ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
৪০ নং লাইন:
 
==ইতিহাস==
[[File:St Marks 1884.jpg|thumb|১৮৮৪ সালে সেইন্ট মার্কস (গর্টন) – জার্সিতে [[মালটিস ক্রস|মালটিস ক্রসের]] কারণ এখনও অজানা।<ref name="mcfcoffhist">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |title=Club History – The Club – Manchester City FC |url=http://www.mcfc.co.uk/The-Club/Club-History |publisher=ম্যানচেস্টার সিটি |accessdate=১৩ এপ্রিল ২০১৪}}</ref>]]
১৮৯৯ সালে ইংরেজ ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ জয়ের মাধ্যমে সিটি তাদের প্রথম সম্মাননা অর্জন করে এবং এর মাধ্যমে তারা ইংরেজ ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর [[ফুটবল লীগ প্রথম বিভাগ|প্রথম বিভাগে]] উঠে আসে। সিটি তাদের প্রথম কোন বড় সম্মাননা জিতে ১৯০৪ সালের ২৩ এপ্রিল। [[ক্রিস্টাল প্যালেস ন্যাশনাল স্পোর্টস সেন্টার|ক্রিস্টাল প্যালেসে]] [[বোল্টন ওয়ান্ডারার্স|বোল্টন ওয়ান্ডারার্সকে]] ১–০ গোলে পরাজিত করে তারা এফএ কাপ শিরোপা জিতে। সে বছর তারা লীগে রানার-আপ হয়। ম্যানচেস্টার সিটিই ম্যানচেস্টার শহরের প্রথম ক্লাব হিসেবে বড় কোন শিরোপা জিতে।<ref>James, ''Manchester City – The Complete Record'', p32</ref> এফএ কাপ জয়ের পরবর্তী মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। যার পরিণতিস্বরূপ ১৭ জন খেলোয়াড়কে ছাটাই করা হয়। এই খেলোয়াড়দের মধ্যে দলের অধিনায়ক [[বিলি মেরেডিথ]]ও ছিলেন, যিনি পরবর্তীতে [[ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে]] চলে যান।<ref>James, ''Manchester:The Greatest City'', pp 59–65.</ref> ১৯২০ সালে হাইড রোডের একটি অগ্নিকান্ডে প্রধান স্ট্যান্ড ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, ফলে ১৯২৩ সালে ক্লাবটি [[মস সাইড|মস সাইডে]] তাদের নতুন বিশেষভাবে নির্মিত স্টেডিয়াম [[মেইন রোড|মেইন রোডে]] স্থানান্তরিত হয়।<ref>{{Citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি |title=Maine Road through the ages |url=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/football/teams/m/man_city/3011895.stm |work=[[বিবিসি|বিবিসি স্পোর্ট]] |date=১১ মে ২০০৩ |accessdate=১৩ এপ্রিল ২০১৪ |first=Chris |last=Bevan}}</ref>
 
