শূন্য রান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিভাষার উৎপত্তি - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি |
উল্লেখযোগ্য শূন্য রান - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি |
||
৪ নং লাইন:
‘হাঁসের ডিম’ পরিভাষার সংক্ষিপ্ত রূপ এ [[পরিভাষা|পরিভাষাটি]]। হাঁসের ডিম পরিভাষাটি [[টেস্ট ক্রিকেট]] শুরু হবার অনেক পূর্ব থেকেই প্রচলিত হয়ে আসছিল। ১৭ জুলাই, ১৮৬৬ তারিখে প্রিন্স অব ওয়েলস (ভবিষ্যতের [[Edward VII|সপ্তম এডওয়ার্ড]]) শূন্য রান তুললে সমসাময়িক এক [[সংবাদপত্র|সংবাদপত্রে]] তাঁকে উদ্দেশ্য করে লিখে যে, প্রিন্স একটি হাঁসের ডিম নিয়ে রয়্যাল প্যাভিলিয়ন থেকে অবসর নিয়েছেন।<ref name="Correspondent"/> এ নামকরণটির বিষয়ে নম্বর (০) শূন্যের আকারের সাথে জড়িত যা অনেকটাই [[হাঁস|হাঁসের]] ডিমের মতো দেখতে। কনসাইজ অক্সফোর্ড ডিকশনারীতে অদ্যাবধি এ পরিভাষার বিকল্প হিসেবে হাঁসের [[ডিম]] ব্যবহার করছে।<ref>{{cite web | url=http://www.askoxford.com/concise_oed/duck_3?view=uk | title=duck | accessdate=2009-03-29 | publisher=[[AskOxford.com]]}}</ref> আমেরিকায় সাধারণভাবে শূন্যজাতীয় যে-কোন ক্ষেত্রে রাজহাঁসের ডিম হিসেবে দেখানো হয়।
== উল্লেখযোগ্য শূন্য রান ==
টেস্ট খেলায় প্রথম শূন্য রানের ঘটনা ঘটে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্টেই। [[মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড|মেলবোর্নে]] মার্চ, ১৮৭৭ সালে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া]] বনাম [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ডের]] মধ্যকার খেলায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। [[জেমস লিলিহোয়াইট|জেমস লিলিহোয়াইটের]] [[বোলিং (ক্রিকেট)|বোলিংয়ে]] [[নেড গ্রিগরি]], [[অ্যান্ড্রু গ্রীনউড|অ্যান্ড্রু গ্রীনউডের]] [[Caught (cricket)|কটে]] পরিণত হন।<ref>{{cite web | url=http://cricketarchive.co.uk/Archive/Scorecards/2/2077.html | title=Australia v England in 1876/77 | accessdate=2007-05-22 | publisher=[[CricketArchive]]}}</ref> {{As of|2017|July|lc=on}} সাল পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে সর্বাধিক শূন্য রানের অধিকারী হচ্ছেন বিখ্যাত [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান]] ক্রিকেটার [[কোর্টনি ওয়ালস]]। তিনি সর্বমোট ৪৩বার শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ যেতে বাধ্য হন।<ref>{{cite web | url=http://uk.cricinfo.com/db/STATS/TESTS/BATTING/DUCKS_IN_TESTS.html | title=Tests – Most Ducks in Career | accessdate=2017-07-07 | publisher=[[Cricinfo]]}}</ref> তবে [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট|প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে]] সামগ্রীকভাবে ১৫৬বার শূন্য রান পেয়েছেন [[Worcestershire County Cricket Club|ওরচেস্টারশায়ার]] ও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় [[রেজ পার্কস]]।<ref>{{cite web | url=http://cricketarchive.co.uk/Archive/Records/Firstclass/Overall/Most_Ducks.html | title=Most Ducks in First-Class Cricket | accessdate=2007-05-22 | publisher=[[CricketArchive]]}}</ref>
