ঈসা খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যছক অনুবাদ ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
হটক্যাট ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৭ নং লাইন:
|}}
[[চিত্র:ঈশা_খাঁর_প্রাসাদ.jpg|thumb|left|175px|বড় সরদার বাড়ি যা ঈশা খাঁর জমিদার বাড়ি নামে পরিচিত, [[সোনারগাঁও]]]]
'''ঈসা খাঁ''' বাংলার [[বারো ভুঁইয়া]] বা প্রতাপশালী বারোজন জমিদারদের প্রধান। <ref>[http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%88%E0%A6%B8%E0%A6%BE_%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%A8]/ বাংলাপিডিয়া।</ref> ঈসা-খাঁ এবং বারো জন জমিদার একসাথে বাংলায় স্বাধীনভাবে জমিদারী স্থাপন করে। ঈসা-খাঁর বাংলো বাড়ি কিশোরগঞ্জে অবস্থিত। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার সেইসময়ের জমিদার [[কুইচ রাজা|কুইচ রাজাকে]] সিংহাসনচ্যুত করে বাংলো বাড়িটি র্নিমান করেন। ১৫৭৫ সালে [[সম্রাট আকবর]] বাংলা বিজয়ের পর বারো ভূঁইয়াদের ক্ষমতা কমে যায়। তখন সম্রাট আকবর বারো ভূঁইয়াদের দমন করতে অভিযান পরিচালনা করে সফল হননি। তখন সম্রাট আকবরের সেনাপতিকে পাঠান ঈসা-খাঁকে হত্যার জন্য কিন্তু বীর ঈসা-খাঁর সাথে সেনাপতি যুদ্ধে পরাস্ত হন। ঈসা-খাঁর অনেক নিদর্শন কিশোরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে পাওয়া যাবে।
বারো ভূঁইয়াদের নেতা ছিলেন। মুঘল সেনাপতি মানসিংহ জীবনে কখোনো পরাজিত করতে পারেননি ঈসা খাঁ'কে। ১৫৩৭ সালে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল পরগণায় ঈসা খাঁর জন্ম।তাঁর পিতা কালিদাস গজদানী ভাগ্যান্বেষণে অযোধ্যা থেকে গৌড়ে এসে স্বীয় প্রতিভা গুণে রাজস্বমন্ত্রী পদে উন্নীত হন। পরে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তাঁর নাম হয় সুলাইমান খাঁ। তিনি সুলতান [[গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ
ঈসা খাঁকে তাঁর পিতার জায়গীরদারী ফেরত দেন। বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খাঁ কররানীর রাজত্বকালে (১৫৭২-৭৬) ঈসা খাঁ বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করেন অসাধারণ বীরত্বের জন্যে।
১৫৭৫ সালের অক্টোবর মাসে বাংলার সুবাদার মুনিম খাঁর মৃত্যু হলে আফগান নেতা [[দাউদ
এরপর অনেক বীরত্বগাথাঁ রচিত হয়। সর্বশেষ ১৫৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিক্রমপুর হতে ১২ মাইল দূরে ঈসা খাঁ, মাসুম খাঁ কাবুলীর সম্মিলিত বাহিনী দুর্জন সিংহকে (মানসিংহের ছেলে) বাধা দিলে দুর্জন সিংহ বহু মুঘল সৈন্যসহ নিহত হন। অনেকে বন্দী হন। কিন্তু সুচতুর ঈসা খাঁ মুঘলদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা উচিত বলে মনে করে আকবরের বশ্যতা স্বীকার করে নেন। তিনি বন্দীদের মুক্তি দেন এবং মানসিংহের সাথে আগ্রায় গিয়ে সম্রাট আকবরের সাথে সাক্ষাত করেন। সম্রাট এ বীর পুরুষকে দেওয়ান ও মসনদ-ই-আলা উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৫৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর মৃত্যু হয়।
|