শিবাজী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৪২ নং লাইন:
বাল্যকালেই মহারাষ্ট্র দেশ সম্পর্কে এবং স্থানীয় পার্বত্য মাওয়ালি জনগোষ্ঠীরর সাথে শিবাজীর ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। এই মাওয়ালিদের নিয়েই তিনি সর্বপ্রথম বিশ্বস্ত এক সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন। ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে কোণ্ডদেবের মৃত্যুর পর, শিবাজী রাজ্যজয়ে মনোনিবেশ করেন। ''রোলিনসন (Rawlinson)'' মনে করেন যে, বিদেশী শাসন থেকে স্বদেশকে মুক্ত করাই শিবাজীর রাজ্যজয়ের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। সম্পদের লোভে লুঠতরাজ করা তাঁর অভিপ্রেত ছিল না। সরদেশাই বলেন, সারা ভারতে [[হিন্দু]] সাম্রাজ্য স্থাপন করাই শিবাজীর লক্ষ্য ছিল।<ref name=":0" />
 
=== আফজল খাঁরখানের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ===
 
“ শায়েস্তা খাঁ ছিলেন তৎকালীন বাংলায় নিয়োজিত সুবাদার। তিনি ছিলেন পুণ্যবান বাদশাহ আলমগীরের সুযোগ্য গভর্নর বা সুবাদার। মুঘল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে মারাঠা, মগ, পর্তুগীজ দস্যুদের তিনি বিতাড়ন করেছিলেন। এসব সন্ত্রাসীদের শক্ত হস্তে দমন করতে পেরেছিলেন বলেই তার শাসনামলে বাংলার মানুষ অত্যন্ত শান্তিতে ছিল। যালিম, লুটেরা দস্যু কাফিরদের দমন করার ফলে অর্থনৈতিক কর্মকা- নির্ঝঞ্ঝাট হওয়ায় বাংলায় তার শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়ার কিংবদন্তী রচিত হয়েছে। মুঘল গভর্নর হিসেবে শায়েস্তা খাঁ এর বিদায়পর্ব ছিল গৌরবব্যঞ্জক। বাংলার বিপুল জনতা মিছিলের মাধ্যমে তাকে বিদায় জানিয়েছিল। তাকে জীবনে এজন্য ত্যাগও স্বীকার করতে হয়েছে প্রচুর। দস্যু হিন্দু মারাঠারা ছিল অত্যাচারী, কিন্তু কাপুরুষ। মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষে একরাতে শায়েস্তা খাঁ তার শয়নকক্ষে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। বিশ্রামরত নিরস্ত্র শায়েস্তা খাঁ কে কাপুরুষের মতো অতর্কিতে আক্রমণ করল মারাঠা দস্যুসর্দার শিবাজী। শায়েস্তা খাঁ জানালা ভেঙে বেরিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করেন। কিন্তু তার অল্পবয়স্ক পুত্র দুর্ঘটনাবশত ঘরেই থেকে যায়। তার নিষ্পাপ পুত্রকে শিবাজী একা পেয়ে খন্ড- খন্ড- করে কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করল। এই ঘটনাটি ঘটে ১৬৬৩ ঈসায়ী সনের এপ্রিল মাসে। (সূত্র: চেপে রাখা ইতিহাস, ১৭৯ পৃষ্ঠা)
 
শিবাজী ছিল মারাঠা দস্যুদের নেতা হিসেবে। যাদের কাজই ছিলো সাধারণ মানুষের ঘড়বাড়ি লুণ্ঠন, লূটতরাজ, অগ্নিসংযোগ আর মানুষ হত্যা করা। এদের নিষ্ঠুর অত্যাচারে মানুষ এতটাই আতঙ্কগ্রস্ত ছিলো যে, কচি কচি বাচ্চাদের কান্না থামাবার জন্য মারাঠা বর্গীদের’ অত্যাচারের কথা নিয়ে মা কবিতা শুনাতো-
 
“ছেলে ঘুমালো পাড়া জুড়ালো
 
বর্গী এলো দেশে
 
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
 
খাজনা দেব কিসে
 
শিবাজী যখন তার লুটপাট ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিলো তখন মুঘল মহান সম্রাট আওরঙ্গজেব ১০ হাজার সেনা নিযে সেনাপতি আফজল খাঁ কে পাঠিয়েছিলেন মারাঠা দস্যুদের দমনের জন্য। খবর পেয়ে শিবাজী ভাবলো, এত সেনার সাথে তো পারা সম্ভব নয়। তাই সে ভিন্ন মতলব আটলো। সন্ধির প্রস্তাব নিয়ে শিবাজী গেলো আফজল
 
খাঁর সাথে দেখা করতে। যুদ্ধক্ষেত্রে একটি নিয়ম হচ্ছে, সন্ধি করতে আসলে তাকে সম্মান করতে হবে, তার কোন অনিষ্ট করা যাবে না। সেনাপতি আফজল খাঁ শিবাজীকে সাদর সম্ভাষন জানালো। এ সময় দু’জনে সৌজন্য মোলাকাতও করলো। কিন্তু মারাঠা দস্যু নেতা শিবাজী ছিলো ধোঁকাবাজ। সে
 
== আগেই তার পোষাকের নিচে ‘বাঘনখ’ নামক একটি ধারালো অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলো, মোলাকাতের সময় সে হঠাৎ সেনাপতি আফজল খানের উপর আক্রমণ করে তাকে হত্যা করে বসলো। ==