সাধারণইংরেজি ভাষায় '''ইনপুট/আউটপুট''' এবং বাংলা ভাষায় '''প্রবিষ্ট/নিষ্কৃত''' হল কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগ।যোগাযোগের অপর নাম। কম্পিউটারের জগতে,পরিভাষায় ইনপুট/আউটপুট বা আই/ও হল একটি তথ্য প্রসেসিংপ্রক্রিয়াকরণ সিস্টেমেরব্যবস্থা (যেমন কম্পিউটার) সাথে বাইরের জগতের কারো সাথে যোগাযোগ হয় যেমন মানুষ। '''প্রবিষ্ট''' বা ইনপুট হল সিস্টেমকেকম্পিউটার ব্যবস্থাকে প্রদত্ত বা এটিকে প্রবেশ করানো সংকেত বা তথ্য যা সেটি গ্রহণ করে এবং '''নিষ্কৃত''' বা আউটপুট হল ঠিক তার উল্টো মানে সিস্টেমেরকমপিউটার প্রদত্তব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা বা নিষ্কাশিত সংকেত বা তথ্য যা আমরা গ্রহণ করি। বিভিন্ন ধরনের ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসযন্ত্র রয়েছে যেগুলো মানুষ ইনপুট/আউটপুটেরউপাত্ত প্রবিষ্টকরণ ও নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহার করে। উদাহরণসরূপ বলা যায়, কিবোর্ড বা চাবিযন্ত্র, মাউস (ইনপুটবা ডিভাইস)মূষিকযন্ত্র আর-- এগুলি হল প্রবিষ্টকরণ যন্ত্র; অন্যদিকে মনিটর বা দৃশ্যমান পর্দাযন্ত্র, প্রিন্টার (আউটপুটবা ডিভাইস)।মুদ্রণযন্ত্র --- এগুলি হলে নিষ্কাশন যন্ত্র। আবার ব্যতিক্রমও আছে যেমন মডেম, নেটওয়ার্ক কার্ড এগুলো ইনপুটপ্রবিষ্টকরণ এবং আউটপুটনিষ্কাশন -- দুটোই করে।
মজার ব্যপার হল, কোন ডিভাইস ইনপুট বা আউটপুট হবে তা নির্ভর করে দৃষ্টিভঙ্গির উপর। কিবোর্ড আর মাউস মানুষের দেয়া ইনপুট বা নির্দেশটা নেয় নাড়াচাড়া বা কি চাপ দেয়ার উপর। তাতে যে সংকেত কম্পিউটার গ্রহণ করে তা প্রথমে কনভার্ট বা পরিবর্তন হয়ে কম্পিউটারের ভাষায় রূপান্তরিত হয় এবং কম্পিউটার তা বুঝে নেয়। একই ভাবে মনিটর, প্রিন্টার প্রভৃতি যন্ত্রাংশগুলো কম্পিউটারের দেয়া সংকেতগুলো নেয় এবং মানুষ বোঝার মত করে তা দেখায়। তাই একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারীর দৃষ্টিতে কোন কিছু মনিটরের স্ক্রীনে পড়া মানে ইনপুট গ্রহণ করা। এইধরনের কম্পিউটার এবং মানুষের কার্যপ্রনালীগুলোকে মানুষ-কম্পিউটার ইন্টারেকশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