উচ্চ পর্যায়ের উদাহরণ হিসেবে [[১৯৪৮
১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলিয়া দল [[ভারত জাতীয় ক্রিকেট দল|ভারত]] সফরে যায়। সিরিজের প্রথম টেস্টে সমতাসূচক রানের পর ভারতীয় [[ব্যাটিং অর্ডার|নীচেরসারির]] ব্যাটসম্যান [[Maninder Singh (cricketer)|মনিন্দার সিং]] [[Greg Matthews|গ্রেগ ম্যাথুজের]] বলে চার বল মোকাবেলা করে [[লেগ বিফোর উইকেট|এলবিডব্লিউ’র]] কবলে পড়েন। ফলশ্রুতিতে ঐ টেস্টটি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্বিতীয় [[tied Test|টাই টেস্টে]] রূপান্তরিত হয়।
ভারতীয় [[অল-রাউন্ডার]] [[অজিত আগরকর]] অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাতবার ধারাবাহিকভাবে টেস্টে শূন্য লাভ করেন। এরফলে তিনি দূর্ভাগ্যজনকভাবে ‘[[Bombay Duck|বোম্বে ডাক]]’ ডাকনামে
নির্দিষ্ট ধরনের শূন্য রানের জন্য বেশ কিছু প্রকারভেদ প্রচলিত রয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়ে এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ। এক অঞ্চলের পরিভাষা অন্য অঞ্চলে ভিন্ন অর্থের প্রয়োগ ঘটায়। এমনকি ইএসপিএন ক্রিকইনফো'র ধারাভাষ্য দল কিংবা ক্রিকেট বোর্ডের ওয়েবসাইটেও এ ভিন্নতা সবিশেষ লক্ষ্যণীয়। কিছু পরিভাষায় কোন পটভূমি নেই।
প্রথম বল মোকাবেলা করে কোন খেলোয়াড় ডিসমিসাল হলে, গোল্ডেন ডাক হিসেবে পরিগণনা করা হয়। এ পরিভাষাটি ক্রিকেট বিশ্বের সর্বত্র প্রচলিত।
গোল্ডেন ডাকের বর্ধিত রূপ হচ্ছে সিলভার ডাক ও ব্রোঞ্জ ডাক। দ্বিতীয় বল ও তৃতীয় বলে শূন্য রানে এ পরিভাষাগুলোর ব্যবহার হয়। ঐ শূন্য রানের কোন বিকল্প নাম নেই। এছাড়াও, গোল্ডেন ডাকের ন্যায় এ পরিভাষাগুলো সাধারণভাবে প্রচলিত নয়।
কোন বলের মুখোমুখি হবার পূর্বেই কোন ব্যাটসম্যান ডিসমিস হলে তিনি ডায়মন্ড ডাক পেয়েছেন বলে চিত্রিত হন। সাধারণতঃ নন-স্ট্রাইকিং অবস্থান থেকে রান আউটের শিকারে পরিণত হলেও স্ট্যাম্পিং কিংবা ওয়াইড ডেলিভারিতেও এ ধরনের আউট হতে পারে। তবে, এ পরিভাষাটি কিছু অঞ্চলে ব্যবহার হয়ে থাকে।
একজন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দলের ইনিংসের প্রথম বলেই ডিসমিস হলে তিনি ডায়মন্ড ডাক, প্লাটিনাম ডাক বা রয়্যাল ডাক পেয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়। এ পরিভাষাটিও অঞ্চলভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
একজন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দলের ইনিংসের প্রথম বলেই মুখোমুখি না হওয়া স্বত্ত্বেও ডিসমিস হলে তিনি টাইটেনিয়াম ডাক পেয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়। তবে এ ধরনের ঘটনা খুবই দূর্লভ ও এ পরিভাষাটি সর্বত্র ব্যবহৃত হয় না।
একজন ব্যাটসম্যান যদি শূন্য রানে আউট হন ও ব্যাটিংকারী দলের ইনিংসের শেষে ঘটে তাহলে তিনি লাফিং ডাক পেয়েছেন।
কোন মৌসুমের প্রথম খেলায় কোন ব্যাটসম্যান নিজ দলের পক্ষে প্রথম বলেই শূন্য পেলে তিনি গোল্ডেন গুস পেয়েছেন।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
== আরও দেখুন ==
* [[জিওফ মিলার]]
* [[নরম্যান ইয়ার্ডলি]]
* [[১৯৪৮ অ্যাশেজ সিরিজ]]
* [[১৯৪৮ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফরে ডন টলন]]
[[বিষয়শ্রেণী:ক্রিকেট পরিভাষা]]
|