[[চিত্র:ManCity1904.jpg|thumb|left|১৯০৪ সালে এফএ কাপ জিতা ম্যানচেস্টার সিটি দল।]]
১৯৩০ এর দশকে ম্যানচেস্টার সিটি টানা দুইটি এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায়। ১৯৩৩ সালে [[এভারটন ফুটবল ক্লাব|এভারটনের]] বিপক্ষে তারা পরাজিত হয় এবং ১৯৩৪ সালে [[পোর্টসমাউথ ফুটবল ক্লাব|পোর্টসমাউকে]] হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।<ref>Ward, ''The Manchester City Story'', pp. 31–33</ref> ১৯৩৪ সালের এফএ কাপের ৬ষ্ঠ পর্বে [[স্টোক সিটি ফুটবল ক্লাব|স্টোক সিটির]] বিপক্ষে খেলায় [[মেইন রোড|মেইন রোডে]] ইংরেজ ফুটবলের ইতিহাসে কোন ক্লাবের নিজেদের মাঠে সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড গঠিত হয়। ঐ খেলার সময় মেইন রোডে ৮৪,৫৬৯ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন। এবং এই রেকর্ডটি এখন পর্যন্ত টিকে আছে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি |title=FA Cup special: Thrills, spills and a cast of thousands at Maine Road |last=James |first=Gary |url=http://menmedia.co.uk/manchestereveningnews/sport/football/manchester_city/s/1418817_fa-cup-special-thrills-spills-and-a-cast-of-thousands-at-maine-road?order=liked#comments |publisher=menmedia.co.uk |date=২২ এপ্রিল ২০১১ |accessdate=১৪ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> সিটি ১৯৩৭ সালে প্রথমবারের মত প্রথম বিভাগের শিরোপা জিতে, কিন্তু পরবর্তী মৌসুমেই তাদের দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে, যদিও তারা ঐ মৌসুমে লীগের অন্য যেকোন দলের চেয়ে অধিক সংখ্যক গোল করেছিল।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি | title=England 1937/38| work=আরএসএসএসএফ | url=http://www.rsssf.com/engpaul/FLA/1937-38.html| accessdate=১৪ এপ্রিল ২০১৪ }}</ref> ২০ বছর পর, ''রিভি প্ল্যান'' নামক একটি নতুন কৌশলে পরিকল্পিত ম্যানচেস্টার সিটি দল পুনরায় টানা দুইটি এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায়। ১৯৩০ এর দশকের মত এবারও তারা প্রথমটিতে ১৯৫৫ সালে [[নিউকাসল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|নিউকাসল ইউনাইটেডের]] বিপক্ষে পরাজিত হয় এবং পরের বছর ১৯৫৬ সালে [[বার্মিংহাম সিটি ফুটবল ক্লাব|বার্মিংহাম সিটিকে]] ৩–১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে। এই ফাইনালটি সর্বকালের সেরা ফাইনালগুলোর মধ্যে অন্যতম। খেলায় ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক [[বার্ট টাউটমান|বার্ট টাউটমানের]] ঘাড় ভেঙ্গে গেলেও, তিনি অজ্ঞাতসারে খেলতে থাকেন, যার ফলে খেলাটির কথা এখনও স্মরণ করা হয়<ref>Rowlands, ''Trautmann – The Biography'', pp. 178–184</ref>
 
১৯৬৩ সালে দ্বিতীয় বিভাগে অবনমনের পর, সিটির বিবর্ণ ভবিষ্যতের শঙ্কা দেখা দেয়। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারিতে [[সুইনডাউন টাউন ফুটবল ক্লাব|সুইনডাউন টাউনের]] বিপক্ষে খেলায় মাঠে মাত্র ৮,০১৫ জন দর্শক উপস্থিত ছিলেন, যা সিটির নিজেদের মাঠে সর্বনিম্ন দর্শক উপস্থিতির রেকর্ড।<ref>Ward, ''The Manchester City Story'', p. 57</ref> ১৯৬৫ সালের গ্রীষ্মে, [[জো মার্সার]] এবং [[ম্যালকম অ্যালিসন|ম্যালকম অ্যালিসনের]] ব্যবস্থাপনা দলকে নিযুক্ত করা হয়। মার্সারের অধীনে প্রথম মৌসুমেই সিটি দ্বিতীয় বিভাগের শিরোপা জিতে এবং তারা [[মাইক সামারবি]] ও [[কলিন বেল|কলিন বেলের]] মত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের দলে ভিড়ায়।<ref>Penney, ''Manchester City – The Mercer-Allison Years'', pp. 27–36</ref> দুই মৌসুম পর, ১৯৬৭–৬৮ তে, ম্যানচেস্টার সিটি দ্বিতীয়বারের মত লীগ শিরোপা জিতে। তাদের শিরোপা নির্ধারিত হয় লীগের একদম শেষ খেলায়। তারা ঐ খেলায় [[নিউকাসল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|নিউকাসল ইউনাইটেডের]] বিপক্ষে ৪–৩ গোলে জয় লাভ করে।<ref>Penney, Manchester City – The Mercer-Allison Years, pp. 37–56</ref> তাদের জিতা পরবর্তী শিরোপাগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৬৯ সালের এফএ কাপ, ১৯৭০ সালের [[উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ|ইউরোপীয় কাপ উইনার্স কাপ]]।<ref>Gardner, The Manchester City Football Book No. 2, pp. 13–22</ref> ঐ মৌসুমে সিটি [[ফুটবল লীগ কাপ|লীগ কাপ]] শিরোপাও জিতে। এর মাধ্যমে তারা দ্বিতীয় ইংরেজ ক্লাব হিসেবে একই মৌসুমে একটি ইউরোপীয় শিরোপা ও একটি ঘরোয়া শিরোপা জিতার গৌরব অর্জন করে।
 
