মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashekur.atik (আলোচনা | অবদান)
→‎চিত্রাশালা: শৈলী/বিন্যাসন ত্রুটি ঠিককরণ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
২৮ নং লাইন:
== জন্ম ও শিক্ষাজীবন ==
 
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর [[১৯৪৯]] সালের ৭ মার্চ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আব্দুল মোতালেব হাওলাদার ছিলেন কৃষক এবং মা সাফিয়া বেগম ছিলেন গৃহিণী। মহিউদ্দিনরা তিন বোন তিন ভাই।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.amaderbarisal.com/news/124757.aspx|title=আমাদের 'বীরশ্রেষ্ঠ' মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর|last=|first=|date=14/12/2016|website=Amader Barisal|publisher=|access-date=24/12/2016}}</ref> দাদা আব্দুর রহিম হাওলাদার ছিলেন প্রতাপশালী ব্যক্তি। পিতার আর্থিক দৈন্যতার কারণে মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে মামার বাড়ি মুলাদি উপজেলার পাতারচর গ্রামে যান জাহাঙ্গীর। পাতারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে [[১৯৫৩]] সালে তাঁর শিক্ষাজীবনের সূচনা হয়। মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে [[১৯৬৪]] সালে বিজ্ঞান বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। [[১৯৬৬]] তে তিনি বরিশাল বি.এম (ব্রজমোহন) কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।<ref name=":0">{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://en.banglapedia.org/index.php?title=Jahangir,_Birsrestha_Mahiuddin|title=Jahangir, Birsrestha Mahiuddin - Banglapedia|website=en.banglapedia.org|access-date=2016-11-17}}</ref>
 
ছাত্র হিসেবে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বেশ মেধাবী ছিলেন৷ খেলাধুলার পাশাপাশি তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন৷ কলেজ জীবনেই তিনি পাঠ করেন লেনিন, মাও-সেতুং, চে গুয়েভারা মতো ব্যক্তির সংগ্রামী জীবনের গল্প ও রাজনৈতিক দর্শন৷ তিনি মাস্টারদা সূর্যসেনের জীবনীগ্রন্থ, ক্ষুদিরামের ফাঁসি, তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা, চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুণ্ঠন এবং প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জীবনীসহ বহু গ্রন্থ নিয়মিত পড়তেন।
৩৬ নং লাইন:
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
 
