দক্ষিণ কোরিয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎বহিঃসংযোগ: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জ...
Muhammad Abul Hasan (আলোচনা | অবদান)
বর্তমান প্রেসিডেন্টের নাম হালনাগাদ করা হয়েছে।
৭১ নং লাইন:
'''দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসনিক ব্যবস্থা''' একটি রাষ্ট্রপতিশাসিত বহুদলীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র। রাষ্ট্রপতি হলেন রাষ্ট্রের প্রধান। সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত। আইন প্রণয়নের ক্ষমতা সরকার এবং আইনসভা উভয়ের উপর ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ ও আইন প্রণয়ন বিভাগ হতে স্বাধীন। ১৯৪৮ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধানে ৫টি বড় সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রতিটি সংশোধনী একটি নতুন প্রজাতন্ত্রের সূচনা হিসেবে গণ্য করা হয়। বর্তমান প্রজাতন্ত্রটি ১৯৮৮ সালের সংবিধান সংশোধনীর পরে বহাল হয়েছে।
 
রাষ্ট্রপতি জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৫ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হন। লিমুন মিউং-বাকজে ২০০৮ইন ২০১৭ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান রাষ্ট্রপতি।
 
সমাজতান্ত্রিক ও মার্ক্সবাদী নেতা কিম ইল সংয়ের নেতৃত্বাধীন কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির নিয়ন্ত্রণে উত্তর কোরিয়ায় একদলীয় শাসন চালু হয়, মূলত যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে পূণর্গঠনের জন্যে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নেয়া হয়। তারপর থেকে উত্তর কোরিয়া উন্নত হতে শুরু করে সমাজতান্ত্রিক পথে। দক্ষিণ কোরিয়া পুঁজিবাদি আমেরিকার মতাদশে এর পুঁজিবাদি ব্লকে যোগ দান করে। কিন্তু এ উন্নতি কোন সমাজতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় বাজার অর্থনীতির প্রবক্তা আমেরিকা তা মেনে নিতে পারেনি। তাই তারা এই দেশের রাজনীতি নিয়ে নানা রকম প্রশ্ন তুলে ও নানা ভাবে সমাজতান্ত্রিক দেশ উত্তর কোরিয়া এর পতন এর জন্য কাজ শুরু করে। দক্ষিণ কোরিয়াতে আমেরিকার পুঁজিবাদ চালু হয়। তারা এ দেশ এর মহান নেতা কিম ইল সংয়ের নেতৃত্বকে কখনও অগণতান্ত্রিক, কখনও স্তালিনিয় বা একনায়কতান্ত্রিক শাসন হিসাবে উল্লেখ করে। যদিও সমাজতান্ত্রিক দেশ উত্তর কোরিয়া নেতা কিম ইল সংয়ের সমাজতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক আদর্শতে দেশে প্রচুর উন্নতি সাধন করছিল এবং উন্নয়নে এগিয়ে ছিল । সমাজতান্ত্রিক ভাবধারা হওয়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে তাদের সম্পক ছিল মধুর। সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজতান্ত্রিক উন্নয়নমুখীতার প্রভাব উত্তর কোরিয়া উপরও দেখা যায়। তবুও পুঁজিবাদি মাকিন যুক্তরাস্ট্র এই উন্নতি মেনে নিতে পারছিল না, যেহেতু সকল সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্র ছিল তাদের চোখে শত্রু। তারা সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্র যে দুনিয়ার পক্ষে কতটা ক্ষতিকর তা তুলে ধরতে থাকে এবং সকল সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্রই যে মানবজাতি ও মানবাধিকারের প্রতি হুমকি তা বার বার নানা কুটকথা এর মধ্যে দিয়ে প্রকাশ করতে থাকে। সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্র এর পতন যে নিশ্চিত তা তারা নানা রকম পুঁজিবাদি মডেল এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়। সমাজতান্ত্রিক রাস্ট্র ব্যবস্থা যে আবার আরেকটি মহাযুদ্ধ শুরু করবে তা নিয়ে পুঁজিবাদি মাকিন যুক্তরাষ্ট্র পুর্বসংকেত করেছিল। যদিও ১৯৯০ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন পর্যন্ত কোন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রই মহাযুদ্ধ শুরু করেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি নাম রাখা হয় প্রজাতন্ত্রী কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া এর রাজধানীর হয় সিউল।