ক্লাবটির ১৯৭০ এর দশক ভালোই কাটে। তারা দুইটি মৌসুমে লীগ চ্যাম্পিয়নদের থেকে মাত্র এক পয়েন্ট পেছনে থেকে লীগ শেষ করে এবং ১৯৭৪ সালে লীগ কাপের ফাইনালে পৌছায়।<ref>James, Manchester City – The Complete Record, pp. 410–420</ref> এছাড়া এসময় সিটি সমর্থকদের কাছে অতি স্মরণীয় একটা খেলাও অনুষ্ঠিত হয়: ১৯৭৩–৭৪ মৌসুমের শেষ খেলায় [[ওল্ড ট্রাফোর্ড|ওল্ড ট্রাফোর্ডে]] ম্যানচেস্টার সিটি তাদের ঘোর প্রতিদ্বন্দী [[ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের]] মুখোমুখী হয়। অবনমন ঠেকানোর জন্য ইউনাইটেডের কাছে জয়ের কোন বিকল্প ছিল না। কিন্তু তাদেরকে হতাশায় ডুবায় তাদেরই প্রাক্তন খেলোয়াড় [[ডেনিস ল]]। তার একমাত্র গোলেই সিটি ১–০ গোলে জয় লাভ করে এবং এতে ইউনাইটেডের অবনমন নিশ্চিত হয়।<ref>Ward, The Manchester City Story, p. 70</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.mirrorfootball.co.uk/archive/Manchester-United-0-1-Manchester-City-article162607.html|title=Manchester United 0-1 Manchester City It’s Backheel Hell For United As ‘Old Boy’ Law Sends Them Hurtling Towards The Drop|publisher=মিরর ফুটবল|accessdate=১৫ এপ্রিল ২০১৪|archiveurl=http://web.archive.org/web/20140415155823/http://www.mirrorfootball.co.uk/archive/Manchester-United-0-1-Manchester-City-article162607.html|archivedate=১৫ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> ক্লাবটির সবচেয়ে সফল সময়ের শেষ শিরোপা ছিল ১৯৭৬ সালের লীগ কাপ। তারা [[নিউকাসল ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|নিউকাসল ইউনাইটেডকে]] হারিয়ে ঐ শিরোপা জিতেছিল।
 
