সিরিল ওয়াশব্রুক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
আরও দেখুন - অনুচ্ছেদ সৃষ্টি করা হয়েছে!
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অবসর - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি!
৬৭ নং লাইন:
'''সিরিল ওয়াশব্রুক''' ({{lang-en|Cyril Washbrook}}; [[জন্ম]]: [[৬ ডিসেম্বর]], [[১৯১৪]] - [[মৃত্যু]]: [[২৭ এপ্রিল]], [[১৯৯৯]]) ক্লিথেরোর বারো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ ক্রিকেটার ছিলেন। [[ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল|ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের]] অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়াও [[Lancashire County Cricket Club|ল্যাঙ্কাশায়ারের]] পক্ষে [[কাউন্টি ক্রিকেট|কাউন্টি ক্রিকেটে]] অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ১৯৪৭ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনীত হন।
 
== খেলোয়াড়ীপ্রারম্ভিক জীবন ==
ব্রিজনর্থ গ্রামার স্কুলে অধ্যয়ন করেন। ১৮ বছর বয়সে ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে অংশগ্রহণ করেন। দুই বছর পর ১৯৩৫ সালে দলের পূর্ণাঙ্গ সদস্য হন।
 
দীর্ঘদিন যাবৎ খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। লেগসাইডে তাঁর বেশ দখল ছিল। হুকস ও পুলের মারে ১৯৪০-এর দশকের শেষদিকে নিজেকে তুলে ধরেন। ১৯৪৮ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে আর্থিক সুবিধার আওতায় ১৪০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং আয় করেন।[[ফিল্ডিং (ক্রিকেট)|কভার অঞ্চলে]] তাঁর ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁর ফিল্ডিং ছিল বেশ প্রশংসনীয়।
১৯৩৭ সালে ওভালে সফরকারী [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ডের]] বিপক্ষে তিনি তাঁর প্রথম [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] খেলার জন্য মনোনীত হন। কিন্তু ঐ টেস্টে মাত্র ৯ ও [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৮* রান তোলার খেসারৎ হিসেবে পরবর্তী বছরে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হননি। ঐ বছরে তিনি ১৭২৪ [[রান (ক্রিকেট)|রান]] তুলেন ও [[ব্যাটিং গড়|ব্যাটিং গড়ে]] জাতীয় পর্যায়ে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
 
দীর্ঘদিন যাবৎ খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের ৫৯২টি [[প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট]] খেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। তন্মধ্যে [[লেন হাটন|লেন হাটনের]] সাথে জুটি গড়ে সুনাম কুড়ান। এ জুটি ৫১বার [[ব্যাটিং অর্ডার|ব্যাটিং উদ্বোধন]] করতে নামেন যার ৩৭টিই ছিল টেস্টে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] কারণে খেলোয়াড়ী জীবন বিভক্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধ শুরু হলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের বিঘ্ন ঘটে। [[রয়্যাল এয়ার ফোর্স|রয়্যাল এয়ার ফোর্সে]] শারীরিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন।
 
১৯৪৮ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে আর্থিক সুবিধার আওতায় £১৪০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং আয় করেন। ১৯৫৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রথম পেশাদার [[অধিনায়ক (ক্রীড়া)|অধিনায়ক]] হিসেবে নিযুক্ত হন ওয়াশব্রুক। এ দায়িত্বে তিনি ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ঐ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আর্থিক সুবিধার আওতায় £১,৫২০ পাউন্ড-স্টার্লিং লাভ করেন।
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১৯৩৭ সালে ওভালে সফরকারী [[নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দল|নিউজিল্যান্ডের]] বিপক্ষে তিনি তাঁর প্রথম [[টেস্ট ক্রিকেট|টেস্ট]] খেলার জন্য মনোনীত হন। কিন্তু ঐ টেস্টে মাত্র ৯ ও [[অপরাজিত (ক্রিকেট)|অপরাজিত]] ৮* রান তোলার খেসারৎ হিসেবে পরবর্তী বছরে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়ার]] বিপক্ষে খেলার জন্য মনোনীত হননি। ঐ বছরে তিনি ১৭২৪ [[রান (ক্রিকেট)|রান]] তুলেন ও [[ব্যাটিং গড়|ব্যাটিং গড়ে]] জাতীয় পর্যায়ে পঞ্চম স্থানে ছিলেন তিনি।
 
