মা (উপন্যাস): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
১৭ নং লাইন:
| oclc = 650373666
}}
'''মা''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] সাহিত্যিক [[আনিসুল হক]] রচিত একটি উপন্যাস। লেখক এই কাহিনীর সন্ধান পান মুক্তিযোদ্ধা নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর কাছ থেকে । [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ|বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের]] একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আজাদ ও তাঁর মায়ের জীবনের সত্য ঘটনা নিয়ে রচিত এই উপন্যাসটি ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয় এবং প্রচুর পাঠকপ্রিয়তা পায়। উপন্যাসটি ''Freedom's Mother'' নামে নয়া দিল্লি হতে ইংরেজিতে অনূদিত হয়।
 
==সারসংক্ষেপ==
উপন্যাসের কাহিনী মুক্তিযোদ্ধা মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ এবং তাঁর মায়ের জীবন নিয়ে । শহীদ আজাদের মা সাফিয়া বেগম ছিলেন ঢাকার সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজনের স্ত্রী। তিনি ছিলেন আত্মমর্যাদাবান। তাই তার স্বামী যখন দ্বিতীয় বিবাহ করলেন, তখন তিনি তা মেনে নেননি। ছোট্ট আজাদকে নিয়ে শত বিলাসিতা আর প্রাচুর্যের ঘেরাটোপ পেরিয়ে নেমে এসেছিলেন নিজের গড়া যুদ্ধক্ষেত্রে। সেই যুদ্ধের তিনি ছিলেন সফল যোদ্ধা। অভাব অনটনকে পেছনে ফেলে নিজ হাতে তিনি মানুষের মত মানুষ করে তুলেছিলেন আজাদকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আজাদ তাঁর বন্ধুদের সাথে যোগ দেয় । ঢাকায় [[ক্র্যাক প্লাটুন ]] এর দলে তিনি ছিলেন । এই গেরিলা দলটি তৎকালীন সময়ে “হিট এন্ড রান" পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ত্রাসের সঞ্চার করে । ১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট পাকিস্তানি বাহিনী রেইড চালিয়ে ক্র্যাক প্লাটুন এবং সংশ্লিষ্ট অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ধরে নিয়ে যায় । আজাদের বাড়িতেও রেইড হয় , আজাদ তাঁর সহযোদ্ধাদের সাথে ধরা পড়েন । পাকিস্তানিরা তাদের নির্মমভাবে নির্যাতন করে তথ্য জানতে চায় । প্রচণ্ড অত্যাচারের মাঝেও তারা আজাদের মুখ থেকে কিছু বের করতে পারে না । তখন তার মাকে বলা হয়, ছেলে যদি সবার নাম-ধাম ইত্যাদি বলে দেয়, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে । আজাদের মা ছেলেকে বলেন কিছুই না বলতে । আজাদ বলে, মা দুদিন ভাত খাই না, ভাত নিয়ে এসো। মা পরের দিন ভাত নিয়ে হাজির হন বন্দিশিবিরে, কিন্তু ছেলের দেখা মেলে না। আজাদের মা আর কোনোদিনও জীবনে ভাত খাননি। যুদ্ধের ১৪ বছর পরে মা মারা যান, নিঃস্ব, রিক্ত-বেশে। মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে কবরে শায়িত করলে আকাশ থেকে ঝিরঝির করে ঝরতে থাকে বৃষ্টি ।
 
==প্রশংসা==