১৯৬০ ও ৭০ এর দশকের সফলতার পর ক্লাবটির দীর্ঘকালীন অধঃপতন ঘটে। ১৯৭৯ সালে ম্যালকম অ্যালিসন দ্বিতীয়বারের মত ক্লাবের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে তিনি [[স্টিভ ড্যালে]]র মত অসফল খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ নষ্ট করেন। এরপর কয়েক বছর ঘন ঘন ম্যানেজার পরিবর্তন করা হয়। ১৯৮০’র দশকেই সাত জন ম্যানেজারকে পরিবর্তন করা হয়। ১৯৮১ সালে জন বন্ডের অধীনে এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায় সিটি, তবে ফাইনালের রিপ্লে খেলায় [[টটেনহাম হটস্পার|টটেনহামের]] বিপক্ষে পরাজিত হয় তারা। ১৯৮০’র দশকে ক্লাবটির দুইবার দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে (১৯৮৩ ও ১৯৮৭ সালে)। তবে তারা ১৯৮৯ সালে পুনরায় প্রথম বিভাগে ফিরে আসে এবং ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে [[পিটার রেইড|পিটার রেইডের]] অধীনে পঞ্চম স্থানে থেকে লীগ শেষ করে।<ref>James, Manchester City – The Complete Record, p. 68</ref> অবশ্য, এটি কেবলমাত্র একটি অস্থায়ী অবকাশ ছিল। রেইড চলে যাওয়ার পর সিটি পুনরায় নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। ১৯৯২ সালে [[প্রিমিয়ার লীগ|প্রিমিয়ার লীগের]] প্রতিষ্ঠা হলে তারা তাতে অংশগ্রহন করে, অর্থাত্‍, তারা প্রিমিয়ার লীগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ক্লাব ছিল। প্রিমিয়ার লীগের প্রথম মৌসুমে নবম হওয়ার পর তিনটি মৌসুমে তাদেরকে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে যেতে হয়, এবং এরপর ১৯৯৬ সালে তাদের দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে। ইংরেজ ফুটবলের সে সময়কার দ্বিতীয় বিভাগ অর্থাত্‍ ফুটবল লীগ প্রথম বিভাগে দুই মৌসুম কাটানোর পর তাদের তৃতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে। ম্যানচেস্টার সিটির ইউরোপীয় শিরোপা বিজয়ী দ্বিতীয় ক্লাব হিসেবে নিজ দেশের ঘরোয়া লীগের তৃতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে।
 
অবনমনের পর, নতুন চেয়ারম্যান ডেভিড বার্নস্টাইন নতুন ধরণের আর্থনৈতিক শৃঙ্খলা প্রবর্তন করেন।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|last=Buckley|first=Andy|coauthors=Burgess, Richard|title=Blue Moon Rising: The Fall and Rise of Manchester City|publisher=Milo|location=Bury|year=2000|isbn=0–9530847–4–4}}</ref> ম্যানেজার [[জো রয়লি]]র অধীনে প্রথম মৌসুমেই প্রথম বিভাগে উঠে আসে ম্যানচেস্টার সিটি। [[গিলিংহ্যাম ফুটবল ক্লাব|গিলিংহ্যামের]] বিপক্ষে প্লে-অফে নাটকীয় জয় পায় তারা। তবে ২০০১ সালে তাদের পুনরায় দ্বিতীয় বিভাগে অবনমন ঘটে। রয়লির স্থলাভিষিক্ত হন [[কেভিন কিগান]] এবং সিটি ২০০১–০২ ডিভিশন এক চ্যাম্পিয়নশিপ জিতার মাধ্যমে পুনরায় প্রথম বিভাগে উঠে আসে। এছাড়া ঐ মৌসুমে ক্লাবটির ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জন এবং সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডও প্রতিষ্ঠিত হয়।