বের্নার্দো হুসেই: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
কর্মজীবন - অনুচ্ছেদ |
মূল্যায়ণ - অনুচ্ছেদ |
||
১৯ নং লাইন:
}}
'''বারনার্দো আলবার্তো হোসে''' ({{lang-es|Bernardo Houssay}}; [[জন্ম]]: [[১০ এপ্রিল]], [[১৮৮৭]] - [[মৃত্যু]]: [[২১ সেপ্টেম্বর]], [[১৯৭১]]) [[বুয়েনোস আইরেস|বুয়েন্স আয়ার্সে]] জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা [[Argentine|আর্জেন্টিনীয়]] [[শারীরবিদ্যা|শরীরতত্ত্ববিদ]] ছিলেন। ১৯৪৭ সালে [[চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার|শরীরতত্ত্ব বা চিকিৎসাশাস্ত্রে]] অনন্য সাধারণ অবদানের প্রেক্ষিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। প্রাণীদের রক্তে চিনির (গ্লুকোজ) পরিমাণ নিরূপণে [[pituitary|পিটুইটারি গ্রন্থিতে]] [[
| last1 = Sulek | first1 = K.
| title = Nobel prize for Carl Ferdinand Cori and Gerta Theresa Cori in 1947 for discovery of the course of catalytic metabolism of glycogen. Prize for Alberto Bernardo Houssay for discovery on the role of the hypophysis in carbohydrate metabolism
৩৯ নং লাইন:
১৯১৯ সালে বুয়েন্স আয়ার্স মেডিসিন বিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন। এ সময়কালে তিনি এ প্রতিষ্ঠানকে উচ্চপর্যায়ের মানসম্পন্ন আন্তর্জাতিক স্তরের গবেষণা বিভাগে পরিণত করেন। কিন্তু, [[উদারতাবাদ|উদারপন্থী]] রাজনৈতিক ধ্যান-ধারনার অধিকারী থাকায় ঐ বছরই সামরিক একনায়কতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ধরনের দায়িত্ব থেকে তাঁকে বরখাস্ত করে। এরফলে তিনি তাঁর গবেষণাকর্ম চালিয়ে যাবার সংকল্প গ্রহণ করেন ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে নিয়ে ব্যক্তিগত অর্থায়নে [[Instituto de Biología y Medicina Experimental|ইনস্তিতুতো ডে বায়োলোজিয়া ওয়াই মেডিসিনা এক্সপেরিমেন্টাল]] প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। এ পরিস্থিতিতে ১৯৪৫ সালে [[Juan Peron|পেরনবাদী]] সরকার তাঁকে দ্বিতীয়বারের মতো নিষিদ্ধ ঘোষণা করে যা ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত চলমান ছিল। এরপর পেরন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে হোসেকে বুয়েন্স আয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পদে পুনর্বহাল করা হয়। সেখানে তিনি মৃত্যু-পূর্ব পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। এ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ১৯৫৭ সাল থেকে [[National Scientific and Technical Research Council|জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা কাউন্সিলেরও]] পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
হোসে ফিজিওলজির অনেকগুলো শাখায় কাজ করেছেন। তন্মধ্যে, স্নায়ুতন্ত্র, পরিপাকপ্রণালী, শ্বাসপ্রণালী ও রক্তসংবহনতন্ত্র অন্যতম। তবে, [[বহুমূত্র রোগ|ডায়াবেটিস মেলিটাসে]] [[শর্করা|শর্করার]] [[metabolism|বিপাকপ্রক্রিয়ায়]] পিটুইটারি গ্রন্থির ভূমিকায় পরীক্ষামূলক তদন্তকার্যে অবদান রাখায় ১৯৪৭ সালে ফিজিওলজি বা চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
== মূল্যায়ণ ==
হোসে’র অনেক ছাত্রও তাঁর সাথে কাজ করেছেন। তাঁরাও বিশ্বের সর্বত্র প্রভাব বিস্তার করে গেছেন। তন্মধ্যে [[Eduardo Braun-Menéndez|এদোয়ার্দো ব্রাউন-মেনেন্দেজ]] ও [[ব্রাজিল|ব্রাজিলীয়]] নিউরোফিজিওলি’র জনকরূপে পরিচিত [[Miguel Rolando Covian|মিগুয়েল রোলান্দো কভিয়ান]] অন্যতম। তাঁদেরকে সাথে নিয়ে মানব শারীরবৃত্ত শীর্ষক অত্যন্ত প্রভাববিস্তারকারী গ্রন্থ প্রকাশ করেন যা [[লাতিন আমেরিকা|লাতিন আমেরিকায়]] [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয়]] ও [[পর্তুগিজ ভাষা|পর্তুগিজ ভাষায়]] প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫০ সালে এ গ্রন্থ প্রকাশের পর অনেকগুলো সংস্করণ বের হয় ও মহাদেশের সকল চিকিৎসা বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত হয়। হোসে ছয় শতাধিক বৈজ্ঞানিক নিবন্ধসহ বেশকিছুসংখ্যক বিশেষায়িত পুস্তক রচনা করে গেছেন। নোবেল পুরস্কার লাভের পাশাপাশি অনেক সম্মাননা ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তন্মধ্যে, [[হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়|হার্ভার্ড]], [[ক্যামব্রিজ]], [[অক্সফোর্ড]] ও [[প্যারিস]] বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৫টি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৯৬০ সালে [[Society for Endocrinology|এন্ডোক্রিনলজি]] ডেল মেডেল সোসাইটি অন্যতম।
== ব্যক্তিগত জীবন ==
[[আর্জেন্টিনা|আর্জেন্টিনাসহ]] লাতিন আমেরিকায় বিজ্ঞানীদের প্রধান নেতা হিসেবেও সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও, বৈজ্ঞানিক [[গবেষণা]] ও চিকিৎসা শিক্ষার অগ্রগতিতে তিনি অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [[List of Fellows of the Royal Society elected in 1943|১৯৪৩]] সালে রয়্যাল সোসাইটির বৈদেশিক সদস্যরূপে (ফরমেমআরএস) নির্বাচিত হন।<ref name=frs />
২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ তারিখে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে ৮৪ বছর বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
== আরও পড়ুন ==
|