[[১৯৭১]]-এ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় তিনি পাকিস্তানে ১৭৩ নম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটেলিয়ানে 'পাকিস্তান – চীন সংযোগকারী মহাসড়ক' নির্মাণে কর্তব্যরত ছিলেন। দেশের স্বাধীনতার জন্য তিনি ছুটে এসেছিলেন পাকিস্তানের দুর্গম এলাকা অতিক্রম করে সঙ্গে মাত্র একটি পিস্তল নিয়ে। [[১০ জুন]] তিনি কয়েকদিনের ছুটি নেন এবং ফিরে পশ্চিম পাকিস্তানের রিসালপুর যান। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানি সেনা ও সীমান্তরক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে শিয়ালকোট সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় এলাকায় প্রবেশ করেন। প্রথমেই গেলেন নিকটবর্তী বিএসএফের ব্যাটালিয়ন হেড কোয়ার্টারে৷ সেখান থেকে দিল্লি, এরপর কলকাতা৷ পশ্চিম পাকিস্তান থেকে চারজন বাঙালি সামরিক অফিসার পালিয়ে এসেছেন শুনে বাঙালি, মুক্তিবাহিনী ও বাঙালি শরণার্থীদের প্রাণে বিপুল উৎসাহ জাগল৷ মুক্তিযুদ্ধের চিফ কমান্ডার কর্নেল ওসমানী যুদ্ধক্ষেত্র থেকে কলকাতায় এলেন এই পাঁচ বীরকে অভ্যর্থনা দেয়ার জন্য৷ ভারত হতে পরে তিনি বাংলাদেশের সীমান্তে পৌঁছেন। তবে পাকিস্তানে আটকে পড়া আরো তিনজন অফিসারসহ তিনি পালিয়ে যান ও পরে [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[মালদহ]] জেলার মেহেদিপুরে মুক্তিবাহিনীর ৭নং সেক্টরে সাব সেক্টর কমান্ডার হিসাবে যোগ দেন [[জুলাই ৩|৩ জুলাই]]। তিনি সেক্টর কমান্ডার মেজর [[নাজমুল হক|নাজমুল হকের]] অধীনে যুদ্ধ করেন। তাঁদের আক্রমণ এত প্রবল ও ত্রাস সৃষ্টিকারী ছিলো যে, একবার একটি শত্রু লাইনের উপর হামলা চালাবার পূর্ব মূহুর্তে প্রায় সহস্রাধিক শত্রুসেনা প্রাণের ভয়ে প্রতিরক্ষা ব্যুহ ছেড়ে চলে যায়। বিভিন্ন রণাঙ্গনে অসাধারণ কৃতিত্ব দেখানোর কারণে তাঁকে [[রাজশাহী|রাজশাহীর]] চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহর দখলের দায়িত্ব দেয়া হয়। শহরটি দখলের জন্য সেক্টর কমান্ডার [[এ.এন.এম. নূরুজ্জামান]] তিনটি দল গঠন করেন। প্রথম দলের নেতৃত্ব দেন মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসকে। দ্বিতীয় দলের দায়িত্ব দেয়া হয় মুক্তিযোদ্ধা রশিদকে। তৃতীয় দলের দায়িত্ব পান মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। ১৯৭১ সালের [[ডিসেম্বর ১০|১০ ডিসেম্বর]] আনুমানিক ৫০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] প্রবেশ করেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের পশ্চিমে বারঘরিয়ায় অবস্থান নেন। [[ডিসেম্বর ১১|১১ ডিসেম্বর]] সেখানে ভারতীয় বাহিনীর গোলন্দাজ বাহিনীর গোলাবর্ষণ করার কথা ছিলো। কিন্তু সেটি হয়নি। পরবর্তী দুইদিন ১২ ও ১৩ ডিসেম্বর একাধিকবার ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়াই শত্রুদের অবস্থানে আক্রমণ করবেন এবং তিনি সেটিই করেন। <ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি |title= বীরশ্রেষ্ঠ, জাহানারা ইমাম|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=১৩৯১ |publisher= গণ প্রকাশনী |location= |isbn= |page= ৩১|pages= |accessdate= |url=}}</ref> স্বাধীনতার ঊষালগ্নে বিজয় সুনিশ্চিত করেই তিনি শহীদ হয়েছিলেন। ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরকে [[চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা|চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার]] ঐতিহাসিক [[সোনা মসজিদ]] আঙিনায় সমাহিত করা হয়।
 
== যেভাবে শহীদ হলেন ==
৪৭ নং লাইন:
== সমাধি ==
 
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মৃতদেহ ঐতিহাসিক সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে আনা হয়। অসংখ্য স্বাধীনতা প্রেমিক জনগণ, ভক্ত মুক্তিযোদ্ধা, অগণিত মা-বোনের নয়ন জলের আশীর্বাদে সিক্ত করে তাঁকে এখানে সমাহিত করা হয়।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি |last=সালাউদ্দিন |first1=মোহাম্মদ |title=গৌড়বঙ্গ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর প্রাচীন নিদর্শন |chapter=শাহ নিয়ামতুল্লাহ (রঃ) এর মাজার |edition=2 |location=ঢাকা, বাংলাদেশ |publisher=জাতীয় সাহিত্য পরিষদ |date=২৬ মার্চ, ২০১০ইং |page=101 }}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==
৫৩ নং লাইন:
[[File:Birsreshto Shaheed Jahangir Gate.jpg|thumb|মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের স্মরণে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এর প্রধান ফটকের নামকরণ করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেট]]
 
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক [[বীরশ্রেষ্ঠ]] পদক দেয়া হয় মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরকে। [[বরিশাল জেলা|বরিশালের]] নিজ গ্রামের নাম তাঁর দাদার নামে হওয়ায় পরিবার ও গ্রামবাসীর ইচ্ছে অনুসারে তাঁর ইউনিয়নের নাম 'আগরপুর' পরিবর্তন করে 'মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর' ইউনিয়ন করা হয়েছে৷ সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে বরিশাল জেলা পরিষদ ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারের দান করা ৪০ শতাংশ জায়গার ওপর নির্মাণ করছে বীরশ্রষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার৷ স্বরূপনগরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর কলেজের নাম তাঁর নাম অনুসারে রাখা হয়েছে।<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি |title=PM: Reject those involved in destructive politics |url=http://www.dhakatribune.com/bangladesh/2015/may/17/pm-reject-those-involved-destructive-politics |newspaper=Dhaka Tribune |agency=UNB |accessdate=18 June 2015}}</ref>
 
== চিত্রাশালা ==