<ref>Manchester City – The Complete Record, p. 265</ref> ২০০২–০৩ মৌসুমে [[মেইন রোড|মেইন রোডে]] সিটির শেষ মৌসুম ছিল। এ মৌসুমে তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে একটি খেলায় ৩–১ গোলে জয় লাভ করে। এবং এর মাধ্যমে ডার্বি খেলায় তাদের টানা ১৩ বছরের জয় ক্ষরার অবসান ঘটে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.rte.ie/sport/2002/1109/manchester.htm|title=Goater double gives City derby win|publisher=RTÉ|archiveurl=http://web.archive.org/web/20071219015810/http://www.rte.ie/sport/2002/1109/manchester.htm|accessdate=১৯ এপ্রিল ২০১৪|archivedate=১৯ ডিসেম্বর ২০০৭|deadurl=yes}}</ref> এছাড়া সিটি ২৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মত কোন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের সুযোগ পায়। ২০০৩ সালের ক্লোজ মৌসুমে ক্লাবটি [[সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়াম|সিটি অফ ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে]] চলে আসে। নতুন স্টেডিয়ামে আসার পর সিটির প্রথম চার মৌসুমে কাটে লীগ টেবিলের মাঝামাঝি অবস্থানে থেকে। [[ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দল|ইংল্যান্ড জাতীয় দলের]] প্রাক্তন কোচ [[স্ভেন-ইয়োরান ইয়েরিকসন]] ২০০৭ সালে ম্যানচেস্টার সিটির ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ক্লাবটির প্রথম বিদেশী কোচ।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/teams/m/man_city/6241052.stm|title=Eriksson named Man City manager|publisher=[[বিবিসি|বিবিসি স্পোর্ট]]|date=৬ জুলাই ২০০৭|accessdate=১৯ এপ্রিল ২০১৪|archiveurl=http://web.archive.org/web/20140418185210/http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/teams/m/man_city/6241052.stm|archivedate=১৯ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> মৌসুমের প্রথমার্ধ খুব ভালোভাবে কাটালেও শেষার্ধে গিয়ে দলের ছন্দপতন ঘটে এবং ২০০৮ সালের জুনে ইয়েরিকসনকে পদচ্যুত করা হয়।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=Eriksson's reign at Man City ends|title=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/football/teams/m/man_city/7430827.stm|publisher=বিবিসি স্পোর্ট |date=২ জুন ২০০৮|accessdate=১৯ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> দুই দিন পরের নতুন ম্যানেজার হিসেবে যোগ দেন [[মার্ক হিউজস]]।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.mcfc.co.uk/Players/Management/Mark-Hughes|title=Manchester City appoint Mark Hughes|date=৪ জুন ২০০৮|publisher=ম্যানচেস্টার সিটি |accessdate=১৯ এপ্রিল ২০১৪}}</ref>
 