যুদ্ধ শুরু হলে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের বিঘ্ন ঘটে। [[Royal Air Force|রয়্যাল এয়ার ফোর্সে]] শারীরিক শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর [[1946-47 Ashes series|১৯৪৬-৪৭]] মৌসুমের [[দি অ্যাশেজ|অ্যাশেজ সিরিজে]] [[Australian cricket team in Australia in 1946-47|অস্ট্রেলিয়া সফরে]] অবশেষে মনোনীত হন। হাটন ও ওয়াশব্রুক পরপর তিনটি [[সেঞ্চুরি (ক্রিকেট)|শতরানের]] জুটি গড়েন। তাঁর ক্রিকেট ক্যাপ পড়ার জন্টি ধরন অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
 
১৯৪৮-৪৯ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। ৫ টেস্টের ঐ সিরিজে ৫৪২ রান করেন তিনি। তন্মধ্যে জোহেন্সবার্গে সিরিজের ২য় টেস্টে নিজস্ব সর্বোচ্চ ১৯৫ রান তুলেন। লেন হাটনের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫৯ রান তুলেন যা ঐ সময়ের রেকর্ড ছিল।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/content/records/283611.html Test matches - Highest partnership for the first wicket]</ref> অদ্যাবধি এ জুটির সংগৃহীত রান ইংল্যান্ডের পক্ষে টিকে রয়েছে।<ref>[http://stats.cricinfo.com/ci/engine/records/fow/highest_partnerships_by_wicket.html?class=1;id=1;type=team Test matches - Highest partnerships by wicket for England]</ref>
 
== অবসর ==
== খেলার ধরন ==
৪৪ বছর বয়সে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণ ঘটে। ১৯৫৬ সালে টেস্ট দল নির্বাচক মনোনীত হন। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দল পরাজিত হলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে তাঁর দল। ৪১ বছর বয়সী ওয়াশব্রুক তাঁর সতীর্থ নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যদেরকে কক্ষ ত্যাগ করতে বলেন। হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। ১৭/৩ থাকাবস্থায় তিনি [[পিটার মে|পিটার মে’র]] সাথে জুটি গড়ে ১৮৭ রানের জুটি গড়েন। ওয়াশব্রুক করেন ৯৮ রান। ইংল্যান্ড খেলায় জয় পেলে দলে তিনি অবস্থান করেন। ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে করেন মাত্র ৬ রান। ঐ টেস্টে [[জিম লেকার]] রেকর্ডভাঙ্গা ১৯ উইকেট দখল করেন ও দলকে ২-১ নিয়ে যান। চূড়ান্ত ও পঞ্চম টেস্ট ওভালে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু ওয়াশব্রুক শূন্য রান তুললেও খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হন ও অ্যাশেজ সিরিজে জয় পায়।
লেগসাইডে তাঁর বেশ দখল ছিল। হুকস ও পুলের মারে ১৯৪০-এর দশকের শেষদিকে নিজেকে তুলে ধরেন। ১৯৪৮ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে আর্থিক সুবিধার আওতায় ১৪০০০ পাউন্ড-স্টার্লিং আয় করেন। কভার অঞ্চলে তাঁর ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা ছিল। ওল্ড ট্রাফোর্ডে তাঁর ফিল্ডিং ছিল বেশ প্রশংসনীয়।
 
৪৪ বছর বয়সে তাঁর খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপণ ঘটে। ১৯৪৭ সালে উইজডেন কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] মনোনীত হন তিনি।<ref name="Cap">{{cite book |title=If The Cap Fits |last=Bateman |first=Colin |authorlink= |coauthors= |year=1993 |publisher=Tony Williams Publications |location= |isbn=1-869833-21-X |page= |pages= 182–183 |url= }}<!--|accessdate=29 April 2011--></ref> ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ল্যাঙ্কাশায়ারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২৭ এপ্রিল, ১৯৯৯ তারিখে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের সেল এলাকায় ৮৪ বছর বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
 
== তথ্যসূত্র ==
৮৭ ⟶ ৯২ নং লাইন:
 
== আরও দেখুন ==
* [[লেন হাটন]]
* [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার]]
* [[১৯৪৮ অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের ইংল্যান্ড সফর]]