জেড ফোর্স (বাংলাদেশ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎গ্রন্থপঞ্জি: অনুবাদ ও লেখক সংযুক্তি সংশোধন
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বানান সংশোধন
১৩ নং লাইন:
২৫শে মার্চ (১৯৭১) রাতের পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নারকীয় হামলার পর বিভিন্ন সেনানিবাস থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বাঙালী সেনা কর্মকর্তারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে এবং তাদের সীমিত অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। কিন্তু দ্রুত বাঙালী সামরিক কর্মকর্তারা অনুভব করে এভাবে অ-পরিকল্পিত আক্রমণ ও প্রতিরোধ শত্রুদের বড় ধরনের কোন চাপে ফেলতে পারবেনা, সুতরাং তারা সম্পূর্ণ দেশকে কিছু সেক্টর এ ভাগ করে সুসংহত ভাবে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয়।
 
এমন পরিস্থিতিতে, পাকিস্থানিপাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের জন্যে কিছু ব্রিগেট গঠনের এর সিদ্ধান্ত নেয় বিশেষভাবে সম্মুখ যুদ্ধের জন্যে।<ref name="rokomari">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |url=http://www.rokomari.com/review/127;jsessionid=8E5E48E3321FABFB84030AA983301210|title=মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর : কথোপকথন-এ কে খন্দকার|publisher= |date=2012-04-17 |accessdate=2013-05-19}}</ref>
 
== সুত্রপাত ==
২৫ নং লাইন:
জেড ফোর্স তাদের প্রশিক্ষণ শিবির এর জন্যে প্রাথমিক ভাবে মেঘালয়ের দুর্গম এলাকা [[তুরা]] বাছাই করে এবং বিভিন্ন বয়সের ও পেশাজীবী মানুষের মাঝের স্বাধীনতার প্রতি তীব্র আকাঙ্ক্ষা ও প্রগাঢ় চেতনা দ্রুত একত্রিত এক ব্রিগেট এ রূপ নেয়। <ref name="ডেইলি স্টার_০১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=সেক্টর এন্ড আর্মড ফোর্সেস অব দ্যা লিবারেশন ওয়ার ১৯৭১|url=http://archive.thedailystar.net/campus/2008/03/04/feature_sectors.htm|accessdate=14 জানুয়ারি 2017|publisher=দ্যা ডেইলি স্টার|date=March 23, 2008|language=ইংরেজি}}</ref>
===প্রাথমিক অবস্থা===
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ১ম ব্যাটেলিয়ন [[যশোর ক্যান্টনমেন্ট]] হতে সেনাসদস্যরা মেজর হাফিজ এর নেতৃত্বে বিদ্রোহ ঘোষণা করে কিন্তু সম্মুখ যুদ্ধে তিনি সাহসীকতার সাথে বৃহৎ স্বার্থে শহিদ হন <ref name="rokomari_b">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |url=http://rokomari.com/book/1848 |title=রক্তেভেজা একাত্তর-মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম |publisher=Rokomari.Com|date= |accessdate=2013-05-19}}</ref> ফলে তার সেনাদল খানিকটা নেতৃত্ব শূন্যতায় ছিল এবং মাত্র ৫০ জন জোয়ান ও কর্মকর্তা সীমান্ত অতিক্রমে সক্ষম হয়।
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ৩য় ব্যাটেলিয়নও যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিল।
* ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর ৮ম ব্যাটেলিয়ন ছিল সম্পূর্ণ নতুন ও সীমিত শক্তির।
৯০ নং লাইন:
===কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ি আক্রমণ ===
{{main|কমলপুর যুদ্ধ}}
পুরাতন [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র নদের]] তীরে এবং [[জামালপুর সদর উপজেলা|জামালপুর]] হয়ে [[ময়মনসিংহ (শহর)|ময়মনসিংহ]] সড়ক সংযোগে [[কমলপুর]] ছিল অন্যতম শক্ত সীমান্ত ফাঁড়ি। সেখানে ছিল গোলা-নিরোধী ছাদ বিশিষ্ট কংক্রিট বাংকার/পরিখা যেগুলি প্রতিটি গভীর নালার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ও সাহায্য বিনিময়ে সক্ষম, নিরাপত্তার বেষ্টনী হিসাবে ছিল স্ব-নিয়ন্ত্রিত ফাঁদ ও ভূমিবিস্ফোরক এবং অন্ধকারের সময় পাকিস্তানের সৈন্যরা একেবারে ভিতরের নিরাপদ স্তরে ঢুকে যেত। <ref name="ডেইলি স্টার_০২">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|author=|url=http://archive.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=115138 |title=সিগনিফিকেন্স অব আর্মড ফোর্সেস ডে|publisher=ডেইলিস্টার আর্কাইভ|date=2009-11-23 |accessdate=2013-05-19}}</ref>
 
