নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
৩ নং লাইন:
== ইতিহাস ==
 
[[ভারতীয় উপমহাদেশ|পাক ভারত ও উপমহাদেশের]] ইতিহাসে আগ্নেয় জাগরন শুরু হওয়ার গোড়ার দিকে প্রখ্যাত জমিদার রাম রতন রায়ের নাম অনুসারে প্রতিষ্ঠিত রতনগঞ্জ ডাকঘর সংলগ্ন বর্তমান সরকারী ফুড গোডাউন চত্বরে [[নড়াইল জেলা|নড়াইলে]] শিক্ষা বিপ্লব ঘটানোর প্রত্যয়ে [[জমিদার]] ব্যরিষ্টার চন্দ্রকান্ত রায় কর্তৃক নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্টিত হয়। উক্ত [[জমিদার]] কর্তৃক ১০.৫০ শতক জমি দান করা হয় বিদ্যালয়ের নামে এবং পূর্বের স্থান পরিবর্তন করে উক্ত জমির উপর বর্তমান ভবন গুলি নির্মিত হয়। ০১/০১/১৮৫৭ খ্রী: হতে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] হতে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে। এই বিদ্যালয়টি এ জেলার প্রথম উচ্চ বিদ্যালয় এবং [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] প্রাচীনতম কয়েকটি [[মাধ্যমিক বিদ্যালয়|বিদ্যালয়ের]] একটি নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাননির্মাণ করার প্রথম পর্যায়ে ৪০ জন ছাত্রের আবাসিক সুবিধা জন্য একটি ছাত্রাবাস ভবন নির্মিত হয়েছিল। যাহা বর্তমানে জরাজীর্ন। ইহা ছাড়া অন্য ০২টি ভবনও জরাজীর্ন। বাংলাদেশ সরকার ১৯৮০ সালে তদকালীন মাননীয় [[প্রধানমন্ত্রী]] কর্তৃক প্রকাশ্যে সরকারি করনের ঘোষনা দেওয়া সত্বেও নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়টিকে [[সরকার|সরকারি]] করন করা হয় নাই। এ শিক্ষাঙ্গন থেকে শিক্ষা গ্রহনের পর বহু কৃতি সন্তান [[বিশ্ব|বিশ্বের]] গুরুত্ব পূর্ন পদে অধিষ্ঠিত হয়েছন। রায় বাহাদুর খগেন্দ্রনাথ মিত্র [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] বাংলা বিভাগের প্রধান, কে, এল, মিত্র একাউন্ট্যান্ড জেনারেল, বি ডাবলু মিত্র অবিভক্ত বাংলার গভর্নর,সুলতান প্রকাশন অনুযায়ী [[এস এম সুলতান]] ১৯৩৩ সালে ১০ বছর বয়সে এ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। এ সময়ে ড: শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় এসেছিলেন নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে। [[এস এম সুলতান|লাল মিয়া]] তার একটা পোট্রেট একে [[অতিথি]] সহ সবাইকে মুগ্ধ করেছিলেন। অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্র অসীম কুমার মিত্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ছিলেন। ডঃ অরুন কুমার দাশ [[ভারতীয় সেনাবাহিনী|ভারতীয় সেনাবাহিনীর]] মেজর জেনারেল ছিলেন এবং ডাঃ আব্দুল ওহাব [[বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়|বঙ্গবন্ধু মেডিকেল হাসপাতালের]] নিওরোলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন। এ ধরনের অসংখ্য গুণী ও মেধাবী ছাত্র নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহনান্তে সর্বত্র ছড়িয়ে আছেন। [[১৯৭১]] সালে [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] চলাকালে [[পাকিস্তানি সেনাবাহিনী|পাক সেনাবাহিনী]] কর্তৃক নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্যাম্প করা হয়। প্রশাসনিক ভবন সহ অন্যান্য ভবন সমূহ তাদের দখলে রাখে এবং তাদের পতনের পর অনেক পুরাতন ও গুরুত্বপূর্ন রেকর্ড নষ্ট হয়ে যায়। বিধায় সকল বিষয়ে পুংখানুপুংখ চিত্র দেওয়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য যে, ১৮৮৬ সালে এফ, এ (আই,এ) ষ্টান্ডার্ড ক্লাস খোলার মাধ্যমে [[নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ]] খোলা হয়। তার পর থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত [[মাধ্যমিক বিদ্যালয়|স্কুল]] ও [[কলেজ]] একই কমিটির অধীনে পরিচালিত হয়। ১৯৫৪ সাল থেকে কলেজ পৃথক ভাবে পরিচালিত হয়। ০১/০১/১৮৫৭ খ্রী: হতে [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] হতে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয় স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে।
 
[[নড়াইল পৌরসভা|নড়াইল শহরের]] প্রাণকেন্দ্রে [[চিত্রা নদী]] তীরে পুরাতন ভবন নিয়ে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়টি অবস্থিত।[[সিপাহী বিদ্রোহ ১৮৫৭|১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের]] স্মরণীয় এক মুহুর্তে স্বনামধন্য বিদ্যোৎসাহী জমিদার রতন রায় কর্তৃক “নড়াইল ভিক্টোরিয়া স্কুল” নামে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটি সম্ভবতঃ প্রথম অবস্থায় রূপগঞ্জ বাজারের বর্তমান যেখানে কিরণ কুণ্ডুর বাড়ী সেখানে স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল র্নিমাণের জন্য যে ভবনটি নির্মিত হয় (হাসপাতালটি চালু না হওয়ায়) সেখানে স্কুলটিকে স্থানান্তরিত করে (বর্তমান পুরাতন কলেজ ভবন) স্থায়ীভাবে পরিচালিত করা হয়। স্কুলটি [[ইংল্যান্ড|ইংল্যাণ্ডের]] তদানিন্তন [[রাণী ভিক্টোরিয়া|রানী ভিক্টোরিয়ার]] নামে নামকরণ করা হয়।