২০০৮ সালের দিকে ক্লাবটি অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। এর এক বছর আগে ক্লাবের নিয়ন্ত্রন নিয়েছিলেন [[থাসকিন সিনাওয়াত্রা]]। তবে রাজনৈতিক কারণে তিনিও ক্লাবের ভাগ্য বদলাতে পারেননি।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.telegraph.co.uk/sport/football/teams/manchester-city/2548558/Thaksin-Shinawatras-crisis-ends-Manchester-Citys-European-dream-Football.html|title=Thaksin Shinawatra's crisis ends Manchester City's European dream|publisher=[[দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ]]|date=১২ আগস্ট ২০০৮|accessdate=২১ এপ্রিল ২০১৪|first=Ian|last=Winrow}}</ref> এরপর ২০০৮ সালের আগস্টে, ক্লাবটিকে কিনে নেয় [[আবু ধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ]]। এই অধিগ্রহণের পর বড় মাপের খেলোয়াড়দের জন্য প্রস্তাবের ফুলঝুড়ি ছুটতে থাকে। [[রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাব|রিয়াল মাদ্রিদ]] থেকে ৩২.৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে [[রবিনিয়ো]]কে ক্রয় করার মাধ্যমে ব্রিটিশ ফুটবলে তারা নতুন রেকর্ড গড়ে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/teams/m/man_city/7593026.stm|title=Man City beat Chelsea to Robinho|publisher=বিবিসি স্পোর্ট|date=১ সেপ্টেম্বর ২০০৮|accessdate=২১ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> এত অর্থ ব্যয়ের পরও সফলতা অধরাই রয়ে যায় এবং লীগে তারা ১০ম স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে। অবশ্য, [[উয়েফা কাপ|উয়েফা কাপে]] তারা কোয়ার্টার-ফাইনাল পর্যন্ত পৌছায়। ২০০৯ সালে গ্রীষ্মে, [[গ্যারেথ ব্যারি]], [[রোকে সান্তা ক্রুজ]], [[কোলো টোরে]], [[এমানুয়েল আদাবায়ের]], [[কার্লোস তেবেস]] এবং [[জোলিয়ন লেসকট|জোলিয়ন লেসকটের]] মত খেলোয়াড়দের ক্রয় করতে ১০০ মিলিয়নেরও অধিক ইউরো খরচ করে ক্লাবটি।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/football/teams/m/man_city/8216645.stm|title=Lescott completes Man City move|publisher=বিবিসি স্পোর্ট|date=২৫ আগস্ট ২০০৯|accessdate=২১ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে মার্ক হিউজস কে সরিয়ে দলের ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় [[রবের্তো মানচিনি]]কে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/sport2/hi/football/teams/m/man_city/8422676.stm|title=Mark Hughes sacked as Man City appoint Mancini manager|publisher=বিবিসি স্পোর্ট|date=১৯ ডিসেম্বর ২০০৯|accessdate=২১ এপ্রিল ২০১৪}}</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.telegraph.co.uk/sport/football/teams/manchester-city/6845269/Manchester-City-set-to-sack-Mark-Hughes-and-appoint-Roberto-Mancini.html|title=Manchester City sack Mark Hughes and appoint Roberto Mancini as manager|publisher=দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ|date=১৯ ডিসেম্বর ২০০৯|accessdate=২১ এপ্রিল ২০১৪|first=Steve|last=Wilson}}</ref> ঐ মৌসুমে সিটি পঞ্চম স্থানে থেকে লীগ শেষ করে এবং অল্পের জন্য পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগে অংশগ্রহণের সুযোগ হাতছাড়া করে, তবে তারা ২০১০–১১ মৌসুমে [[উয়েফা ইউরোপা লীগ|ইউরোপা লীগে]] অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
 
