ওয়ালিল হোসেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Hasive (আলোচনা | অবদান)
Hasive (আলোচনা | অবদান)
→‎মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা: সম্প্রসারণ, তথ্যসূত্র যোগ/সংশোধন
৩৮ নং লাইন:
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
[[১৯৭১]] সালে [[কুষ্টিয়া জেলা|কুষ্টিয়া জেলার]] [[দৌলতপুর উপজেলা|দৌলতপুর উপজেলার]] অন্তর্গত ধর্মদহের পূর্ব পাশ দিয়ে একটি রাস্তা [[মেহেরপুর জেলা| মেহেরপুর]] থেকে উত্তরে প্রাগপুর হয়ে মথুরাপুর সড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। অবস্থানগত সুবিধার জন্য সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি ধর্মদহে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এই এলাকা ছিল ৮ নম্বর সেক্টরের শিকারপুর সাব সেক্টরের অধীন এবং এটি ছিল মুক্ত এলাকা। সেখানে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি সেনা ও রাজাকারদের ওপর গেরিলা কায়দায় আক্রমণ চালাতেন। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের তৎপরতা জোরদার হলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ওই এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিতাড়ন করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়। তাদের এই পরিকল্পনা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে আগে থেকে জানা সম্ভব হয়নি। [[১২ নভেম্বর]] সকালে [[পাকিস্তান সেনাবাহিনী| পাকিস্তান সেনাবাহিনীর]] একটি দল আর্টিলারির সহায়তায় ধর্মদহে আকস্মিকভাবে আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধারা এতে মনোবল না হারিয়ে সাহসের সঙ্গে পাল্টা আক্রমণ করেন। প্রচণ্ড সম্মুখযুদ্ধ চলতে থাকে। যুদ্ধে ওয়ালিল হোসেনসহ কয়েকজন অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। তাঁদের বীরত্বে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যুদ্ধের একপর্যায়ে ওয়ালিল হোসেনের মাথা ও বুকে গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এই যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার মিলে প্রায় শতাধিক হতাহত হয়। তারা একটি মেশিনগান, বিপুলসংখ্যক বিভিন্ন অস্ত্রের গুলি এবং নানা ধরনের বিস্ফোরক ফেলে এবং হতাহতদের নিয়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শুধু ওয়ালিল হোসেন শহীদ হন। তিনজন মুক্তিযোদ্ধা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। সহযোদ্ধারা পরে ওয়ালিল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে ভারতের নদীয়া জেলার করিমগঞ্জ থানায় সমাহিত করেন। <ref>{{cite book |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=এপ্রিল ২০১২ |publisher= প্রথমা প্রকাশন |location= |isbn= 9789843338884|page=১৭১|pages= |accessdate= |url=}}</ref>
<ref>{{cite book |title= একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (প্রথম খন্ড)|last= |first= |authorlink= |coauthors= |year=এপ্রিল ২০১২ |publisher= প্রথমা প্রকাশন |location= |isbn= 9789843338884|page=১৭১|pages= |accessdate= |url=}}</ref>
 
== পুরস্কার ও সম্মাননা ==