জৈব যৌগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
আইএসবিএন টেমপ্লেট যোগ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Methane-2D-stereo.svg|thumb|right|150px|[[মিথেন]] একটি সরল জৈব যৌগ ]]
'''জৈব যৌগ''' হল এক ধরণের [[যৌগিক পদার্থ]] যাতে [[কার্বন]] থাকে। ঐতিহাসিক কারণে কিছু যৌগ যেমন- কার্বনেট, কার্বনের সাধারণ অক্সাইড, সায়ানাইড এবং কার্বনের রূপভেদকে অজৈব যৌগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৮২৮ সালের পূর্ব পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল যে জৈব যৌগ শুধু প্রাণশক্তির প্রভাবে জীব ও প্রাণীদেহে সৃষ্টি হয়, একে পরীক্ষাগারে সংশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। [[ফ্রেডরিখ ভোলার]] ১৮২৮ সালে অজৈব অ্যামোনিয়াম সায়ানেট হতে পরীক্ষাগারে [[ইউরিয়া]] সংশ্লেষণ করেন, যা একটি জৈব যৌগ।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি
| title = Ueber künstliche Bildung des Harnstoffs
| author = ফ্রেডরিখ ভোলার
২২ নং লাইন:
প্রাণশক্তি মতবাদ ভুল প্রমাণিত হলেও জৈব ও অজৈব যৌগের মধ্যে পার্থক্য আজ অবধি অব্যাহত আছে, এর কারণ অসংখ্য জৈব যৌগের সংগঠন ও বিন্যস্তের জন্য।<ref name="text">[[Spencer L. Seager]], Michael R. Slabaugh. ''Chemistry for Today: general, organic, and biochemistry''. Thomson Brooks/Cole, '''2004''', p. 342. {{আইএসবিএন|0-534-39969-X}}</ref> এমনও অনেক জৈব যৌগের সন্ধান পাওয়া গেছে যাদের প্রাণী বা উদ্ভিদের সাথে গঠনগত ও ধর্মের দিক থেকে কোন সম্পর্ক নেই। জৈব জৌগের কোন আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা নেই। কোন কোন পাঠ্যবই কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন বিশিষ্ট যৌগকে জৈব যৌগ বলে থাকে। আবার কিছু বই যেসব অণুতে কার্বন বিদ্যমান, তাদেরকেই জৈব যৌগ বলে।<ref>Robert T. Morrison, Robert N. Boyd, and Robert K. Boyd, Organic Chemistry, 6th edition (Benjamin Cummings, 1992, {{আইএসবিএন|0-13-643669-2}}</ref> কার্বন পরমাণু বিশিষ্ট অণুর বৃহত্তর সংজ্ঞায় তুলনামূলকভাবে সংখ্যায় অল্প পরিমাণ কার্বন বিশিষ্ট যৌগ যেমন- কার্বনেট, সাধারণ অক্সাইড, সায়ানাইড, কার্বনের বহুরূপসমূহ ইত্যাদি বিবেচনা করা হয় না।
 
প্রচলিত কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধনের সংজ্ঞায় প্রায়োগিক ও ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত জৈব যৌগসমূহ বিবেচনা করা হয় না। এই সংজ্ঞা অনুসারে [[ইউরিয়া]] এবং অক্সালিক এসিড জৈব যৌগ নয়। এই যৌগদুইটি প্রাণশক্তি মতবাদে বিতর্কের বিষয় ছিল। [[IUPAC]] এর ''[[Nomenclature of Organic Chemistry]]'' শীর্ষক বইয়ে সুনির্দিষ্টভাবে [[ইউরিয়া]]<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.acdlabs.com/iupac/nomenclature/79/r79_661.htm|title=IUPAC Blue Book, Urea and Its Derivatives Rule C-971|access date=2009-11-22}}</ref> ও অক্সালিক এসিডকে জৈব যৌগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|url=http://www.acdlabs.com/iupac/nomenclature/93/r93_705.htm|title=IUPAC Blue Book, Table 28(a) Carboxylic acids and related groups.Unsubstituted parent structures|access date=2009-11-22}}</ref> অন্যান্য যৌগ যাতে কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন নেই তবে ঐতিহাসিকভাবে জৈব যৌগ হিসেবে পরিচিত, তাদের মধ্যে রয়েছে- বেনজিনহেক্সোল, মেসোক্স্যালিক এসিড, কার্বন টেট্রাক্লোরাইড। মেলিটিক এসিডে কোন কার্বন-হাইড্রোজেন বন্ধন না থাকলেও একে জৈব যৌগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।<ref>{{citeসাময়িকী journalউদ্ধৃতি
| author = S. A. Benner, K. G. Devine, L. N. Matveeva, D. H. Powell
| year = 2000
৫৮ নং লাইন:
এখানে XΘ আয়ন OHΘ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
;অপসারণ বিক্রিয়া
এটি যুত বিক্রিয়ার বিপরীত বিক্রিয়া। এই বিক্রিয়ায় কোন যৌগের পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি বা চারটি পরমাণু অপসারিত হয়ে অসম্পৃক্ততার সৃষ্টি করে। অ্যালকাইল হ্যালাইডকে অ্যালকোহলীয় ক্ষারসহ ফুটালে হাইড্রোজেন হ্যালাইড অপসারিত হয় এবং অ্যালকিন, পানি ও XΘ তৈরি হয়। এ বিক্রিয়ায় ∏ বন্ধন ভেঙ্গে নতুন σ বন্ধন তৈরি হয়।
 
 
R—CH2—CH2X+KOH(এলকোহলীয়) -> ͢
R—CH=CH2+KX+H2O
 
ইথানল বাষ্পকে ৩০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হাইড্রোজেনের তামা উপর দিয়ে চালনা করলে হাইড্রোজেন অণু অপসারিত হয়ে ইথান্যাল গঠিত হয়।
 
CH3—CH2—OH + ͢Cu (তামা) -> CH3—CHO
৭০ ⟶ ৬৯ নং লাইন:
;সমাণুকরণ বিক্রিয়া
যে বিক্রিয়ার ফলে বিক্রিয়কের অনুরূপ আণবিক সংকেত কিন্তু ভিন্ন গাঠনিক সংকেত বিশিষ্ট মৌল তৈরি হয় তাকে সমাণুকরণ বিক্রিয়া বলে।
অ্যামোনিয়াম সায়ানেটকে উত্তপ্ত করলে ইউরিয়া তৈরি হয়।
 
NH4CNO ͢-> O=C—NH2
৭৬ ⟶ ৭৫ নং লাইন:
NH2
 
n-বিউটেনকে অনার্দ্র AlCl3 সহ উত্তপ্ত করলে আইসোবিউটেন উৎপন্ন হয়।