পশ্চিমবঙ্গের জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎জনপরিসংখ্যান: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর [[ব্যবহারকারী আলাপ:NahidSultan|পরিচালকক...
সংশোধন
৪ নং লাইন:
১৯৪৭ সালে, যখন ভারত স্বাধীনতা করে, তখন [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|বাংলা প্রদেশ]] [[বঙ্গভঙ্গ (১৯৪৭)|বিভাজনের]] পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত প্রদেশের ১৪টি জেলা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য গঠিত হয়।<ref name=parttionbanglaped/><ref name=partitionspoil/> ১৯৫০ সালে পূর্বতন দেশীয় রাজ্য [[কোচবিহার রাজ্য|কোচবিহার]] একটি জেলা রূপে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়।<ref name=CBE/> ১৯৫৪ সালে পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশ [[চন্দননগর]] রাজ্যের [[হুগলী জেলা|হুগলী জেলার]] একটি অংশ রূপে যুক্ত হয়।<ref name=Chander/> ১৯৫৬ সালের [[রাজ্য পুনর্গঠন আইন]] অনুযায়ী, [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া জেলার]] বঙ্গভুক্তি ঘটে এবং বিহারের অপর একটি অংশ [[পশ্চিম দিনাজপুর জেলা|পশ্চিম দিনাজপুরের]] সঙ্গে যুক্ত হয়।<ref name=PF/> পরবর্তীকালে পশ্চিম দিনাজপুর, মেদিনীপুর, চব্বিশ পরগনা, ও জলপাইগুড়ি জেলার মতো বৃহদাকার জেলাগুলিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয়।
 
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ পাঁচটি বিভাগ ও ২৩ টি জেলায় বিভক্ত। বিভাগগুলি বিভাগীয় কমিশনার<ref name=blocdir/> ও জেলাগুলি জেলাশাসকের<ref name=panchayatdef/> দ্বারা শাসিত হয়। রাজ্যের রাজধানী [[কলকাতা]] [[কলকাতা জেলা|কলকাতা জেলায়]] অবস্থিত। অন্যান্য জেলাগুলি [[পশ্চিমবঙ্গের মহকুমা|মহকুমা]] ও [[সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক|ব্লকে]] বিভক্ত। এগুলি যথাক্রমে মহকুমা শাসক ও ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের দ্বারা শাসিত হয়। এই রাজ্যের [[পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা|পঞ্চায়েত ব্যবস্থা]] ত্রিস্তরীয়। গ্রামস্তরে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা "[[গ্রাম পঞ্চায়েত]]",<ref name=gpdef/> ব্লকস্তরে "[[পঞ্চায়েত সমিতি]]"<ref name=psdef/> ও জেলাস্তরে "[[জেলা পরিষদ]]"<ref name=zpdef/> নামে পরিচিত। ২০১৭ সালে বর্ধমান জেলা বিভক্ত হয়ে [[পূর্ব বর্ধমান জেলা]] ও [[পশ্চিম বর্ধমান জেলা|পশ্চিম বর্ধমান জেলায়]] পরিণত হয়েছে। এই সালেই ঘোষিত আরো দুটি জেলা হল [[ঝাড়গ্রাম জেলা]] ও [[কালিম্পং জেলা]]<ref name=MP/>।
 
== ভূগোল ==
১০ নং লাইন:
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে তিনটি রাষ্ট্র নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ এবং পাঁচটি ভারতীয় রাজ্য সিক্কিম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও অসম অবস্থিত। সিক্কিম ও ভুটান রাজ্যের উত্তরে, নেপাল উত্তর-পশ্চিমে, বিহার ও ঝাড়খণ্ড পশ্চিমে, ওড়িশা দক্ষিণ-পশ্চিমে, বঙ্গোপসাগর দক্ষিণে, এবং বাংলাদেশ ও অসম পূর্বে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গই ভারতের একমাত্র রাজ্য যার উত্তরে হিমালয় ও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। এই দুইয়ের মধ্যে পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে গঙ্গা রাজ্যে প্রবেশ করে [[পদ্মা নদী|পদ্মা]] নাম ধারণ করে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে বাংলাদেশে প্রবেশের পূর্বে এর প্রধান শাখানদী [[হুগলী নদী|হুগলী]] বিচ্ছিন্ন হয়ে দক্ষিণে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে।
 
