে জাপানে প্রথম বৌদ্ধধর্মের আগমন ঘটেছিল। তবে [[জাপানে বৌদ্ধধর্ম|জাপানি বৌদ্ধধর্মের]] পরবর্তীকালীন বিকাশ ঘটেছিল প্রধানত চীনা প্রভাবে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |editor=Brown, Delmer M.|year=1993 |title=The Cambridge History of Japan |publisher=Cambridge University Press |pages=140–149}}</ref> প্রথম দিকে জাপানে বৌদ্ধধর্ম বাধাপ্রাপ্ত হলেও, পরে এই ধর্ম জাপানের শাসকশ্রেণির পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে এবং [[অসুকা যুগ|অসুকা যুগে]] (৫৯২-৭১০ খ্রিস্টাব্দ) সর্বত্র মান্যতা পায়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |title=The Japanese Experience: A Short History of Japan |first=William Gerald|last=Beasley |publisher=University of California Press |year=1999 |page=42 |isbn=0-520-22560-0 }}</ref>
১৫০ ⟶ ১৫১ নং লাইন:
[[File:Japan map 1783.jpeg|thumb|জাপানের পুনঃখোদিত মানচিত্র]]
[[তোকুগাওয়া ইয়েয়াসু]] হিদেয়োশির [[তোয়োতোমি হিদেয়োরি|পুত্রের]] অন্তর্বর্তীকালীন রাজশক্তি হিসেবে দেশ শাসন করেন। তিনি তাঁর পদ ব্যবহার করে রাজনৈতিক ও সামরিক সমর্থন যোগাড় করেন। যুদ্ধ ঘোষিত হলে তিনি ১৬০০ খ্রিস্টাব্দে [[সেকিগাহারার যুদ্ধ|সেকিগাহারার যুদ্ধে]] বিরুদ্ধ গোষ্ঠীগুলিকে পরাজিত করেন। ১৬০৩ খ্রিস্টাব্দে ইয়েয়াসু শোগুন নির্বাচিত হন এবং [[এদো|এদোতে]] (বর্তমান [[টোকিও]]) [[তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্র]] প্রতিষ্ঠা করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Turnbull|first=Stephen|title=Toyotomi Hideyoshi|year=2010|publisher=Osprey Publishing|isbn=978-1-84603-960-7|page=61}}</ref> তোকুগাওয়া শোগুনতন্ত্র যে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল তার মধ্যে অন্যতম হল ''[[বুকে শোহাত্তো]]''। এটি ছিল স্বশাসিত দাইম্যো নিয়ন্ত্রণের একটি বিধিব্যবস্থা।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Totman|first=Conrad|title=A History of Japan ''(2nd ed.)''|year=2005|publisher=Blackwell|isbn=1-4051-2359-1|pages=142–143}}</ref> এবং ১৬৩৯ খ্রিস্টাব্দে বিচ্ছিন্নতাবাদী ''[[সাকোকু]]'' ("বদ্ধ দেশ") নীতিও এই সময় গৃহীত হয়। এই নীতির ফলে আড়াই শতাব্দীকাল দেশ রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিল। এই ঐক্যবদ্ধ যুগের নাম ছিল [[এদো যুগ]] (১৬০৩-১৮৬৮)।<ref>{{
===আধুনিক যুগ===
১৮৫৪ সালের ৩১ মার্চ [[ম্যাথিউ সি. পেরি|কমোডোর ম্যাথিউ পেরি]] ও [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনী|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর]] "[[ব্ল্যাক শিপস]]" [[কানাগাওয়া সম্মেলন|কানাগাওয়া সম্মেলনে]] জাপানকে বহির্বিশ্বের কাছে দ্বার উন্মুক্ত করতে বাধ্য করে। [[বাকুমাৎসু]] যুগের পাশ্চাত্য দেশগুলির সঙ্গে পরবর্তী অনুরূপ চুক্তিগুলির ফলে দেশে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। শোগুনের পদত্যাগের ফলে [[বোশিনের যুদ্ধ]] শুরু হয় এবং সম্রাটের অধীনে নামমাত্র ঐক্যবদ্ধ ([[মেইজি পুনঃস্থাপনা]]) [[হান ব্যবস্থার অবলুপ্তি|কেন্দ্রীভূত]] রাষ্ট্র গঠিত হয়।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Totman|first=Conrad|title=A History of Japan ''(2nd ed.)''|year=2005|publisher=Blackwell|isbn=1-4051-2359-1|pages=289–296}}</ref>
১৬১ ⟶ ১৬২ নং লাইন:
২০শ শতাব্দীর প্রথম দিকটি ছিল সংক্ষিপ্ত [[তাইশো যুগ|তাইশো গণতন্ত্রের]] যুগ। এই সময় জাপানের ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণবাদ ও [[জাপানি সমরমনস্কতা|সমরমনস্কতা]] কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ|প্রথম বিশ্বযুদ্ধের]] সময় [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তি|বিজয়ী মিত্রশক্তি হিসেবে]] জাপান [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জাপান|নিজের প্রভাব ও আঞ্চলিক কর্তৃত্ব বৃদ্ধি করতে]] সক্ষম হয়। ১৯৩১ সালে জাপান সম্প্রসারণ নীতি গ্রহণ করে [[মাঞ্চুরিয়া]] দখল করে। জাপান-কর্তৃক মাঞ্চুরিয়া অধিকার [[লিটন রিপোর্ট|আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিত হলে]] দুই বছর পর জাপান [[লিগ অফ নেশনস]] থেকে পদত্যাগ করে। ১৯৩৬ সালে জাপান [[নাৎসি জার্মানি|নাৎসি জার্মানির]] সঙ্গে [[অ্যান্টি-কমিনটার্ন চুক্তি]] সাক্ষরিত করে। ১৯৪০ সালে [[ত্রিপাক্ষিক চুক্তি|ত্রিপাক্ষিক চুক্তির]] ফলে জাপান অক্ষশক্তির অন্তর্ভুক্ত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=The Axis Alliance|url=http://www.ibiblio.org/pha/policy/pre-war/361125a.html#3|publisher=iBiblio|accessdate=January 16, 2011}}</ref> ১৯৪১ সালে জাপান [[সোভিয়েত-জাপান নিরপেক্ষতা চুক্তি]] সাক্ষর করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Totman|first=Conrad|title=A History of Japan ''(2nd ed.)''|year=2005|publisher=Blackwell|isbn=1-4051-2359-1|page=442}}</ref>
[[File:Umezu.jpg|thumb||upright|১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাপানি আধিকারিকেরা মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করছে। এই ঘটনায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়।]]
১৯৩৭ সালে জাপান সাম্রাজ্য চীনের অন্যান্য অঞ্চলে আক্রমণ চালায়। এই ঘটনা [[দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধ]] (১৯৩৭-১৯৪৫) নামে পরিচিত। জাপান সাম্রাজ্যের সেনাবাহিনী সহজেই রাজধানী [[নানজিং]] দখল করে নেয় এবং [[নানকিং গণহত্যা]] চালায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.ibiblio.org/hyperwar/PTO/IMTFE/IMTFE-8.html |title=Judgment International Military Tribunal for the Far East, Chapter VIII: Conventional War Crimes (Atrocities) |publisher=iBiblio |date=November 1948}}</ref> এরপর ১৯৪০ সালে জাপান সাম্রাজ্য [[ফরাসি ইন্দোচীনে জাপানি আক্রমণ|ফরাসি ইন্দোচীন আক্রমণ করে]]। এই ঘটনার পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাপানের উপর একটি তেল নিষেধাজ্ঞা স্থাপন করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |first=Roland H., Jr. |last=Worth |title=No Choice But War: the United States Embargo Against Japan and the Eruption of War in the Pacific |publisher=McFarland |year=1995 |pages=56, 86|isbn=0-7864-0141-9}}</ref> ১৯৪১ সালের ৭ ও ৮ ডিসেম্বর জাপানি বাহিনী অতর্কিতে [[পার্ল হারবার আক্রমণ]] করে, [[মালয়ের যুদ্ধ|মালয়]], [[সিঙ্গাপুরে বোমা নিক্ষেপ (১৯৪১)|সিঙ্গাপুর]] ও [[হংকংয়ের যুদ্ধ|হংকংয়ে]] ব্রিটিশ বাহিনীকে আক্রমণ করে এবং [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জাপানের যুদ্ধ ঘোষণা|যুদ্ধ ঘোষণা]] করে দেয়। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য [[প্রশান্তমহাসাগরীয় যুদ্ধ|প্রশান্ত মহাসাগরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাঙ্গনে]] প্রবেশ করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.sankei.co.jp/seiron/koukoku/2005/0504/ronbun3-2.html |script-title=ja:インドネシア独立運動と日本とスカルノ(2)|work=馬 樹禮 |publisher=産経新聞社 |date=April 2005 |accessdate=October 2, 2009|language=Japanese}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.ibiblio.org/pha/policy/1941/411208c.html |title=The Kingdom of the Netherlands Declares War with Japan |publisher=iBiblio |accessdate=October 2, 2009}}</ref> ১৯৪৫ সালে [[মাঞ্চুরিয়ায় সোভিয়েত আক্রমণ]] ও [[হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ|হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের]] পর ১৫ অগস্ট জাপান [[জাপানের আত্মসমর্পণ|নিঃশর্ত আত্মসমর্পণে]] রাজি হয়।<ref>{{
