বটুকেশ্বর দত্ত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''বটুকেশ্বর দত্ত''' {{অডিও|Batukeshwar Datta.ogg|উচ্চারণ}} ছিলেন উনিশ শতকের শূন্য দশকের একজন ভারতীয়বাঙালি ব্রিটিশবিরোধী [[বিপ্লবী]] এবং ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা।<ref name="Sarala1999">{{বই উদ্ধৃতি|author=Śrīkr̥shṇa Sarala|title=Indian Revolutionaries: A Comprehensive Study, 1757-1961|url=http://books.google.com/books?id=_iFS6waXHYIC&pg=PT110|accessdate=11 July 2012|year=1999|publisher=Ocean Books|isbn=978-81-87100-18-8|pages=110–}}</ref> ১৯২৯ সালের ৮ এপ্রিল [[ভগৎ সিং|ভগৎ সিংয়ের]] সাথে নয়া দিল্লীর [[কেন্দ্রীয় সংসদ ভবনে]] কতিপয় বোমা ফাটানোর জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন। তারা পরিকল্পনা মোতাবেক দুটি সাধারণ বোমা ফেলেন, যাতে কারো কোনো ক্ষতি না হয়। ফরাসী [[নৈরাজ্যবাদ|নৈরাজ্যবাদী]] বিপ্লবী বৈলেয়ন্টের মতোই ভগৎ সিংহের বক্তব্য ছিল 'বধিরকে শোনাতে উচ্চকণ্ঠ প্রয়োজন'। বটুকেশ্বর দত্ত ও তিনি ইস্তাহার ছড়িয়ে দেন নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে, স্লোগান দেন এবং শান্তভাবে গ্রেপ্তারকরণগ্রেপ্তারবরণ করেন। ।

গ্রেপ্তারের পর বিস্ফোরক আইন ভঙ্গ ও হত্যা প্রচেষ্টার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রহসন করে ব্রিটিশ সরকার। জেলে তিনি এবং [[ভগৎ সিং]] ভারতীয় রাজনৈতিক জেলবন্দিদের সাথে নোংরা আচরণের বিরুদ্ধে ও রাজবন্দীর অধিকারের দাবীতে এক ঐতিহাসিক [[অনশন|অনশনের]] উদ্যোগ নেন শুরু করেন এবং তাদের জন্য কিছু অধিকার আদায়ে সক্ষম হন।<ref>[http://www.shahidbhagatsingh.org/index.asp?link=hunger_strike Bhagat Singh Documents] ''Hunger-strikers' Demands''</ref> এই অনশনে শহীদ হন বিপ্লবী যতীন দাস। ১৯৩৮ খৃষ্টাব্দে বটুকেশ্বর মুক্তি পেলেও বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ তার প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়। ১৯৪২ সালে আবার গ্রেপ্তার করে তাকে অন্তরীন রাখা হয় ৩ বছর। তিনি [[হিন্দুস্তান সমাজপ্রজাতান্ত্রিক সংস্থা|হিন্দুস্তান সমাজপ্রজাতান্ত্রিক সংস্থার]] একজন সদস্য ছিলেন।

কানপুরে কলেজে পড়ার সময় বিপ্লবী [[চন্দ্রশেখর আজাদ]] ও ভগতভগৎ সিং এর সংস্পর্শে আসেন এবং বিপ্লবী রাজনীতিতে যোগ দেন। বিপ্লবী সদস্যদের নিকট বি.কে নামে পরিচিত ছিলেন বটুকেশ্বর দত্ত।

এই মহানসর্বস্বত্যাগী বিপ্লবীর শেষ জীবন বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক। টিবি রোগাক্রান্ত হওয়ায় জেল থেকে মুক্তি পেলেও স্বাধীন ভারতে তার মূল্যায়ন হয়নি, দারিদ্যেরদারিদ্রের সাথে লড়াই করে জীবন কেটেছে। স্বাধীনতার পর বিবাহ করে বিহারের [[পাটনা]]<nowiki/>য় বসবাস করতেন। সরকারি সাহায্য বা সম্মান বিশেষ কিছু পাননি। জীবিকা নির্বাহের তাগিদে পরিবহণ ব্যবসা করতেন। ২০ জুলাই ১৯৬৫ [[দিল্লী]]<nowiki/>র একটি হাসপাতালে প্রায় লোকচক্ষুর অন্তরালে তার মৃত্যু হয়।