[[দার্জিলিং জেলা|দার্জিলিং]], [[জলপাইগুড়ি জেলা|জলপাইগুড়ি]], [[আলিপুরদুয়ার জেলা|আলিপুরদুয়ার]][[কোচবিহার জেলা|, কোচবিহার]], [[উত্তর দিনাজপুর জেলা|উত্তর দিনাজপুর]], [[দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা|দক্ষিণ দিনাজপুর]] ও [[মালদহ জেলা|মালদহ]] — গঙ্গার উত্তরে অবস্থিত এই জেলাগুলি একসঙ্গে [[উত্তরবঙ্গ (পশ্চিমবঙ্গ)|উত্তরবঙ্গ]] নামে পরিচিত।<ref name=swhydro>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url = http://www.swhydro.arizona.edu/07symposium/presentationpdf/ChristianaD_pro.pdf | format=PDF | title = Arsenic Mitigation in West Bengal, India: New Hope for Millions | author = David Christiana | publisher = Southwest Hydrology | page = 32 | date = 2007-09-01 | accessdate = 2008-12-20|language=ইংরেজি}}</ref> উত্তরবঙ্গ তিনটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভক্ত। যথা, দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল, তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল এবং উত্তরবঙ্গ সমভূমি।<ref name=swhydro/> শিলিগুড়ি করিডোর (যা ‘চিকেনস নেক’ নামেও পরিচিত) উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের সংযোগ রক্ষা করছে। জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় কয়েকটি ভারত-বাংলাদেশ "ছিটমহল" অবস্থিত।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url = http://www.vinokurov.info/downloads/ch6enclavecasestudies.pdf | format=PDF | title = Theory of Enclaves, Chapter 6: Enclave stories and case studies | author = Evgeny Vinokurov | publisher = Evgeny Vinokurov's website | year = 2005 | page = 17 | accessdate = 2008-12-20|language=ইংরেজি}}</ref>
 
গঙ্গার দক্ষিণে অবস্থিত জেলাগুলি হল: [[বাঁকুড়া জেলা|বাঁকুড়া]], [[বর্ধমান জেলা|বর্ধমান]], [[বীরভূম জেলা|বীরভূম]], [[পুরুলিয়া জেলা|পুরুলিয়া]], [[মুর্শিদাবাদ জেলা|মুর্শিদাবাদ]], [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]], [[পশ্চিম মেদিনীপুর]], [[পূর্ব মেদিনীপুর]], [[হুগলী জেলা|হুগলী]], [[হাওড়া জেলা|হাওড়া]], [[কলকাতা জেলা|কলকাতা]], [[উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা|উত্তর চব্বিশ পরগনা]] ও [[দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা|দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা]]। এই অঞ্চলটি দক্ষিণবঙ্গ নামে পরিচিত। দক্ষিণবঙ্গ পাঁচটি প্রধান ভৌগোলিক অঞ্চলে বিভাজিত। যথা, রাঢ় অঞ্চল, পশ্চিমের মালভূমি ও উচ্চভূমি অঞ্চল, উপকূলীয় সমভূমি অঞ্চল, সুন্দরবন ও গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চল।<ref name=swhydro/> রাজ্যের রাজধানী [[কলকাতা]] কলকাতা জেলা নিয়ে গঠিত।
 
১৯৭০-এর দশকে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে ওঠা [[দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ|দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপটি]] ভারত ও বাংলাদেশ উভয় রাষ্ট্রই নিজের বলে দাবি করে থাকে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url = http://www.hinduonnet.com/fline/fl1817/18170730.htm | title = Of Indo-Bangladesh distrust | author = A.G. Noorani | publisher = [[Frontline (magazine)|Frontline magazine]] | date = 2001-08-31 | accessdate = 2008-12-29|language=ইংরেজি}}</ref>
 