১৯৭১ সালের ৩১শে জুলাই দিবাগত রাত্রে (১লা অগাস্ট রাত) [[জিয়াউর রহমান]] এর নির্দেশ মোতাবেক মেজর মইনুল হোসেন এর নেতৃত্বে উত্তর ও পূর্ব দিক থেকে ডেল্টা এবং ব্রাভো শত্রুপক্ষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মেজর মইন এতোদ্রুত এমন মিশনে রাজী ছিলেননা, তার মতে কামালপুরের মত যথেষ্ট শক্তিশালী পাকিস্তানী ঘাটিতে সেটপিস যুদ্ধের মাধ্যমে আক্রমন করার সক্ষমতা জেড ফোর্সের বা তার ব্যাটালিয়নের নেই।মেজর মইনের প্ল্যান ছিলো হিট অ্যান্ড রান গেরিলা পদ্ধতিতে পাকিস্তান ফোর্সকে দুর্বল এবং নাজেহাল করা। কিন্তু জিয়া সিদ্ধান্ত পাল্টালেন না যার মূল কারণ ছিল হাইকমান্ডের নির্দেশ এবং ঘাঁটিটির স্ট্রাটেজিক গুরুত্ব।<ref name="ব্লগস্পট">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|title=১৯৭১, জেড ফোর্সের মুক্তিযুদ্ধ : জিয়া-শাফায়াত-মইন-আমিনুলদের যুদ্ধ দিনের গল্প জানুন ছবি আর বর্ননায়|url=http://muktijuddhergolpo.blogspot.com/2012/09/blog-post_1723.html|website=গুগল ব্লগস্পট|accessdate=14 জানুয়ারি 2017}}</ref>
 
আক্রমণ থেকে প্রত্যক্ষভাবে জয় না পেলেও এই আক্রমণে ২০০ এর অধিক পাকিস্থানিপাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয় এবং তাদের মনোবলের উপর ছিল বড় ধরনের ধাক্কা একই সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে ছিল উৎসাহের প্রতীক।
 
এটি এতই শক্তিশালী ঘাঁটি, যে এই ঘাঁটিতে এরপর সর্বমোট ৪ বার নিয়মিত বাহিনী পর্যায়ে সরাসরি সেটপিস যুদ্ধ হয়েছে.....
১০৬ নং লাইন:
 
===নকশি সীমান্ত ফাঁড়ি আক্রমণ===
[[শেরপুর জেলা|শেরপুর জেলার]] ঝিনাইগাতী থানার '''নকশি সীমান্ত ফাঁড়ি''' ছিল পাকিস্থানেরপাকিস্তানের একটি শক্ত ঘাঁটি। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এটি জেড ফোর্স এর আক্রমণ তালিকায় নেওয়া হয়।
আক্রমণে ছিল ক্যাপ্টেন আমিন আহমেদের আলফা কোম্পানি আর লেঃ মোদাসেরের ডেল্টা কোম্পানি। সুবেদার হাকিমের ইপিআর কোম্পানিটি ছিল কাট অফ পার্টি হিসেবে। ফায়ারিং কভার দেয়ার দায়িত্বে ছিলেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেজর আমিনুল হক। আর ফাঁড়ির পাশে শালবনে ফরোওয়ার্ড এরিয়া অ্যাসেম্বলী থেকে জিয়া ওয়ারলেস যোগাযোগের মাধ্যমে যুদ্ধ কোঅর্ডিনেট করছিলেন।
 
