নদিয়া রাজপরিবার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন |
সংশোধন, সম্প্রসারণ |
||
২৫ নং লাইন:
===রাঘব রায়===
রাঘব দিগনগরে ২০,০০০ টাকা ব্যয়ে ১৪২৩ হাত × ৪২০ হাত ক্ষেত্রবিশিষ্ট দীঘি খনন করান। দীঘির পূর্বদিকে সুবৃহৎ ঘাট, সুন্দর অট্টালিকা ও দুটি মন্দির (চারচালা ও বাংলা মন্দিরের সাদৃশ্যে সুনিপুণ পোড়ামাটির কাজযুক্ত) নির্মান করান। মন্দিরের দেওয়ালে উৎকীর্ণ লিপি অনুসারে, ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি মন্দিরে রাঘবেশ্বর শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন।
===রুদ্র রায়===
৪১ ⟶ ৪৩ নং লাইন:
{{Main|কৃষ্ণচন্দ্র রায়}}
নদিয়ার রাজবংশের শ্রেষ্ঠ রাজা [[কৃষ্ণচন্দ্র রায়]]। পিতা রঘুরাম রায়ের মৃত্যুর পর মাত্র ১৮ বছর বয়সে ১৭২৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি রাজা হন। বিদ্বান, প্রজাপালক ও সংস্কৃতিবান ছিলেন। তাঁর গঙ্গাবাসের প্রাসাদ ছিল নদিয়ার এক ক্রোশ পূর্বে শ্রীনগরে। তাঁর রাজত্বকালে রাজ্যে বিস্তার ও বিপুল সমৃদ্ধি ঘটে। তাঁর রাজত্বকাল নানা ঘটনায় পূর্ণ। [[পলাশীর যুদ্ধ]], [[ছিয়াত্তরের মন্বন্তর]],[[বর্গী]] হামলা ইত্যাদি তারই আমলে হয়। তার সময় বাংলায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, সংগীতের বিকাশ ঘটেছিল। বিভিন্ন প্রতিভাবান মানুষ তার পৃষ্ঠপোষকতায় রাজসভা অলংকৃত করেন।
সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম কৃষ্ণচন্দ্রকে প্রথমে 'মহারাজা' ও পরে লর্ড ক্লাইভের সুপারিশে '''মহারাজেন্দ্র বাহাদুর''<nowiki/>' উপাধিতে ভূষিত করেন<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=নদীয়া কাহিনী|last=কুমুদনাথ মল্লিক|first=বিলু কবীর সম্পাদিত|publisher=বইপত্র|year=১৯৯৮|isbn=978-984-8116-00-5|location=ঢাকা|pages=২৭৭}}</ref>। পলাশীর যুদ্ধের পর [[লর্ড ক্লাইভ]] তাঁকে পাঁচটি কামান উপহার দিয়েছিলেন।
কৃষ্ণচন্দ্র প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয় করে অগ্নিহোত্র ও বাজপেয় যজ্ঞ করেছিলেন৷ তাঁর আদেশে নদিয়ায় ব্যাপকভাবে দীপান্বিতা [[শ্যামাপূজা]]র প্রচলন ঘটে৷ তাঁর আমলে নদিয়ায় প্রায় ১০,০০০ কালীমূর্তির পূজা হত। পরবর্তীকালে, তাঁর পৌত্র ঈশানচন্দ্র হাজার-হাজার মণ নৈবেদ্য, বস্ত্রখণ্ড ও উপাচারে মাতৃপূজার আড়ম্বর করেছিলেন।▼
▲কৃষ্ণচন্দ্র প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয় করে অগ্নিহোত্র ও বাজপেয় যজ্ঞ করেছিলেন৷ ১৭৬৮ খ্রিস্টাব্দে কাশীনাথের 'কালী সপর্যাবিধি' গ্রন্থে প্রথম কালীপূজার বিধি উল্লিখিত হওয়ার পর তাঁর আদেশে নদিয়ায় ব্যাপকভাবে দীপান্বিতা [[শ্যামাপূজা]]র প্রচলন ঘটে৷ তাঁর আমলে নদিয়ায় প্রায় ১০,০০০ কালীমূর্তির পূজা হত। পরবর্তীকালে, তাঁর পৌত্র ঈশানচন্দ্র হাজার-হাজার মণ নৈবেদ্য, বস্ত্রখণ্ড ও উপাচারে মাতৃপূজার আড়ম্বর করেছিলেন।<ref name=Ghoh>ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন</ref>
▲১৭৮২ খ্রিস্টাব্দের ২২ আষাঢ় কৃষ্ণচন্দ্র পরলোকগমন করেন।<ref name=Ghoh>ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন</ref>
কৃষ্ণচন্দ্রের বৃদ্ধাবস্থায় কলকাতার বিখ্যাত রাজা নবকৃষ্ণ দেব নদিয়ার অগ্রদ্বীপের জাগ্রত গোপীনাথ বিগ্রহ অপহরণ করে নৌকাযোগে কলকাতার রাজবাড়িতে নিয়ে যান। লর্ড ক্লাইভের মধ্যস্থতার ফলে মূর্তিটি শেষে কৃষ্ণচন্দ্রের হস্তগত হয়।
১৭৮২ খ্রিস্টাব্দের ২২ আষাঢ় মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র পরলোকগমন করেন।<ref name=Ghoh>ঘোষ, বিনয়, "পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি", তৃতীয় খন্ড, প্রথম সংস্করণ, প্রকাশ ভবন</ref>
==তথ্যসূত্র==
|