== ইতিহাস ==
২১ নং লাইন:
|url=http://banglapedia.search.com.bd/HT/P_0101.htm|title=Partition of Bengal, 1947
|accessdate=2006-10-26|author=Harun-or-Rashid|work=Banglapedia
|publisher=Asiatic Society of Bangladesh|language=ইংরেজি}}</ref> ১৯৪৭ সালে রাজ্যপ্রতিষ্ঠার সময় পশ্চিমবঙ্গ ১৪টি জেলায় বিভক্ত ছিল— [[বাঁকুড়া জেলা|বাঁকুড়া]], [[বীরভূম জেলা|বীরভূম]], [[বর্ধমান জেলা|বর্ধমান]], [[কলকাতা]], [[দার্জিলিং জেলা|দার্জিলিং]], [[জলপাইগুড়ি জেলা|জলপাইগুড়ি]], [[হুগলী জেলা|হুগলী]], [[হাওড়া জেলা|হাওড়া]], [[মালদহ জেলা|মালদহ]], মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পশ্চিম দিনাজপুর ও চব্বিশ পরগনা।<ref name=partitionspoil>{{বই উদ্ধৃতি
|url = http://books.google.co.in/books?id=FjQ0iWSq2R0C&pg=PR6&dq=bengal+1947+district&as_brr=3#PPA58,M1
|title = The Spoils of Partition: Bengal and India, 1947–1967
৩১ নং লাইন:
|accessdate = 2008-12-08
|page = 58
|language=ইংরেজি}}</ref> বর্তমান কোচবিহার জেলা অতীতে ছিল [[কোচবিহার রাজ্য|কোচবিহার]] নামে এক দেশীয় রাজ্য। ১৯৪৯ সালের ২০ অগস্ট এই রাজ্য সরকারিভাবে ভারতে যোগ দেয়। ওই বছর ১২ সেপ্টেম্বর প্রশাসনিক ক্ষমতার হস্তান্তর শুরু হয় এবং তা সমাপ্ত হয় ১৯৫০ সালের ১৯ জানুয়ারি। এরপর কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলা ঘোষিত হয়।<ref name=CBE>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://coochbehar.gov.in/HTMfiles/brief_history.html
|title = Brief History of Cooch Behar
|publisher = Official website of Cooch Behar District
|accessdate = 2008-09-10
|language=ইংরেজি}}</ref> ১৯৪৯ সালে পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশ [[চন্দননগর]] একটি গণভোটের মাধ্যমে ভারতে যোগদানের পক্ষে মতপ্রকাশ করে। ১৯৫২ সালে চন্দননগর ভারতভুক্ত হয় এবং ১৯৫৪ সালের ২ অক্টোবর এটি পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার একটি অংশে পরিণত হয়।<ref name=Chander>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://www.worldstatesmen.org/India_states.html
|title = States of India since 1947
|publisher = World Statesmen website
|accessdate = 2008-11-07
|language=ইংরেজি}}</ref> ১৯৫৬ সালের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুযায়ী ভাষার ভিত্তিতে ভারতীয় রাজ্যগুলির সীমানা পুনর্নির্ধারিত হয়। এই আইন বলবৎ হলে [[বিহার|বিহারের]] একটি অংশ পশ্চিম দিনাজপুর জেলার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং ১৯৫৬ সালের ১ নভেম্বর বিহারের মানভূম জেলার পুরুলিয়া মহকুমাটি একটি পূর্ণাঙ্গ জেলার আকারে পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্ত হয়।<ref name=PF>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://purulia.gov.in/district_profile/dist_profile.html
|title = District profile
|publisher = Official website of Purulia District
|accessdate = 2008-11-18
|language=ইংরেজি}}</ref>
 
পরবর্তীকালে কয়েকটি বৃহদাকার জেলাকে ছোটো জেলায় দ্বিখণ্ডিত করা হয়। ১৯৮৬ সালের ১ মার্চ পূর্বতন চব্বিশ পরগনা জেলাটিকে ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা গঠিত হয়।<ref name=24P>{{বই উদ্ধৃতি
৫৮ নং লাইন:
|year = 2003
|accessdate = 2008-09-04
|language=ইংরেজি}}</ref> ১৯৯২ সালের ১ এপ্রিল পূর্বতন [[পশ্চিম দিনাজপুর জেলা]] ভেঙে উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গঠিত হয়।<ref name=NDE>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://uttardinajpur.nic.in/
|title = Home page
|publisher = Official website of Uttar Dinajpur District
|accessdate = 2008-09-01
|language=ইংরেজি}}</ref><ref name=SDE>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://ddinajpur.nic.in/Historical_Perspective/historical_perspective.html
|title = Historical Perspective
|publisher = Official website of South Dinajpur District
|accessdate = 2008-09-01
|language=ইংরেজি}}</ref> ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি পূর্বতন [[মেদিনীপুর জেলা]] দ্বিখণ্ডিত করে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা গঠিত হয়।<ref name=MP>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|last = Jana
|first = Naresh
৭৬ নং লাইন:
|publisher = [[The Telegraph (Kolkata)]]
|accessdate = 2008-09-01
|language=ইংরেজি}}</ref>
 
