কাশীরাম দাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
৩১ নং লাইন:
কাশীরাম দাসের মহাভারত মূল মহাকাব্যের আক্ষরিক অনুবাদ নয়, ভাবানুবাদ। তিনিও [[কৃত্তিবাস ওঝা]] এবং [[মালাধর বসু|মালাধর বসু'র]] মতো মূল গ্রন্থের কাহিনী বর্জন বা অন্য গ্রন্থ থেকে কাহিনী সংযোজন করেছেন। মহাভারতের ভীষ্ম পর্বের গীতা পর্বাধ্যায় (যা [[শ্রীমদ্ভাগবদ্গীতা]] নামে পরিচিত)-সহ অনেক গুরুগম্ভীর দার্শনিক আলোচনা তিনি বাদ দিয়েছেন। আবার শ্রীবৎস চিন্তা, সুভদ্রা হরণের মতো বাঙালি-মানসের উপযোগী নানা কাহিনী অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে সংযোজন করেছেন। আসলে, মহাভারতের মূলানুগ অনুবাদ নয়, কবির উদ্দেশ্য ছিল মহাভারতের নীতিকথাগুলি বাঙালি সমাজে প্রচার করা।<ref name="Orb" /> মহাভারতে সংসার জীবন, সত্যপালন, ন্যায়ধর্মাচরণ, বীরত্ব, সতীত্ব, সত্যনিষ্ঠা, ঈশ্বরভক্তি, ধার্মিকতা, উদারতা, আত্মবিসর্জন প্রভৃতি যেসব সদগুণের কথা বলা হয়েছে এবং যা হিন্দুধর্মের মূল ভিত্তি, তা-র প্রচারই মহাভারত অনুবাদের মাধ্যমে করতে চেয়েছিলেন কাশীরাম দাস।<ref>''বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস'', বিজনবিহারী ভট্টাচার্য, শ্রীধর প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ১২৪</ref>
 
== মাইকেল মধুসূদন দত্তেরদত্ত (শ্রদ্ধার্ঘ্য) (MICHAEL MADHUSUHAN DUTTA) ==
ঊনবিংশ শতাব্দীর কবি [[মাইকেল মধুসূদন দত্ত]] তাঁর "কাশীরাম দাস" সনেটে (''চতুর্দশপদী কবিতাবলী'', সনেট নং ৬) কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেখেন:<ref>''মধুসূদন রচনাবলী'', হরফ প্রকাশনী, কলকাতা, পৃ. ৩৬৭</ref> {{cquote|মহাভারতের কথা অমৃতসমান।<br />হে কাশি, কবীশদলে তুমি পুণ্যবান্‌।।}}