[[চিত্র:ManCityBayernMCL.JPG|thumb|২০১১ [[উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ|চ্যাম্পিয়নস লীগে]] ম্যানচেস্টার সিটি এবং [[বায়ার্ন মিউনিখ ফুটবল ক্লাব|বায়ার্ন মিউনিখের]] মধ্যকার খেলার একটি মুহূর্ত।]]
পরের মৌসুমেও নতুন খেলোয়াড়দের জন্য বিনিয়োগ অব্যহত থাকে। নগর প্রতিদ্বন্দী [[ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব|ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে]] হারিয়ে সিটি ২০১১ এফএ কাপের ফাইনালে পৌছায়। ৩০ বছরের মধ্যে এই প্রথম তারা কোন বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌছায়।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/football/fa_cup/9457489.stm|title=Man City 1 – 0 Man Utd|publisher=বিবিসি স্পোর্ট|date=১৬ এপ্রিল ২০১১|accessdate=২১ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> ফাইনালে তারা [[স্টোক সিটি ফুটবল ক্লাব|স্টোক সিটিকে]] ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে পঞ্চমবারের মত এফএ কাপ শিরোপা জিতে। ১৯৭৬ সালে লীগ কাপ জিতার পর এটিই তাদের প্রথম বড় কোন শিরোপা। একই সপ্তাহে প্রিমিয়ার লীগে [[টটেনহাম হটস্পার ফুটবল ক্লাব|টটেনহাম হটস্পারকে]] হারিয়ে তারা পরবর্তী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লীগেও জায়গা করে নেয়।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://news.bbc.co.uk/sport1/hi/football/eng_prem/9480251.stm|title=Man City 1 – 0 Tottenham|publisher=বিবিসি স্পোর্ট|date=১০ মে ২০১১|accessdate=২১ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> ২০১০–১১ মৌসুমের শেষ দিনে তারা [[আর্সেনাল ফুটবল ক্লাব|আর্সেনালকে]] ছাড়িয়ে লীগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে চলে আসে এবং সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লীগের গ্রুপ পর্ব নিশ্চিত করে। ২০১১–১২ মৌসুমেও ক্লাবের সফলতার ধারা অব্যহত থাকে। তারা [[হোয়াইট হার্ট লেন|হোয়াইট হার্ট লেনে]] টটেনহাম হটস্পারকে ৫–১ গোলে পরাজিত করে এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তাদের নিজেদের স্টেডিয়ামেই ৬–১ গোলে বিধ্বস্ত করে। তবে ক্লাবের এই দূর্দান্ত ফর্ম মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এসে হ্রাস পেয়ে যায় এবং লীগের মাত্র ছয়টি খেলা বাকি থাকতে সিটি তাদের প্রতিদ্বন্দীর থেকে আট পয়েন্ট পিছিয়ে যায়। তবে লীগের দুইটি খেলা বাকি থাকতে তারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাথে পয়েন্ট সমতায় চলে আসে। এমনকি লীগের শেষ দিন পর্যন্ত তাদের পয়েন্ট সমান ছিল। সিটির শুধু প্রয়োজন ছিল অবনমন শঙ্কায় ভূগতে থাকা [[কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্স ফুটবল ক্লাব|কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের]] বিপক্ষে বিজয়। কিন্তু সেই খেলায় তারা ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পরও ২–১ গোলে পিছিয়ে ছিল। অন্যদিকে ইউনাইটেডের কিছু খেলোয়াড় খেলা শেষে লীগ শিরোপা জয়ের কথা ভেবে উল্লাস করছিল। তবে ইনজুরি সময়ে জেকো ও [[সার্হিও আগুয়েরো|আগুয়েরোর]] গোলে এগিয়ে যায় সিটি। এর মধ্যে আগুয়েরোর গোলটি ছিল খেলার একদম শেষ মিনিটে। এবং এই শেষ মিনিটের জয়ে ৪৪ বছরের মধ্যে প্রথম লীগ শিরোপা জিতে সিটি। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লীগ প্রতিষ্ঠার পর তারা পঞ্চম দল হিসেবে এই শিরোপা জিতে। যুক্তরাজ্য এবং সেই সাথে সারা বিশ্বের কিছু সংবাদ মাধ্যম এটিকে প্রিমিয়ার লীগের ইতিহাসের সেরা মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.mirror.co.uk/sport/football/news/manchester-city-title-win-named-1241457|title=Is Man City's title win really the best Premier League moment ever? See the Top 50 here.. and then tell us yours|publisher=দ্য মিরর|date=৯ আগস্ট ২০১২|accessdate=২২ এপ্রিল ২০১৪}}</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://deadspin.com/5910467/reconstructing-the-most-exciting-day-in-the-history-of-soccer-and-maybe-sports-period|title=Reconstructing The Most Exciting Day In The History Of Soccer (And Maybe Sports, Period)|publisher=deadspin.com|date=১৬ মে ২০১২|accessdate=২২ এপ্রিল ২০১৪}}</ref> খেলাটি আরও স্মরণীয় হয়ে ওঠে সিটির প্রাক্তন খেলোয়াড় জোই বার্টনের কারণে। খেলায় তিনি মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানেই তিন জন আলাদা খেলোয়াড়কে ট্যাকল করেন যার সবগুলোই ছিল লাল কার্ড পাওয়ার মত। এরপর তাকে ১২টি খেলার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.dailymail.co.uk/sport/football/article-2199537/Joey-Barton-told-serve-ban-Marseille.html|title=Barton blow as bad boy is told he must serve ban at new club Marseille|publisher=[[দ্য ডেইলি মেইল]]|date=৬ সেপ্টেম্বর ২০১২|accessdate=২২ এপ্রিল ২০১৪}}</ref>
 
