বালাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সংশোধন
→‎ক্যারিয়ার: প্রতিলিপি সম্পাদনা
৬ নং লাইন:
বালামের জন্ম ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭৫, রাজধানীর জিগাতলায়। তার বাবা কাজী জাহাঙ্গীর হাফিজ সেলিম এবং মা রোকসানা জাহাঙ্গীর। বালামের বড় দুই ভাইয়ের নাম যথাক্রমে বাবর ও বাপ্পী। তার একমাত্র বোন ফাতেমা জাহাঙ্গীর। বালামের স্ত্রী সাগুফতা ফারুক সাদিয়া ও একমাত্র সন্তান ফাবিয়ান জাহাঙ্গীর।
 
== সঙ্গীত জীবন ==
== ক্যারিয়ার ==
বালামের সঙ্গীতের শুরু হয়েছিলো ব্যান্ড দল রেইনিগেডসের মাধ্যমে। তিনি তার বন্ধু শহীদ ও রিপনের সঙ্গে ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ব্যান্ডটি। তিনি ছিলেন ব্যান্ডটির লিড গিটারিস্ট ও ভোকাল্‌ পরবর্তীতে কীবোর্ডিস্ট হিসেবে যোগদান করেন হালের আরেক ক্রেজ হাবিব ওয়াহিদ। শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভির ব্যানারে প্রকাশিত হয় তাদের প্রথম অ্যালবাম "ফিরিয়ে দাও"। তবে এরও পূর্বে তিনিপ্রকাশ করেন সুরকার হিসেবে। সপ্তম শ্রেণীতে থাকার সময় প্রথম সুর করেন জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ওয়ারফেজের অসম্ভব শ্রোতাপ্রিয় একটি গান্ন-"কৈশোর"। পরে ১৯৯৮ সালের শেষ দিকে বালাম লিড গিটারিস্ট ও ২য় ভোকাল হিসেবে যোগদান করেন ব্যান্ডটিতে। কিন্তু ২০০২ সালে ওয়ারফেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সঞ্জয় ও বাবনা ব্যক্তিগত কারণে ওয়ারফেজ ত্যাগ করলে বালাম উন্নীত হন ১ম ভোকাল হিসেবে। এসময় তার ভোকালেই ওয়ারফেজ ২০০৩ সালে প্রকাশ করে অ্যালবাম- "মহারাজ"।
 
