ভুরশুট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্য
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৪ নং লাইন:
[[রাঢ়]] অঞ্চলের দক্ষিণাঞ্চলে ভুরশুট রাজ্যটি স্থাপিত হয়েছিল। এই রাজ্যের অধিবাসীরা "ভুরিশ্রেষ্ঠী" নামে পরিচিত ছিল। এরা ছিল মূলত বণিক। এদের নামানুসারেই রাজ্যের নামকরণ হয় "ভুরশুট"। যদিও সম্ভবত ভুরশুটই ছিল রাঢ়ী ব্রাহ্মণদের মূল বসতাঞ্চল। [[পাল সাম্রাজ্য|পাল সাম্রাজ্যের]] উত্থানের সময় কোনো এক সুর রাজা এই রাজ্য শাসন করতেন। একাধিক সামন্ত রাজা এই রাজ্য শাসন করেছিলেন। ধীবর রাজবংশের (সম্ভবত ১৪শ-১৫শ শতাব্দী) লোককথায় এই রাজ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। এর পর কোনো এক ব্রাহ্মণ রাজবংশ এই রাজ্য শাসন করে।<ref name=Ghosh>Ghosh, Binoy, ''Paschim Banger Sanskriti'', (in Bengali), part II, 1976 edition, pp. 218-234, Prakash Bhaban</ref>
 
ভুরশুটের শেষ ধীবর রাজা শনিভাঙ্গর গড় ভবানীপুরের চতুরানন নিয়োগীকে পরাজিত করেছিলেন। চতুরাননের দৌহিত্র তথা ফুলিয়ার মুখতি রাজবংশের কৃষ্ণ রায় ভুরশুট দখল নিয়ে ভুরশুটের ব্রাহ্মণ রাজবংশের পত্তন ঘটান। [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সম্রাট]] [[আকবর|আকবরের]] রাজত্বকালে কৃষ্ণ রায় ১৫৮৩-৮৪ সালে ভুরশুট শাসন করেন। তাঁর প্রপৌত্র প্রতাপনারায়ণ রায় (১৬৫২-১৬৮৪) ছিলেন ভুরশুটের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা। এই পরিবারে "রায়বাঘিনী" নামে এই বীরাঙ্গনা মহিলার কথা জানা যায়। তবে তাঁর সঠিক পরিচয় পাওয়া যায় না।<ref name=Ghosh/> সম্ভবত তাঁর নাম ছিল [[ভবশঙ্করী]]। ভুরশুটের রাজা রুদ্রনারায়নের সাথেভসাথে তার বিবাহ হয়।
 
[[আইন-ই-আকবরি]] থেকে জানা যায় সুলেইমানাবাদ সরকারের অধীনস্থ ৩৩টি মহলের মধ্যে বসন্ধরী পরগনার পরেই ভুরশুট পরগনা থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হত। [[সপ্তগ্রাম|সপ্তগ্রাম সরকার]] বা মান্দারন সরকারের অন্য কোনো পরগনা এত রাজস্ব আদায় করত না। ১৮শ শতাব্দীতে বর্ধমানের রাজা কীর্তিচন্দ রায় ভুরশুট জয় করেন।<ref name=Ghosh/>