১১৫ নং লাইন:
===ঘাসিপুর এর যুদ্ধ ===
১০ই সেপ্টেম্বর, ঘাসিপুরে [[ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট]] এর ১ম ব্যাটিলিয়ন ডেল্টা ফোর্স শক্ত অবস্থানে আসে যা ছিল কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ির খুবই নিকটবর্তী একটি সংবেদনশীল অবস্থান।
খাদ্য, যোগাযোগ ও অন্যান্য বিভিন্ন সুবিধার জন্যে ঘাসিপুর ছিল পাকিস্থানপাকিস্তান সেনাবাহিনীর কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেজন্যে জেড ফোর্স এর ঘাসিপুরের শক্ত অবস্থান কমলপুর ঘাঁটির জন্যে দুশ্চিন্তার বিষয় ছিল।
 
কমলপুর ঘাঁটি সুরক্ষিত রাখার জন্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী [[মুক্তিবাহিনী|মুক্তিবাহিনীর]] তথা জেড ফোর্স এর প্রতিরক্ষার উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। অসামান্য দৃঢ়তার ও সাহসিকতার মুখে পাকিস্থানেরপাকিস্তানের এ আক্রমণ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয় এবং যথেষ্ট ক্ষতি স্বীকার করে নিয়ে তারা পিছু হতে যায়।
 
এ যুদ্ধে রেজিমেন্ট এর '''লান্সনায়ক ইউসুফ''' এবং '''সুবেদার মোজাম্মেল''' শহিদ হন।
 
==প্রতিরক্ষা মুক্ত জোন ==
[[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে]] উত্তরাঞ্চলের স্বাধীনকৃত অঞ্চল সমূহকে নিরাপদ রাখা ছিল জেড ফোর্সের অন্যতম প্রধান কাজ। এর অংশ হিসাবে জেড ফোর্স অনেক অঞ্চল স্বাধীন এবং পরবর্তীতে [[পাকিস্তানি সেনাবাহিনী|পাকিস্থানিপাকিস্তানি সেনাবাহিনী]] থেকে অাত্মরক্ষার প্রশিক্ষন দিত জেড ফোর্স।
 
===রৌমারীর প্রশাসন প্রতিষ্ঠা ===
১২৮ নং লাইন:
দেয়। [[শাফায়াত জামিল]] দায়িত্বপ্রাপ্ত হয় আত্মরক্ষা প্রশিক্ষণের যেন ভবিষ্যতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যেকোন আক্রমণ রুখেদিতে পারে।
 
লেফটেনান্ট নবী দায়িত্ব পাবার সাথেসাথে স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পরিস্থিতি সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্যে প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করে। ২৭ আগষ্ট, ১৯৭১ তিনি বেশ কিছু কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করে (একটি হসপিটালও ছিল এর মধ্যে) এবং এর মাধ্যমে [[জিয়াউর রহমান]] স্বাধীন বাংলাদেশের কোন স্বাধীনকৃত স্থানে প্রথম প্রতিষ্ঠিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা।<ref name="Jamil">{{citeবই bookউদ্ধৃতি |author=কর্নেল শাফায়াত জামিল|year=1998 |title= একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, রক্তাক্ত মধ্য আগষ্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর |publisher=সাহিত্য প্রকাশ}}</ref>
 
[[এনবিসি]] "দ্য কান্ট্রি মেড ফর ডিজাস্টার" নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করে যেখানে [[রৌমারী উপজেলা|রৌমারী]]র স্বাধীন ভূমির উল্লেখ ছিল।<ref name="প্রথম আলো_০১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|title=দ্য কান্ট্রি মেড ফর ডিজাস্টার|url=http://archive.prothom-alo.com/detail/news/234942|accessdate=14 জানুয়ারি 2017|publisher=প্রথম আলো}}</ref>