হারুনুর রশীদ (বীর প্রতীক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Shohag Rana (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
Hasive (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র হালনাগাদ
২০ নং লাইন:
}}
 
'''হারুনুর রশীদ''' (ইংরেজি: [[:en:Harunur Rashed|Harunur Rashed]]) (১৯৪৮ - ২৭ নভেম্বর ১৯৭১) হলেন [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |date=১৭ ডিসেম্বর ২০১২ |title=স্মৃতিফলকে নাম নেই বীরপ্রতীকের! |url=http://www.banglamail24.com/index.php/news/2012/12/17/id/797 |newspaper=বাংলামেইল২৪ডটকম |access-date= ৩ ডিসেম্বর ২০১৫}}</ref> স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] তাকে [[বীর প্রতীক]] খেতাব প্রদান করে।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2011-11-13/news/200543 দৈনিক প্রথম আলো, "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না" | তারিখ: ১৪-১১-২০১১]</ref>
 
== জন্ম ও পরিবার ==
হারুনুর রশীদ পৈতৃক বাড়ি [[চুয়াডাঙ্গা জেলা|চুয়াডাঙ্গা জেলার]] [[চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা|সদর উপজেলার]] রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামে। তার পিতার নাম আহমেদ আলী মন্ডল এবং মায়ের নাম বিরাজ খাতুন। তার স্ত্রীর নাম ছুরাতন নেছা।<ref>{{cite book |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রহন্থ |last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=জুন ২০১২ |publisher= জনতা ব্যাংক লিমিটেড |location= |isbn= 9789843351449|page=১৪০|pages= |accessdate= |url=}}</ref>
 
== কর্মজীবন ==
২৯ নং লাইন:
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
হারুনুর রশীদ ১৯৭১ সালে শিক্ষার্থী ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি যুক্ত ছিলেন ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে। [[মুক্তিযুদ্ধ]] শুরু হলে ঝাঁপিয়ে পড়েন যুদ্ধে। প্রতিরোধযুদ্ধ শেষে [[ভারত|ভারতে]] যান। মুক্তিযুদ্ধ আনুষ্ঠানিক রূপ পেলে তিনি ৮ নম্বর সেক্টরের চুয়াডাঙ্গা সাব-সেক্টরের অধিনায়ক নিযুক্ত হন। তার নেতৃত্বে বা পরিচালনায় অনেক যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এর মধ্যে যদুপুর ক্যাম্প আক্রমণ অন্যতম। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ভেতরে প্রাথমিক অবস্থান থেকে হারুনুর রশীদ নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা রওনা হয়েছিলেন বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে। হারুনুর রশীদ তার সহযোগীদের নিয়ে যদুপুর পাকিস্তান সেনাদের ক্যাম্পে আক্রমন করার পরিকল্পনা করেন। ২৭ নভেম্বর (শনিবার) তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে আক্রমণ করার পরিকল্পনা অনুযায়ী যদুপুর এর পাকিস্তানি ঘাঁটিকে ঘেরাও করেন। যদিও হারুনুর রশীদ ও তার সহযোদ্ধারা সংখ্যায় ছিলেন নগন্য। হারুনুর রশীদ তার সহযোদ্ধাদের আগে থেকেই সংকেতের অপেক্ষা না করে গুলি শুরু করতে নির্দেশ করেছিলেন। হঠাৎ গোলাগুলির প্রতিরোধে পাকিস্তানি ক্যাম্প থেকেও পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন। ফলে হারুনুর রশীদ ও তার সঙ্গে থাকা সহযোদ্ধারা ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে যান। তাদের মাথার ওপর দিয়ে ছুটে যায় অসংখ্য গুলি। সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলেও হঠাৎ হানাদারের একটা বুলেট আঘাত হানে হারুনুর রশীদ এর বুকে। ঐ দিনে হারুনুর রশীদ এর গোলার বারুদে ৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। অনেক কষ্টে হারুনুর রশীদের সহযোদ্ধারা ক্যাম্পের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। ঐ দিনে হারুনুর রশীদ শহীদ হন।
 
১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ভেতরে প্রাথমিক অবস্থান থেকে হারুনুর রশীদ নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা রওনা হয়েছিলেন বিভিন্ন লক্ষ্যস্থলে। হারুনুর রশীদ তার সহযোগীদের নিয়ে যদুপুর পাকিস্তান সেনাদের ক্যাম্পে আক্রমন করার পরিকল্পনা করেন। ২৭ নভেম্বর (শনিবার) তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে আক্রমণ করার পরিকল্পনা অনুযায়ী যদুপুর এর পাকিস্তানি ঘাঁটিকে ঘেরাও করেন। যদিও হারুনুর রশীদ ও তার সহযোদ্ধারা সংখ্যায় ছিলেন নগন্য। হারুনুর রশীদ তার সহযোদ্ধাদের আগে থেকেই সংকেতের অপেক্ষা না করে গুলি শুরু করতে নির্দেশ করেছিলেন। হঠাৎ গোলাগুলির প্রতিরোধে পাকিস্তানি ক্যাম্প থেকেও পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন। ফলে হারুনুর রশীদ ও তার সঙ্গে থাকা সহযোদ্ধারা ক্রসফায়ারের মধ্যে পড়ে যান। তাদের মাথার ওপর দিয়ে ছুটে যায় অসংখ্য গুলি। সবকিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী হলেও হঠাৎ হানাদারের একটা বুলেট আঘাত হানে হারুনুর রশীদ এর বুকে। ঐ দিনে হারুনুর রশীদ এর গোলার বারুদে ৪ জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়। অনেক কষ্টে হারুনুর রশীদের সহযোদ্ধারা ক্যাম্পের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। ঐ দিনে হারুনুর রশীদ শহীদ হন।
 
হারুনুর রশীদ এর একজন সহযোদ্ধা জালাল উদ্দীন হারুনুর রশীদের লাশের দাফন সম্পন্ন করেন। এখন সেখানে একটা কবরস্থান করা হয়েছে। হারুনুর রশীদের কবর সংরক্ষনের জন্য এখনও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
 &nbsp;<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |date=২১ জানুয়ারি ২০১৭ |title=বীর প্রতীকের কবর আগাছায় ঢাকা, হয়নি স্মৃতিফলক |url=http://www.jagonews24.com/m/country/197311/বীর-প্রতীকের-কবর-আগাছায়-ঢাকা,-হয়নি-স্মৃতিফলক |newspaper=Jagonews24}}</ref><ref>{{cite book |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=এপ্রিল ২০১২ |publisher= প্রথমা প্রকাশন |location= |isbn= 9789843338884|page=১৭১|pages= |accessdate= |url=}}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==