২০০৭ সাল থেকে দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে [[গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা]] ও তার সমর্থকেরা পুনরায় পৃথক "গোর্খাল্যান্ড" রাজ্যের দাবি উত্থাপন করতে শুরু করেছেন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
৮৪ নং লাইন:
|publisher = Darjeeling Times
|accessdate = 2008-12-11
|language=ইংরেজি}}</ref> অন্যদিকে ২০০০-এর দশকে কামতাপুর পিপলস পার্টি ও তার সমর্থকেরা সমগ্র উত্তরবঙ্গ নিয়ে পৃথক "কামতাপুর" রাজ্যের দাবি জানায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://www.aol.in/news-story/west-bengal-faces-another-blockade-this-time-for-kamtapur-state/2008062513039012000006/index.html
|title = West Bengal faces another blockade, this time for Kamtapur state
৯১ নং লাইন:
|publisher = AOL India News
|accessdate = 2008-12-11
|language=ইংরেজি}}</ref>
 
== প্রশাসনিক গঠন ==
৯৭ নং লাইন:
|url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/g2csw/sections/2.htm
|title = Section 2 of West Bengal Panchayat Act, 1973
|publisher = পঞ্চায়েত বিভাগ এবং গ্রামীণ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ
|publisher = Department of Panchayat and Rural Department, West Bengal
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref> জেলাশাসক সাধারণত ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) অথবা ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস (ডব্লিউবিসিএস) ক্যাডারের আধিকারিক হন এবং তাঁকে নিয়োগ করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।<ref name=panchayatdef/> কলকাতা বাদে প্রত্যেকটি জেলা মহকুমায় বিভক্ত। কলকাতা নগরাঞ্চল। তাই কলকাতার শাসনভার [[কলকাতা পৌরসংস্থা|কলকাতা পৌরসংস্থার]] হাতে ন্যস্ত থাকে। মহকুমাগুলি [[পশ্চিমবঙ্গের মহকুমা|মহকুমা শাসক]] বা সাব-ডিভিশনাল অফিসারের (এসডিও) দ্বারা শাসিত।<ref>{{বই উদ্ধৃতি
|url = http://books.google.co.in/books?id=nvzcy7o4sgAC&pg=PA298&dq=collector+SDO+BDO#PPA297,M1
|title = Indian Public Administration: Institutions and Issues
১০৭ নং লাইন:
|isbn = 8173280681
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref> [[পুরসভা]] অঞ্চল বাদে মহকুমার অবশিষ্টাংশ [[সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক|সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে]] বিভক্ত থাকে। ব্লকগুলি হঠিত হয় [[সেন্সাস টাউন]] (নগরাঞ্চল) ও [[গ্রাম পঞ্চায়েত]] (গ্রামাঞ্চল) নিয়ে। ব্লকের শাসনভার ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসারের (বিডিও) হাতে ন্যস্ত থাকে।<ref name=panchayatdef/>
 
কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একটি [[গ্রাম পঞ্চায়েত]] গঠিত হয়। এটি পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সর্বনিম্ন স্তরের স্বায়ত্তশাসন সংস্থা। গ্রাম পঞ্চায়েতে নেতৃত্বভার পঞ্চায়েত প্রধানের হাতে ন্যস্ত থাকে।<ref name=gpdef>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/g2csw/sections/9.htm
|title = Section 9 of West Bengal Panchayat Act, 1973
|publisher = পঞ্চায়েত বিভাগ এবং গ্রামীণ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ
|publisher = Department of Panchayat and Rural Department, West Bengal
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref> ১৯৭৩ সালের পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী, প্রত্যেক ব্লকে একটি করে [[পঞ্চায়েত সমিতি]] রয়েছে। এই সমিতির সদস্যরা হলেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের সকল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং ব্লকের সকল বিধায়ক।<ref name=psdef>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/g2csw/sections/94.htm
|title = Section 94 of West Bengal Panchayat Act, 1973
|publisher = পঞ্চায়েত বিভাগ এবং গ্রামীণ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ
|publisher = Department of Panchayat and Rural Department, West Bengal
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref> পঞ্চায়েত সমিতির প্রধানকে সভাধিপতি বলা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/g2csw/sections/98.htm
|title = Section 98 of West Bengal Panchayat Act, 1973
|publisher = পঞ্চায়েত বিভাগ এবং গ্রামীণ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ
|publisher = Department of Panchayat and Rural Department, West Bengal
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref> পঞ্চায়েত ব্যবস্থার তৃতীয় স্তরটি হল [[জেলা পরিষদ]]। এটি জেলা স্তরের সংগঠন। জেলা পরিষদের সদস্যরা হলেন উক্ত জেলার সকল সভাধিপতি এবং জেলার সকল বিধায়ক।<ref name=zpdef>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/g2csw/sections/140.htm
|title = Section 140 of West Bengal Panchayat Act, 1973
|publisher = পঞ্চায়েত বিভাগ এবং গ্রামীণ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ
|publisher = Department of Panchayat and Rural Department, West Bengal
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref> জেলা পরিষদের প্রধান হলেন জেলা সভাধিপতি।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/g2csw/sections/143.htm
|title = Section 143 of West Bengal Panchayat Act, 1973
|publisher = পঞ্চায়েত বিভাগ এবং গ্রামীণ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ
|publisher = Department of Panchayat and Rural Department, West Bengal
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref> দার্জিলিং জেলায় কোনো জেলা পরিষদ নেই। এই জেলার [[শিলিগুড়ি মহকুমা|শিলিগুড়ি মহকুমার]] জন্য একটি অনুরূপ মহকুমা পরিষদ বিদ্যমান।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://wbdemo5.nic.in/html/asp/g2csw/sections/185.htm
|title = Section 185 of West Bengal Panchayat Act, 1973
|publisher = পঞ্চায়েত বিভাগ এবং গ্রামীণ বিভাগ, পশ্চিমবঙ্গ
|publisher = Department of Panchayat and Rural Department, West Bengal
|accessdate = 2008-12-09
|language=ইংরেজি}}</ref>
 
দার্জিলিং জেলার [[দার্জিলিং সদর মহকুমা|দার্জিলিং সদর]], [[কালিম্পং মহকুমা|কালিম্পং]] ও [[কার্শিয়ং মহকুমা|কার্শিয়ং]] মহকুমা তিনটির প্রশাসনিক দায়িত্ব ১৯৮৮ সালে গঠিত দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিলের হাতে দেওয়া হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
১৪৬ নং লাইন:
|publisher = Darjeeling Times
|accessdate = 2008-12-11
|language=ইংরেজি}}</ref> হিল কাউন্সিল জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুর্ত, পরিবহণ, পর্যটন, বাজার, ক্ষুদ্রশিল্প, কৃষি, কৃষি জলপথ, বন (সংরক্ষিত বনাঞ্চল ব্যতীত), জলসরবরাহ, গবাদি পশু, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল।<ref name=DarjeelingAdmin>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://darjeeling.gov.in/darj-hist.html#drj-today
|title = History of Darjeeling: Darjeeling-Today
|publisher = Official website of Darjeeling District
|accessdate = 2008-12-29
|language=ইংরেজি}}</ref> সম্প্রতি এই অঞ্চলের প্রশাসনিক দায়িত্ব পেয়েছে [[গোর্খাল্যান্ড আঞ্চলিক প্রশাসন]] বা জিটিএ।<ref>[http://expressbuzz.com/nation/darjeeling-issue-solved-mamata/282219.html Darjeeling issue solved: Mamata]</ref> জেলা প্রশাসনের হাতে রয়েছে নির্বাচন, পঞ্চায়েত, আইনশৃঙ্খলা ও রাজস্ব ইত্যাদি বিভাগ। জেলা প্রশাসন জিটিএ ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী সংস্থার কাজও করে।<ref name=DarjeelingAdmin/>
 
