ব্রজসুন্দর মিত্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
বানান
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২ নং লাইন:
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
ব্রজসুন্দর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম ছিল ভবানীপ্রসাদ মিত্র। ১৮৪০ খৃষ্টাব্দে কলেজের পাটগপাঠ সমাপ্ত করার পূর্বেই ঢাকা কমিশনার অফিসে কেরানীর পদে যোগ দিয়ে পদোন্নতি পান। ১৮৪৫ সালে ডেপুটি কালেক্টর ও ১৮৫১ তে আবগারি কালেকটরের পদ পেয়েছিলেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|title=সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান|last=প্রথম খন্ড|first=সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু|publisher=সাহিত্য সংসদ|year=২০০২|isbn=|location=কলকাতা|pages=৩৭০}}</ref>
 
== সমাজ সংস্কার ==
১৮৪৭ সালে ব্রজসুন্দর ব্রাহ্মধর্ম গ্রহন করেছিলেন। ঢাকা ব্রাহ্মসমাজ গঠন তার কৃতিত্ব। তত্ববোধিনী পত্রিকা পাঠ করার পর ব্রাহ্মধর্ম সম্পর্কে আগ্রহ জন্মায়। তরুনদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তার, প্রগতিশীল কাজকর্মে উৎসাহ প্রদান কর‍্যেন তিনি। বিদ্যাসাগরের উদউদ্যোগেউদ্যোগে বিধবা বিবাহ প্রচলন হলে তিনি নিজের খরচে সেই সংবাদ ছাপিয়ে বিলি বন্টন করতেন। নিজ বাড়িতে রামকুমার বসু, ভগবান চন্দ্র বসুদের সাহায্যে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ''ঢাকা প্রকাশ'' নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা তার ছাপাখানা থেজেই বের হতো। কার্যসূত্রে তাকে কুমিল্লায় বদলি হতে হলে তিনি আরমানিটোলায়য়আরমানিটোলায় একটি বাড়ি ক্রয় করেন তার অবর্তমানে ব্রাহ্মসমাজের কাজকর্ম চালিয়ে নিয়ে যাওতারযাওয়ার জন্যে। ১৮৬৩ সালে ব্রজসুন্দর, দীননাথ সেনসেনের সহায়তায় ঢাকায় ব্রাহ্ম স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। আরমানিটোলায় ব্রাহ্ম সমাজ অফিসের সামনে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। আর্থিক অসুবিধার কারণে স্কুলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন শিক্ষানুরাগী জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী। তখন থেকে স্কুলটির নামকরণ করা হয় জগন্নাথ স্কুল। উনিশ শতকে জগন্নাথ স্কুল পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকার শিক্ষা ও সামাজিক জীবনে আধুনিকতার শতকের সেই জগন্নাথ স্কুলই পরবর্তীতে জগন্নাথ কলেজ এবং বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।বিশ্ববিদ্যালয় ১৮৫৬আকারে সালে ঢাকার ব্রাহ্ম সমাজ নারী শিক্ষাবিস্তার প্রসারে লাভ করেছে। বহুবিবাহ রোধ, মদ্যপান, দুর্নীতি নিবারণ, স্ত্রী শিক্ষা বিস্তার ইত্যাদি কাজে তার বিশেষ অবদান আছে। বাংলাদেশে তরুন সমাজের মধ্যে ব্রাহ্মধর্ম কে ছরিয়ে দিতে পেরেছিলেন ব্রজসুন্দর। মহর্ষি [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ব্রজসুন্দরের কাজে সন্তুষ্ট হন ও তাদের মধ্যে সু সম্পর্ক তৈরী হয়। তার তৃতীয়া কন্যা উমাসুন্দরীর সাথে ঠাকুর জমিদারীর দেওয়ান প্রসন্ন কুমার বিশ্বাসের বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। ঠাকুরবাড়ির নিয়ম মেনে ব্রাহ্মধর্ম মতে এই বিবাহ হয়।
 
== তথ্যসূত্র ==