অক্ষয়কুমার দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ robot Adding: te:అక్షయ్ కుమార్ దత్తా |
Piyal Kundu (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২ নং লাইন:
==জীবনী==
অক্ষয়কুমার অবিভক্ত [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ|পশ্চিমবঙ্গের]] [[বর্ধমান জেলা|বর্ধমান জেলায়]] নবদ্বীপের কাছে চু্পী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার
সংবাদপত্রে লেখালেখির মাধ্যমে লেখক জীবন শুরু করেন। [[ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত]] সম্পাদিত [[সংবাদ প্রভাকর]] পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন। [[১৮৪২]] সালে তিনি নিজস্ব উদ্যোগে "বিদ্যাদর্শন" নামে একটি পত্রিকা চালু করেন। কিন্ত এই পত্রিকা বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে পারেননি। লেখক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি লাভের কারণে তাঁকে [[তত্ত্ববোধিনী]] পত্রিকার সম্পাদকের পদে মনোনীত করা হয় ১৮৪৩ সালে। তিনি কয়েক বছর ধরে এই পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছিলেন । এই পত্রিকায় অক্ষয়কুমারের প্রবন্ধ প্রকাশিত হত । এই সব প্রবন্ধ তিনি পরে বই হিসাবে বার করতেন । তাঁর প্রথম বই ভূগোল ([[১৮৪১]]) তত্ত্ববোধিনী পাঠশালার পড়াশোনার জন্য তত্ত্ববোধিনী সভার উদ্যোগে প্রকাশিত হয়েছিল । দীর্ঘদিন পরে তাঁর দ্বিতীয় বই 'বাহ্যবস্তুর সহিত মানব-প্রকৃতির সম্বন্ধ বিচার' প্রথম ভাগ [[১৮৫২]] সালে বের হয় । এরপর এই বইয়ের দ্বিতীয় ভাগ চারুপাঠ (তিনভাগ), ধর্মনীতি, ভারতবর্ষীয় উপাসক-সম্প্রদায় (দুই ভাগ) ইত্যাদি বই প্রকাশিত হয় ।
তার অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]। ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন [[তত্ত্ববোধিনী সভা|তত্ত্ববোধিনী সভায়]] তিনি সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। [[ব্রাহ্ম ধর্ম|ব্রাহ্ম]] চিন্তাধারায় বিশ্বাসী হিন্দু হলেও পাশ্চাত্যের বিজ্ঞান ও শিল্পকলার প্রাধান্য মেনে নেয়ার মানসিকতা তার মধ্যে ছিল। তিনি উনবিংশ শতাব্দীর ফরাসি দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। এ কারণে হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ [[বেদ]]-এ বর্ণীত আত্মা এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে বহু ব্রাহ্ম ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এরপর তিনি [[ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]] কর্তৃক প্রভাবিত হয় তার সামাজিক সংস্কারমূলক আন্দোলনে শরিক হন। [[ধর্ম]] এবং [[দর্শন|দর্শনের]] পরষ্পর বিরোধি তত্ত্বের বেড়াজালে পড়ে তিনি হতবুদ্ধি হয়েছিলেন। এ কারণে পরবর্তীতে [[ব্রাহ্ম সমাজ]] এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকাও পরিত্যাগ করেন।▼
অক্ষয়কুমারের অনেক রচনা ইংরাজি হতে সংকলিত । তবে ভারতবর্ষীয় উপাসক-সম্প্রদায় বইতে নিজস্ব মৌলিক উপাদান অনেক ছিল । তিনি ছিলেন ভারতে বিজ্ঞান আলোচনার পথপ্রদর্শক ।
▲তার অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর]]। ঠাকুর কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ধর্মীয় সামাজিক সংগঠন [[তত্ত্ববোধিনী সভা|তত্ত্ববোধিনী সভায়]] তিনি সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। [[ব্রাহ্ম ধর্ম|ব্রাহ্ম]] চিন্তাধারায় বিশ্বাসী [[হিন্দু]] হলেও পাশ্চাত্যের বিজ্ঞান ও শিল্পকলার প্রাধান্য মেনে নেয়ার মানসিকতা তার মধ্যে ছিল। তিনি উনবিংশ শতাব্দীর [[ফরাসি দর্শন]] দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন। এ কারণে হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ [[বেদ]]-এ বর্ণীত আত্মা এবং বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে বহু ব্রাহ্ম ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এরপর তিনি [[ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর]] কর্তৃক প্রভাবিত হয় তার সামাজিক সংস্কারমূলক আন্দোলনে শরিক হন। [[ধর্ম]] এবং [[দর্শন|দর্শনের]] পরষ্পর বিরোধি তত্ত্বের বেড়াজালে পড়ে তিনি হতবুদ্ধি হয়েছিলেন। এ কারণে পরবর্তীতে [[ব্রাহ্ম সমাজ]] এবং তত্ত্ববোধিনী পত্রিকাও পরিত্যাগ করেন।
মধ্য বয়সে ফরাসি দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তিনি [[একাত্মবাদ]] গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে তিনি পরিণত হন একজন [[অজ্ঞেয়বাদ|অজ্ঞেয়বাদীতে]]। দেখা যাচ্ছে, তিনি বারবার নিজ মত ও আদর্শ পরিবর্তন করেছেন। তিনি আসলে কোন নির্দিষ্ট ধর্ম বা দর্শনেই আস্থা স্থাপন করতে পারেননি। উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি পণ্ডিত সমাজ কতটা অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হয়েছিল তার জীবন থেকে এর প্রাণ মেলে। হিন্দু জীবনাচার ও অনুষ্ঠান পালনে তিনি অনাগ্রহী ছিলেন। কিন্তু বাংলা ভাষা, কলা এবং সংস্কৃতির বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
বিখ্যাত কবি [[সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত]] ছিলেন তাঁর নাতি
==রচনাবলী==
১৫ ⟶ ২১ নং লাইন:
* ''পদার্থবিদ্যা'' (১৮৫৬)
* ''ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায়'' (১ম - ১৮৭০, ২য় - ১৮৮৩)
==তথ্যসূত্র==
*বাংলা সাহিত্যের কথা [[সুকুমার সেন]] সপ্তম সংস্করণ পৃঃ ১৯৩
*ইংরাজি উইকিপিডিয়া
২৪ ⟶ ৩৪ নং লাইন:
[[category:বাঙালি দার্শনিক]]
[[category:বাঙালি প্রবন্ধকার]]
[[category:বাঙালি লেখক]]
[[en:Akshay Kumar Datta]]
|