বাংলাদেশের ব্যান্ড: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যান্ড সঙ্গিতের জন্ম ।
45.123.43.22-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Ibrahim Husain Meraj-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফে...
৩ নং লাইন:
'''বাংলাদেশের ব্যান্ড''' বা '''বাংলাদেশী ব্যান্ড''' বলতে বাংলাদেশে প্রচলিত রক ঘরনার সঙ্গীত ব্যান্ড বোঝায়। উনিশ শতকের ষাটের দশকে পূর্ব পাকিস্তানে বাংলা ব্যান্ডের সূচনা ঘটে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে ৭০ ও ৮০'র দশকে বাংলাদেশে রক ঘরনার ব্যান্ডের বিস্তৃতি ঘটে।
==ইতিহাস==
বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গিতের জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতারও আগে । যখন কিছু সঙ্গিতপ্রেমী ব্যাক্তিবর্গ নিজেদের উদ্যোগে গান গেয়ে তা রেকর্ড করা শুরু করেন। আর এভাবেই যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গিতের।
 
==পূর্ব পাকিস্তান আমল==
ব্রিটিশ আমল থেকেই ঢাকার বিভিন্ন হোটেল ও নবাব পরিবারের আমন্ত্রণে ব্রিটিশ ব্যান্ড ও সঙ্গীত তারকাদের ঢাকায় গান পরিবেশনের খবর পাওয়া যায়। পাক-ভারত বিভক্তির পরে ১৯৬৩ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রথম ব্যান্ড ধাঁচের গানের খবর পাওয়া যায়। সেই অনুষ্ঠানে ১৭ বছর বয়সী কিশোর টেলফার জনসন গিটার বাজার আর ক্লিফ রিচার্ডের গান পরিবেশন করেন। একই স্কুলের নবম শ্রেণীতে পড়ূয়া ফজলে রব, আলমগীর [পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনপ্রিয় গায়ক], রফিক ও সাব্বির ব্যান্ড দল গঠন করেন। বলা হয়, তাদের হাতেই জন্ম নেয় বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড '''আইওলাইটস'''। [[হোটেল শাহবাগ]] ও ঢাকা ক্লাবে নিয়মিত পারফর্ম করে ব্যান্ড দলটি। ১৯৬৫ সালে প্রথম ব্যান্ড হিসেবে টিভিতেও পারফর্ম করে ব্যান্ডটি। আইওলাইটসের সমকালীন আরেকটি ব্যান্ডের জন্ম চট্টগ্রামে। নাম [[জিংগা শিল্পগোষ্ঠী]]। সঙ্গীতবোদ্ধা ও ইতিহাস রচয়িতাদের মতে 'জিংগা' একটি পারিবারিক ঘরানার ব্যান্ড। কারও কারও মতে, এটি বাংলাদেশের প্রথম ব্যান্ড। এমনকি ইন্টারনেট ও কোনো কোনো ইতিহাস রচয়িতাও জিংগাকে এ দেশের প্রথম ব্যান্ড বলে থাকেন। তবে জিংগাকে দেশের প্রথম ব্যান্ড বলার বিশেষ কোনো তথ্য-প্রমাণ মেলে না। এ দলের গায়ক ''ওমর খালেদ রুমী'' পরবর্তীকালে আরেকটি ব্যান্ডের হয়ে বাংলায় গান করা শুরু করেন। সে বিচারে বলা যায়, তিনিই প্রথম বাংলা গানের ব্যান্ডশিল্পী। জিংগার পর চট্টগ্রামে জন্ম নেয় আরেক ব্যান্ড লাইটনিংস। ১৯৬৭ সালে ফরিদ রশীদ, নিওম্যান্ডেজ, নোয়েল ও শাকিল গড়ে তোলেন ''লাইটনিংস'' ব্যান্ডটি। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাহমুদ, তোতা, চিত্রনায়ক জাফর ইকবাল ও ফারুক মিলে ব্যান্ড গঠন করেন ''র‌্যাম্বলিং স্টেনস''। দুটি ব্যান্ডই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। একই বছরে গঠিত হয় ''উইন্ডি সাইট অব কেয়ার'' ব্যান্ড। ১৯৬৮ সালে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আইওলাইটস, উইন্ডিসাইট অব কেয়ার, র‌্যাম্বলিং স্টোনস ও লাইটনিংস একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ ব্যান্ড নির্বাচিত হয় উইন্ডি সাইট অব কেয়ার। এ ব্যান্ডগুলোর পাশাপাশি ১৯৬৬ সালে নারায়ণগঞ্জে জন্ম নেওয়া 'বকলম' ব্যান্ডটি বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠা পায় ''ফায়ার অ্যান্ড আইস'' ব্যান্ডটি। ১৯৬৯ সালে প্রথম ভাঙনের কবলে পড়ে র‌্যাম্বলিং স্টোনস। এ ব্যান্ডের সদস্যরা আলাদা হয়ে গিয়ে তৈরি করে নতুন ব্যান্ড 'টাইম গো মোশন'। এরপরই দেশের প্রথম ব্যান্ড আইওলাইটসের ভাঙন ধরে। ড্রামার সাব্বির এবং রিদম গিটারিস্ট রফিক ব্যান্ড ছেড়ে দেওয়ায় এটি ভেঙে যায়।