ওয়ারফেজে থাকাকালীন সময়েই বালাম তার কম্পোজিশনে প্রকাশ করেন মিক্সড অ্যালবাম- "প্রেম শিকারী"। এই অ্যালবামটি বালামকে পরিচিত করে তোলে সঙ্গীতবোদ্ধাদের কাছে। ওয়ারফেজের আলো অ্যালবামেও বালাম উপহার দেন "যতোদূরে", "নেই তুমি" ও সময়ের মতো বেশ কিছু জনপ্রিয় গান। অ্যালবাম প্রকাশের পর ওয়ারফেজ ত্যাগ করেন বালাম।
ওয়ারফেজে থাকাকালীন সময়েই বালাম তার কম্পোজিশনে প্রকাশ করেন মিক্সড অ্যালবাম- "প্রেম শিকারী"। এতে বালামের সহশিল্পী ছিলেন জুলি, জাহিদ পিন্টু ও অভি। বেশ শ্রোতাপ্রিয় এই অ্যালবামটি বালামকে পরিচিত করে তোলে সঙ্গীতবোদ্ধাদের কাছে। ওয়ারফেজের আলো অ্যালবামেও বালাম উপহার দেন "যতোদূরে", "নেই তুমি" ও সময়ের মতো বেশ কিছু জনপ্রিয় গান। কিন্তু হঠাৎই বিনা মেঘে বজ্রপাত ! ওয়ারফেজ ত্যাগ করলেন বালাম ! এমন সংবাদ স্তম্ভিত করে দেয় ওয়ারফেজ ও বালাম ভক্তদের। কারণ হিসেবে বালাম বলেন - "ওয়ারফেইজ একটা রক ব্যান্ড। ব্যান্ডে থেকে রকের বাইরে অন্য কোনো গান করা সম্ভব নয়। আমার আইডেনটিটিও দাড়িয়েছে রক সিঙ্গার হিসেবেই। কিন্তু ছেলেবেলা থেকেই আমি মিশ্র সঙ্গীত ঘরানার ভেতর বড় হয়েছি। যার ফলে, আমার মাথায় নানা ধরনের গান খেলা করে, যেগুলো আমি আমার ব্যান্ডে করতে পারছিলাম না। সে গানগুলো করার জন্যই ব্যান্ড ছাড়া একক গান করা। তবে ওয়ারফেইজকে আমি এখনো ভালোবাসি। এখনো ওয়ারফেইজের সব সদস্যের সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে।" ওয়ারফেজ ছাড়ার পরই একক অ্যালবামের দিকে মন দেন বালাম। ২০০৭ সালে লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশ করেন নিজের প্রথম অ্যালবাম যেটি ছিলো সেলফ টাইটেলড। এই অ্যালবামটিই বালামকে এনে দেয় আকাশ্চুম্বী জনপ্রিয়তা। সফট মেলোডি ধাঁচের এই গানগুলো শ্রোতাদের মন জয় করে নেয় খুব দ্রুত। রাতারাতি তারকা বনে যান বালাম। ২০০৮ সালে তার হাত ধরে সঙ্গীতার ব্যানারে "বালাম ফিচারিং জুলি" দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন বোন জুলি। বেশ জনপ্রিয়তা পায় অ্যালবামটি। এরপর তিনি সঙ্গীতার ব্যানারে আরো প্রকাশ করেন বালাম ২(২০০৮) ও বালাম ৩(২০১০)। মাঝে ২০০৯ সালে বোনকে নিয়ে আবারও প্রকাশ করেন- "বালাম ফিচারিং জুলি ২- স্বপ্নের পৃথিবী"। এবারে আগের মতো আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা না পেলেও গড়পড়তা সফল অ্যালবাম হিসেবে বেশ ব্যবসাসফল হয় অ্যালবামগুলো। এরপরই দীর্ঘ তিন বছরের বিরতি ! কারণ, স্ত্রীর মারাত্মক অসুস্থতা। এই বিপর্যয়ে বালাম নীরব হয়ে যান সঙ্গীতাঙ্গনে। অবশেষে আড়াল ভেঙ্গে ২০১৩ সালে বালাম ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ করেন তার বহুল প্রতীক্ষিত ৪র্থ একক-"ভূবন(বালাম ৪)"। কিন্তু অডিও বাজারের বিপর্যয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এই গানগুলোও সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়। আবার ডুব ! কিন্তু এবার বালাম ফিরে আসেন বিজয়ী বেশে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গানবাংলার প্রধান নির্বাহী ও বালামের অন্যতম অন্তরঙ্গ বন্ধু কৌশিক হোসেন তাপসের অনুপ্রেরণায় বালাম ২০১৫তে ফিরে আসেন তার প্রথম এইচডি মিউজিক ভিডিও- "মেঘে ঢাকা" নিয়ে। কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নির পরিচালনায় ভিন্ন লুকে হাজির হন বালাম। আর গানটি হয়ে উঠে দারুণ সফল। এরপর বালাম ২০১৬ সালের ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ করেন "কৌশিক তাপস ফিচারিং বালাম-কী জ্বালা" গানটি। ভিন্ন ধারার এই গান সানন্দেই গ্রহণ করেছেন বালাম ভক্তরা। ২০১৬তেই আবার প্রকাশ করেন বোন জুলিকে নিয়ে করা ডুয়েট গান "কত যে খুঁজেছি তোমায়"। শ্রোতাদের মন জয় করে নিতে তেমন সময় নেয়নি এই গানটিও। তার জয়যাত্রা এখনও অব্যাহত। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ভালোবাসা দিবসে রবি-এয়ারটেল ইয়োন্ডার মিউজিকের ব্যানারে তিনি তার ৫ম একক- "গল্পের শহর"। ইয়োন্ডার অ্যাপে দারুণ জনপিয়তা পায় এর গানগুলো। এর পরেই একই অ্যাপে প্রকাশিত হওয়া "জাগো জাগো" শিরোনামের গানটি তেমন সাড়া ফেলতে না পারলেও সর্বশেষ গান "পুরোনো সেই দিনগুলো" দিয়ে ভালোই সাড়া পেয়েছেন বালাম। এছাড়া ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ব্যানারে প্রকাশিত তার, আসিফ আকবর ও ইমরানের ইসলামিক গান- "মুমিন হতে চাই"ও বেশ সাড়া পেয়েছে সঙ্গীত মহলে।
 
