দুঃখ সমুদয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
সংশোধন
১১ নং লাইন:
 
== চতুরার্য সত্য ==
 
[[চতুরার্য সত্য|চতুরার্য সত্যের]] দ্বিতীয় সত্য হল দুঃখ সমুদয় বা দুঃখের কারণ। [[গৌতম বুদ্ধ]] দুঃখের হেতু বা কারণ হিসেবে [[তৃষ্ণা (বৌদ্ধ ধর্ম)|তৃষ্ণা]] বা আসক্তিকে উল্লেখ করেছেন।<ref name="রাহুল">দর্শন দিগদর্শন- রাহুল সাংকৃত্যায়ন, অনুবাদ ছন্দা চট্টোপাধ্যায়, প্রথম প্রকাশ জুলাই, সেপ্টেম্বর ১৯৮৮, চিরায়ত প্রকাশন প্রাইভেট লিমিটেড, ১২, বঙ্কিম চ্যাটার্জী স্ট্রীট, কলিকাতা - ৭৩</ref> [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]]র কারণে বিশ্বের সকল প্রকারের ইন্দ্রিয়প্রিয় বস্তু বা বিষয়ের ওপর চিন্তা ও সম্বন্ধ স্থাপনে তৃষ্ণার জন্ম দেয়।{{sfn|Walpola Rahula|2007|loc=loc. 791-809}}<ref group=web name=bodhi1>[http://www.beyondthenet.net/dhamma/fourNoble.htm ''The Four Noble Truths - By Bhikkhu Bodhi]</ref>{{#tag:ref|[[থেরবাদ]] বৌদ্ধধর্মে চতুরার্য সত্যের ওপর লিখিত টীকাগুলিতে এই ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়: উদহারণ Ajahn Sucitta (2010); Ajahn Sumedho (ebook); Rahula (1974); etc.|group=n}} এই তৃষ্ণা তিন প্রকার:{{sfn|Walpola Rahula|2007|loc=loc. 791-809}}{{sfn|Gethin|1998|p=70}}{{sfn|Ajahn Sucitto|2010|loc=Kindle loc. 943-946}}
* সম্ভোগতৃষ্ণা : যে বস্তু পার্থিব আনন্দ প্রদান করে, তার ওপর তৃষ্ণা
* ভবতৃষ্ণা : পার্থিব সম্মান ও প্রভাব বিস্তারের ওপর তৃষ্ণা {{sfn|Ajahn Sucitto|2010|loc=Kindle loc. 966-979}}
* বৈভবতৃষ্ণা : দুঃখ কষ্টের প্রতি বিতৃষ্ণা
 
== অভিধর্ম পিটক ==
[[অভিধর্ম পিটক]] গ্রন্থে দুঃখের কারণ হিসেবে [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]]কে বোঝানো হয়েছে। চতুরার্য সত্যের অর্থ ও তাত্পর্য্যকে না জানা ও নিজেকে ও বাস্তবকে না বোঝাকে [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]] বলা হয়ে থাকে। {{sfn|Ajahn Sucitto|2010|loc=Kindle loc. 1125-1132}} [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]]র কারণে [[ক্লেশ (বৌদ্ধ ধর্ম)|ক্লেশের]] উদ্ভব হয়ে থাকে। {{#tag:ref|[[থেরবাদ]] ও [[মহাযান]] বৌদ্ধধর্মে চতুরার্য সত্যের ওপর লিখিত টীকাগুলিতে এই ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়: উদহারণ Ringu Tulku (2005), p. 30; Chogyam Trunpa (2010); Thich Nhat Hahn (1999), p. 22.|group=n}} এই সূত্রে [[দুঃখ (বৌদ্ধ ধর্ম)|দুঃখের]] মূল কারণ রূপে [[ত্রিবিষ|ত্রিবিষের]] উল্লেখ করা যায়।{{sfn|Dalai Lama|1992|p=4,42}}{{sfn|Ringu Tulku|2005|p=30}} এই তিনটি বিষ হল- [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]] বা [[মোহ (বৌদ্ধ ধর্ম)|মোহ]], [[রাগ (বৌদ্ধ ধর্ম)|রাগ]] এবং [[দ্বেষ (বৌদ্ধ ধর্ম)|দ্বেষ]]।
 
[[অভিধর্ম পিটক]] গ্রন্থে দুঃখের কারণ হিসেবে [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]]কে বোঝানো হয়েছে। চতুরার্য সত্যের অর্থ ও তাত্পর্য্যকে না জানা ও নিজেকে ও বাস্তবকে না বোঝাকে [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]] বলা হয়ে থাকে। {{sfn|Ajahn Sucitto|2010|loc=Kindle loc. 1125-1132}} [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]]র কারণে [[ক্লেশ (বৌদ্ধ ধর্ম)|ক্লেশের]] উদ্ভব হয়ে থাকে। {{#tag:ref|[[থেরবাদ]] ও [[মহাযান]] বৌদ্ধধর্মে চতুরার্য সত্যের ওপর লিখিত টীকাগুলিতে এই ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায়: উদহারণ Ringu Tulku (2005), p. 30; Chogyam Trunpa (2010); Thich Nhat Hahn (1999), p. 22.|group=n}} এই সূত্রে [[দুঃখ (বৌদ্ধ ধর্ম)|দুঃখের]] মূল কারণ রূপে [[ত্রিবিষ|ত্রিবিষের]] উল্লেখ করা যায়।{{sfn|Dalai Lama|1992|p=4,42}}{{sfn|Ringu Tulku|2005|p=30}} এই তিনটি বিষ হল- [[অবিদ্যা (বৌদ্ধ ধর্ম)|অবিদ্যা]] বা [[মোহ (বৌদ্ধ ধর্ম)|মোহ]], [[রাগ (বৌদ্ধ ধর্ম)|রাগ]] এবং [[দ্বেষ (বৌদ্ধ ধর্ম)|দ্বেষ]]।
 
== পাদটীকা ==