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের প্রতিটি জেলার দায়িত্বে থাকেন একজন করে জেলা পুলিশ সুপার। ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন অনুযায়ী, এই বিধি সমগ্র ভারতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
১৫৮ নং লাইন:
|publisher = India Code Legislative Department
|accessdate = 2008-12-14
|language=ইংরেজি}}</ref> জেলা পুলিশ সুপার ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) ক্যাডারের আধিকারিক।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://persmin.nic.in/ais/B11new.htm#s17
|title = Indian Police Service (Uniform) Rules
|publisher = Ministry of Personnel, Public Grievances and Pensions, Government of India
|accessdate = 2008-12-14
|language=ইংরেজি}}</ref> প্রতিটি মহকুমায় একটি করে মহকুমা পুলিশ বিভাগ করেছে। মহকুমা পুলিশের দায়িত্বে থাকেন সহ পুলিশ সুপারের সমমর্যাদাসম্পন্ন কোনো পুলিশ অফিসার।<ref name=humanrights>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
|url = http://www.humanrightsinitiative.org/publications/police/police_organisations.pdf
|format=PDF
১৭০ নং লাইন:
|page = 9
|accessdate = 2008-12-14
|language=ইংরেজি}}</ref> মহকুমা পুলিশের অধীনে থাকে একাধিক পুলিশ কেন্দ্র। এর প্রত্যেকটির দায়িত্ব ন্যস্ত থাকে একজন করে পুলিশ ইনস্পেক্টরের হাতে।<ref name=humanrights/> পুলিশ কেন্দ্রগুলি আবার একাধিক থানা নিয়ে গঠিত। প্রতিটি থানার দায়িত্বে থাকেন একজন করে পুলিশ ইনস্পেক্টর (শহরাঞ্চল) বা সাব-ইনস্পেক্টর (গ্রামাঞ্চল)।<ref name=humanrights/>
 
সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ [[কলকাতা উচ্চ আদালত|কলকাতা উচ্চ আদালতের]] এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা। অধিকাংশ জেলাতেই জেলা আদালত ছাড়াও অন্যান্য নিম্ন আদালতের অস্তিত্ব থাকলেও, রাজ্যের সকল মহকুমায় আদালত নেই।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
১৭৭ নং লাইন:
|publisher = Judicial Department, Government of West Bengal
|accessdate = 2008-12-14
|language=ইংরেজি}}</ref>
 
কয়েকটি জেলা নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্ব একজন করে বিভাগীয় কমিশনারের হাতে ন্যস্ত। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলা পাঁচটি বিভাগে বিন্যস্ত:
২২৯ নং লাইন:
|title = NIC Policy on format of e-mail Address: Appendix (2): Districts Abbreviations as per ISO 3166–2
|pages = pp. 5–10
|publisher =যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ভারত সরকার
|publisher = [[Ministry of Communications and Information Technology (India)|Ministry Of Communications and Information Technology]], Government of India
|date = 2004-08-18
|accessdate = 2008-11-24
|language=ইংরেজি}}</ref>
!জেলা
!জেলাসদর<ref name=wbdistp>{{ওয়েব উদ্ধৃতি
২৩৯ নং লাইন:
|publisher = Government of India portal
|accessdate = 2008-11-24
|language=ইংরেজি}}</ref>
!প্রতিষ্ঠা<ref>এখানে 'প্রতিষ্ঠা' অর্থ পশ্চিমবঙ্গের জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠার বছর। পশ্চিমবঙ্গ ১৯৪৭ সালে ১৪টি জেলা নিয়ে ব্রিটিশ ভারতের পূর্বতন বঙ্গ প্রদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।</ref>
!প্রতিষ্ঠা<ref>Here 'Established' means year of establishment as a district of West Bengal. The state of West Bengal was established in 1947 with 14 districts of erstwhile Bengal province of British India.</ref>
![[পশ্চিমবঙ্গের মহকুমা|মহকুমা]]<ref name=blocdir/>
!আয়তন<ref name=wbcensus2011>{{ওয়েব উদ্ধৃতি | url = http://www.censusindia.gov.in/2011-prov-results/data_files/west%20bengal/3-a2.xls | title = Area, Population, Decennial Growth Rate and Density for 2001 and 2011 at a glance for West Bengal and the Districts
| publisher = 2011 census of India | format = XLS | accessdate = 2012-12-13|language=ইংরেজি}}</ref>
!২০১১ অনুসারে জনসংখ্যা<ref name=wbcensus2011/>
!জনঘনত্ব
৫৫০ নং লাইন:
 
==জনপরিসংখ্যান==
নিচে [[ভারতের জেলাগুলির তালিকা|ভারতের]] জেলাগুলির জনসংখ্যার পরিসংখ্যানগত (২০১১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে) অবস্থানের ভিত্তিতে পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির জনসংখ্যার পরিসংখ্যান দেওয়া হল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=Indian Districts by Population, Growth Rate, Sex Ratio 2011 Census |url=http://www.census2011.co.in/district.php|publisher=Registrar General & Census Commissioner, India|accessdate=6 April 2013|language=ইংরেজি}}</ref>
<br />
{| class="wikitable sortable"
৬০১ নং লাইন:
 
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.wbgov.com/ Official website of Government of West Bengal]
 
{{পশ্চিমবঙ্গের জেলাসমূহ}}