১৯৪৭ সালে জাপান একটি নতুন [[জাপানের সংবিধান|সংবিধান]] গ্রহণ করে। এই সংবিধানে উদারনৈতিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়। ১৯৫২সালের [[সান ফ্রান্সিসকোর চুক্তি]] বলে জাপানে [[জাপানের দখল|মিত্রশক্তির অধিকার]] সমাপ্ত হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |url=http://www.japantimes.co.jp/news/2007/03/06/national/52-coup-plot-bid-to-rearm-japan-cia/ |title='52 coup plot bid to rearm Japan: CIA |first=Joseph |last=Coleman| date=March 6, 2007|work=The Japan Times |accessdate=April 3, 2007}}</ref> ১৯৫৬ সালে জাপান রাষ্ট্রসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। এরপর জাপানে [[জাপানে যুদ্ধোত্তর অতিদ্রুত আর্থিক বৃদ্ধি|দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নতি]] ঘটতে থাকে। জাপানে বিশ্বের দ্বিতীয়-বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে জাপান কিছুকালের জন্য অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছিল। কিন্তু ২১শ শতাব্দীর প্রথম ভাগেই আবার জাপানে স্বাভাবিক আর্থিক বিকাশ ঘটতে শুরু করে।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |url=http://news.bbc.co.uk/2/hi/business/5178822.stm |title=Japan scraps zero interest rates |publisher=BBC News |date=July 14, 2006 |accessdate=December 28, 2006}}</ref> ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানে [[২০১১ তোহকু ভূমিকম্প ও সুনামি|নথিবদ্ধ ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী ভূমিকম্পের]] ঘটনাটি ঘটে। এর ফলে [[ফুকুশিমা দাইইচি পারমাণবিক দুর্ঘটনা]] ঘটে। এই দুর্ঘটনা পারমাণবিক শক্তির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ দুর্ঘটনাগুলির অন্যতম।<ref name="nytimes-tsunami">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|last=Fackler|first=Martin; Drew, Kevin|title=Devastation as Tsunami Crashes Into Japan|url=http://www.nytimes.com/2011/03/12/world/asia/12japan.html?ref=world|accessdate=March 11, 2011|newspaper=The New York Times|date=March 11, 2011}}</ref>
১৭৪ ⟶ ১৭৫ নং লাইন:
জাপানের প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। সদস্যদের মধ্যে থেকে ডায়েট কর্তৃক মনোনীত হওয়ার পর তাঁকে সম্রাট প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীই ক্যাবিনেটের প্রধান। তিনি রাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিযুক্ত বা পদচ্যুত করতে পারেন। [[জাপানের সাধারণ নির্বাচন, ২০১২|২০১২ সালের সাধারণ নির্বাচনে]] এলডিপির বিপুল জয়ের পর ওই বছর ২৬ ডিসেম্বর [[ইয়োশিহিকো নোদা|ইয়োশিহিকো নোদাকে]] অপসৃত করে [[শিনযো আবে]] প্রধানমন্ত্রী হন।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|last=Fackler|first=Martin|title=Ex-Premier Is Chosen To Govern Japan Again|url=http://www.nytimes.com/2012/12/27/world/asia/shinzo-abe-selected-as-japans-prime-minister.html?_r=1&|accessdate=March 12, 2013|newspaper=The New York Times|date=December 27, 2013|location=New York}}</ref> তিনি দেশের ৬ষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ছয় বছরের জন্য শপথ নেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে সম্রাট নিযুক্ত করলেও দেশের সংবিধানে বলা হয়েছে, যাঁকে ডায়েট মনোনীত করবে, সম্রাট কেবল তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করতে পারবেন।<ref name="Constitution"/>
অতীতে [[চীনা আইন]] দ্বারা প্রভাবিত হলেও [[এদো যুগ|এদো যুগে]] ''[[কুজিকাতা ওসাদামেগাকি]]'' প্রভৃতি গ্রন্থের মাধ্যমে [[জাপানের আইন|জাপানি আইন ব্যবস্থা]] স্বতন্ত্রভাবে বিকশিত হয়ে ওঠে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Dean|first=Meryll|title=Japanese legal system: text, cases & materials|year=2002|publisher=Cavendish|isbn=978-1-85941-673-0|pages=55–58|edition=2nd}}</ref> যদিও ১৯শ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে [[জাপানের বিচার ব্যবস্থা]] ইউরোপের (প্রধানত জার্মানির) ফৌজদারি আইনের ভিত্তিতে গড়ে ওঠে। উদাহরণ স্বরূপ, ১৮৯৬ সালে জাপান সরকার জার্মান [[বুরগারলিকস গেসেজবাচ]]-এর ভিত্তিতে ফৌজদারি বিধি প্রবর্তন করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সংস্কার পর্যন্ত প্রচলিত ছিল।<ref>{{