==খেলোয়াড়গন==
১৭০ নং লাইন:
 
=== উল্লেখযোগ্য ম্যানেজার ===
:''৭ মে ২০১৪ অনুসারে''<ref>নিচের ম্যানেজারদের সকলেই ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে অন্তত একটি প্রধান শিরোপা জিতেছেন। ([[এফএ কমিউনিটি শিল্ড|কমিউনিটি শিল্ড]] শিরোপা ছাড়া) (শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলার হিসাব করা হয়েছে)</ref><ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি | title=Managers| work=mcfcstats.com | url=http://www.mcfcstats.com| accessdate=১৫ এপ্রিল ২০১৪}}</ref>
 
{| class="wikitable" style="text-align:center"
২৫৭ নং লাইন:
* '''সর্বোচ্চ গোলদাতা''' – ১৭৭, [[এরিক ব্রুক]] ১৯২৮–৪০<ref>James, ''The Official Manchester City Hall of Fame'', p. 48. Some sources state 178 goals, as Brook scored a goal in the abandoned 1939–40 season, the matches of which are generally excluded from statistical records</ref>
* '''এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা''' – ৩৮, [[টমি জনসন (ফুটবলার জন্ম ১৯০০)|টমি জনসন]] 1928–29<ref>Clayton, ''Everything Under the Blue Moon'', p.&nbsp;112.</ref>
* '''পরিশোধিত রেকর্ড স্থানান্তর ফি''' – £৩৮ মিলিয়ন, [[সার্হিও আগুয়েরো]]র জন্য [[আতলেতিকো মাদ্রিদ|আতলেতিকো মাদ্রিদে]], জুলাই ২০১১<ref>{{Citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি |title=Manchester City complete Sergio Aguero signing |url=http://www.bbc.co.uk/sport/0/football/14226198 |newspaper=বিবিসি |date=২৮ জুলাই ২০১১ |accessdate=১৬ এপ্রিল ২০১৪ |location=লন্ডন}}</ref>
* '''প্রাপ্ত রেকর্ড স্থানান্তর ফি''' – £২১ মিলিয়ন, [[শন রাইট-ফিলিপস|শন রাইট-ফিলিপসের]] জন্য [[চেলসি ফুটবল ক্লাব|চেলসির]] কাছে থেকে, জুলাই ২০০৫<ref>James, ''Manchester City – The Complete Record'', p. 521</ref>
 
== সংসৃষ্ট ক্লাবসমূহ ==
=== সহ-মালিকানা ===
*{{flagicon|USA}} [[নিউ ইয়র্ক সিটি ফুটবল ক্লাব]] (২০১৩–বর্তমান)<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|title=New Soccer Team Introduces a Director of Operations|url=http://www.nytimes.com/2013/05/23/sports/soccer/new-york-city-fc-picks-claudio-reyna-as-director-of-operations.html|publisher=[[দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস]] |date=২২ মে ২০১৩|accessdate=১৯ এপ্রিল ২০১৪}}</ref>
:২০১৩ সালের ২১ মে ঘোষণা করা হয় যে ম্যানচেস্টার সিটি মার্কিন বেসবল ফ্রাঞ্চাইজ [[নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিস|নিউ ইয়র্ক ইয়াঙ্কিসের]] সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে [[মেজর লীগ সকার|মেজর লীগ সকারের]] ২০তম দল হিসেবে [[নিউ ইয়র্ক সিটি ফুটবল ক্লাব]] চালু করতে যাচ্ছে।
 
*{{flagicon|AUS}} [[মেলবোর্ন হার্ট ফুটবল ক্লাব|মেলবোর্ন সিটি ফুটবল ক্লাব]] (২০১৪–বর্তমান)<ref>{{citeসংবাদ newsউদ্ধৃতি|title=The resources and power of Sheikh Mansoor makes this deal a seismic moment for the A-League|url=http://www.heraldsun.com.au/sport/football/the-resources-and-power-of-sheikh-mansoor-makes-this-deal-a-seismic-moment-for-the-aleague/story-fni2wcjl-1226808309758|publisher=Herald Sun |date=২৩ জানুয়ারি ২০১৪|accessdate=১৯ এপ্রিল ২০১৪}}</ref>
:২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় যে ম্যানচেস্টার সিটি অস্ট্রেলিয়ান এ-লীগের দল [[মেলবোর্ন হার্ট ফুটবল ক্লাব]]কে অধিগ্রহণ করার জন্য অস্ট্রেলিয়ান রাগবি লীগের ফ্রাঞ্চাইজ [[মেলবোর্ন স্টোর্ম|মেলবোর্ন স্টোর্মের]] অংশীদারিত্ব গ্রহণ করেছে। ক্লাবটির নতুন নাম হতে পারে মেলবোর্ন সিটি ফুটবল ক্লাব।
 
২৭২ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflistসূত্র তালিকা|30em}}
 
== বহিঃসংযোগ ==