ওয়ারফেজ ছাড়ার পরই একক অ্যালবামের দিকে মন দেন বালাম। ২০০৭ সালে লেজার ভিশনের ব্যানারে প্রকাশ করেন নিজের প্রথম অ্যালবাম যেটি ছিলো সেলফ টাইটেলড। এই অ্যালবামটিই বালামকে এনে দেয় আকাশ্চুম্বী জনপ্রিয়তা। ২০০৮ সালে তার হাত ধরে সঙ্গীতার ব্যানারে "বালাম ফিচারিং জুলি" দিয়ে সঙ্গীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন তাঁর বোন জুলি। বেশ জনপ্রিয়তা পায় অ্যালবামটি। এরপর তিনি সঙ্গীতার ব্যানারে আরো প্রকাশ করেন বালাম ২ (২০০৮) ও বালাম ৩ (২০১০)। ২০০৯ সালে বোনকে নিয়ে আবারও প্রকাশ করেন- "বালাম ফিচারিং জুলি ২- স্বপ্নের পৃথিবী"।
একক গান ছাড়াও বালাম কাজ করেছেন সম্ভাবনাময়ী শিল্পী অরিন, কর্ণিয়া, আশিক, সিমিন, পূজা ও শহীদের সাথে। কাজ করেছেন হালের ক্রেজ ফুয়াদ আল মুক্তাদির, অর্ণব, বাপ্পা মজুমদার, হাবিব ওয়াহিদ, ন্যান্সি, এলিটা করিম, আসিফ আকবর, ইমরান, অদিত, তাহসান, সামিনা চৌধুরী ও অদিতদের সাথেও। বালাম চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন।
 
এরপর দীর্ঘ তিন বছরের বিরতির পর ২০১৩ সালে বালাম ঈগল মিউজিকের ব্যানারে প্রকাশ করেন ৪র্থ একক অ্যালবাম "ভূবন (বালাম ৪)"।
 
২০১৫ তে ফিরে আসেন তার প্রথম এইচডি মিউজিক ভিডিও- "মেঘে ঢাকা" নিয়ে। এরপর বালাম ২০১৬ সালের ভালোবাসা দিবসে প্রকাশ করেন "কৌশিক তাপস ফিচারিং বালাম-কী জ্বালা" গানটি। ২০১৬ তেই আবার প্রকাশ করেন বোন জুলিকে নিয়ে করা ডুয়েট গান "কত যে খুঁজেছি তোমায়"। ২০১৭ সালের ভালোবাসা দিবসে রবি-এয়ারটেল ইয়োন্ডার মিউজিকের ব্যানারে তিনি তার ৫ম একক অ্যালবাম "গল্পের শহর" প্রকাশ করেন।
 
বালাম চলচ্চিত্র সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন।
 
মূলত সঙ্গীতাঙ্গনের মানুশ হলেও বালাম অভিনয়ও করেছেন "গল্পের শহর" ও "তোমার জন্য" শীর্ষক দুটি নাটকেও। সম্প্রতি তিনি উপস্থাপনাও করেছেন।
==অ্যালবাম==
=== একক অ্যালবাম ===