==বৈদেশিক সম্পর্ক ও সামরিক বাহিনী==
২৪১ ⟶ ২৪২ নং লাইন:
[[File:Tokyo stock exchange.jpg|thumb|[[টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ]], এশিয়ার বৃহত্তম স্টক এক্সচেঞ্জ।<ref name="fm">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|url=http://economictimes.indiatimes.com/markets/global-markets/China-becomes-worlds-third-largest-stock-market/articleshow/6068129.cms|title= Japan's Tokyo Stock Exchange is the second largest stock market with a market value of $3.8 trillion |work=The Economic Times |location=India|accessdate=June 19, 2010|date=June 19, 2010}}</ref>]]
===অর্থনৈতিক ইতিহাস===
আধুনিক জাপানের অর্থনৈতিক বিকাশ শুরু হয়েছিল [[এদো যুগ|এদো যুগে]]। এদো যুগের অধুনা বিদ্যলাম শিল্প উপাদানগুলির মধ্যে [[কাইদো|সড়ক]] ও জলপথ এবং [[ফিউচার্স কনট্র্যাক্টস]], ব্যাংকিং ও [[ওসাকা রাইস ব্রোকারস|ওসাকা রাইস ব্রোকারসের]] বিমাগুলির মতো অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলি উল্লেখযোগ্য।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |title=The Origins of Japanese Trade Supremacy |author=Howe, Christopher |publisher=Hurst & Company |year=1996 |isbn=1-85065-538-3|pages=58f}}</ref> ১৮৬৮ সাল থেকে মেইজি যুগে জাপানের অর্থনীতি প্রসার লাভ করে। এই সময় জাপান [[বাজার অর্থনীতি|বাজার অর্থনীতিকে]] গ্রহণ করেছিল।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=Totman|first=Conrad|title=A History of Japan ''(2nd ed.)''|year=2005|publisher=Blackwell|isbn=1-4051-2359-1|pages=312–314}}</ref> আজকের অনেক সংস্থা সেই যুগে স্থাপিত হয়েছিল। সেই সময় থেকেই জাপান এশিয়ার সর্বাধিক সর্মৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠতে শুরু করে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|last=McCargo|first=Duncan|title=Contemporary Japan|year=2000|publisher=Macmillan|isbn=0-333-71000-2 |pages=18–19}}</ref> ১৯৬০ থেকে ১৯৮০-এর দশক পর্যন্ত জাপানের সার্বিক অর্থনৈতিক বিকাশকে বলে হয় [[জাপানের যুদ্ধোত্তর অর্থনৈতিক বিস্ময়]]। এই বৃদ্ধির হার ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে ছিল ৭.৫ এবং ১৯৮০-এর দশক ও ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে ছিল ৩.২।<ref>{{
১৯৯০-এর দশকে [[জাপানিজ অ্যাসেট প্রাইস বাবল]] ও শেয়ার বাজার ও রিয়েল এস্টেট বাজার থেকে স্পেকুলেটিক এক্সেস আরোপ করার সরকারি নীতি ফলস্রুতিতে যে [[লস্ট ডিকেড (জাপান)|"লস্ট ডিকেডে"র]] ঘটনা ঘটে, তার ফলে আর্থিক বৃদ্ধি কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল। বৃদ্ধির হার বাড়ানোর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় এবং [[ডট-কম বাবল|২০০০ সালের বিশ্বজনীন মন্দার]] প্রেক্ষিতে তা আরও হ্রাস পায়।<ref name="cia"/> ২০০৫ সালের পর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আবার শুরু হয়। সেই বছরের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ২.৮%, যা সেই বছরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা [[ইউরোপীয় ইউনিয়ন|ইউরোপীয় ইউনিয়ের]] বৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে যায়।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|last=Masake|first=Hisane|title=A farewell to zero|url=http://www.atimes.com/atimes/Japan/HC02Dh01.html|accessdate=January 16, 2011|newspaper=Asia Times|date=March 2, 2006}}</ref>
|