মসলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
টেমপ্লেটে সংশোধন
১ নং লাইন:
[[File:Indianspicesherbs.jpg|thumb|বিভিন্ন ধরনের দেশী মসলা]]
'''মসলা''' ({{Lang-en|Spice}}) খাদ্যের স্বাদ ও সুগন্ধ বাড়াতে ব্যবহার্য যে কোন [[উদ্ভিদ]] বা উদ্ভিদের অংশ যেমন [[ফুল]], [[ফল]], [[বীজ]], [[কুঁড়ি]], [[পাতা]], বাকল। খাদ্যের স্বাদ বাড়াতে সহায়তা করলেও মসলা কোন খাদ্য নয়, এগুলির তেমন কোন পুষ্টিমান নেই।<ref name="banglapedia.org">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE|title=মসলা|work=banglapedia.org}}</ref> এসব মসলা খাবারকে সুস্বাদু করে। এসব মসলার রয়েছে নানাবিধ ঔষধি গুণ, যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কাজ করে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.infokosh.gov.bd/atricle/%E0%A6%B2%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%94%E0%A6%B7%E0%A6%A7%E0%A6%BF-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A3-%E0%A6%AE%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE|title=লতাপাতার ঔষধি গুণ - মসলা - জাতীয় ই-তথ্যকোষ|work=infokosh.gov.bd}}</ref>
 
==ইতিহাস==
খাবার ও মসলা যেমন একটি অপরটির সাথে সম্পর্কযুক্ত তেমনি খাবারের ইতিহাসের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে মসলার ইতিহাসও। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মধ্যে বাণিজ্যের প্রথম ও প্রধান পণ্য ছিল মসলা।<ref name="banglapedia.org"/> খ্রিস্টপূর্বাব্দে [[প্রসাধনী]] হিসেবে মসলার ব্যবহার ছিল। একসময় বিশ্ববাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো এই মসলা। মসলার খোঁজে বের হয়েই [[কলম্বাস]] ১৪৪২ সালে [[আমেরিকা]] আবিষ্কার করেন।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://anandabhuban.com.bd/detailsnews.php?nssl=49182f81e6a13cf5eaa496d51fea6406&nttl=06012015295#.VhKSNLzAZel|title=মসলার মসলাদার কাহিনি|work=anandabhuban.com.bd}}</ref>
মসলাকে কেন্দ্র করে যুগে যুগে অনেক বড় বড় যুদ্ধও হয়েছে। মসলার জন্য প্রথম যুদ্ধ হয় [[ভারতবর্ষ|ভারতবর্ষে]]। পর্তুগীজদের সাথে কালিকটের রাজার মধ্যে এ যুদ্ধও সংঘটিত হয়।<ref name="risingbd.com"/>
এই মসলার খোঁজেই পর্তুগীজ নাবিক [[ভাস্কো দা গামা]] একদিন জাহাজ ভেড়ান ভারতের [[কেরালা]] উপকূলে। ভারতবর্ষে [[আরব বিশ্ব|আরব]] বণিকদের এক সময় মসলার একচেটিয়া ব্যবসা ছিল। কিন্তু ভাস্কো দা গামার আগমনের পরে এক সময় শেষ হয়ে যায় আরব বণিকদের এই একচেটিয়া ব্যবসার দখল।<ref name="anandabhuban.com.bd"/>
 
পরবর্তীতে মসলার একচেটিয়া বাণিজ্য পর্তুগীজদের হাতে চলে আসে। প্রায় দেড়শ বছর পর্যন্ত মসলার বাণিজ্য তাদের হাতেই ছিল। এর ফলে সে সময় তারা ইউরোপে একচেটিয়া মসলার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। একচেটিয়া বাণিজ্যের কারণে [[পর্তুগীজ|পর্তুগীজরা]] মসলার দাম তখন এতো বাড়িয়েছিল যে ডাচ বণিকদের মনে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠছিল। এর ফলশ্রুতিতে ডাচরা ১৫৯৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষে যাত্রা করে এবং ভারতবর্ষে মসলার ব্যবসার জন্য তারা ‘ইউনাইটেড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করে।<ref name="risingbd.com">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://www.risingbd.com/printnews.php?nssl=115329|title=মসলা বাণিজ্য থেকে রাজ্য দখল -- ইবনুল কাইয়ুম|work=risingbd.com}}</ref>
পরবর্তীতে ১৬২৯ সালের দিকে এই কোম্পানি [[জাকার্তা]] অধিকার করে এবং মসলার দেশ [[ইন্দোনেশিয়া|ইন্দোনেশিয়ায়]] মসলা উৎপাদন শুরু করে। সেখানে চাষিদের নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে তারা। এক সময় পরিলক্ষিত হয় সেখানে চাষিদের নিজেদের জমি বলতে আর কিছু নেই এবং তারা কোম্পানির কাছ থেকে দাদন নিয়ে মসলা চাষ করছে। ফলে পরবর্তীতে নিজ ভূমেই পরবাসী হয়ে পড়ে তারা।<ref name="risingbd.com"/>
 
মসলার খোঁজে প্রথমে পর্তুগীজ, তারপর ডাচ এবং সর্বশেষ [[ইংরেজ|ইংরেজরা]] ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করে। পর্তুগীজদের সরিয়ে [[ডাচ|ডাচরা]] মসলার উদপাদন শুরু করার পর তারা দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ইংল্যান্ডেও সে সময় মসলার প্রচুর চাহিদা থাকায় ১৫৯৯ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজরা প্রাচ্যের মসলার বাজারে ঢুকার সিদ্ধান্ত নেয়। উল্লেখ্য সপ্তদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত ব্রিটেনে লবঙ্গের দাম ছিলো প্রায় সোনার দামের সমান।<ref name="anandabhuban.com.bd">{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://anandabhuban.com.bd/detailsnews.php?nssl=49182f81e6a13cf5eaa496d51fea6406&nttl=06012015295#.VhIj0bxz-FQ|title=মসলার মসলাদার কাহিনি|work=anandabhuban.com.bd}}</ref> যার ফলশ্রুতিতে ইংরেজদের বিখ্যাত '[[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি]]' তখন মসলার বাণিজ্যে নেমে পড়ে। কোম্পানির প্রথম জাহাজ এই উদ্দেশে প্রাচ্যের দিকে যাত্রা করে ১৬০১ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জানুয়ারি। তারা ১৬১২ খ্রিস্টাব্দে ভারতের সুরাটে [[মোগল সাম্রাজ্য|মোঘল]] সম্রাটের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করে নিয়ে প্রথম বাণিজ্য ঘাঁটি স্থাপন করে। তারা ঠিক করেছিল ভারতবর্ষে থেকে বস্ত্রের ব্যবসা করবে এবং তা থেকে যে মুনাফা হবে তাই দিয়ে মসলার ব্যবসা করবে।
 
'ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি' ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মসলার বাণিজ্য শুরু করলেও ডাচদের চাপে তারা সেখানে বেশি দিন টিকতে পারেনি। মাত্র ১৪ বছর পরেই ইন্দোনেশিয়া ছেড়ে তাদের বেরিয়ে আসতে হয়। তারপর তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ সীমাবদ্ধ ছিল ভারতবর্ষের মধ্যেই। তাদের মসলার বাণিজ্য এখানেই শেষ হয়। এরপর ধীরে ধীরে তারা ভারতবর্ষে নিজেদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেছিল। এক সময় মসলার বাণিজ্য করতে আসা কোম্পানি পরবর্তীতে এই ভারতবর্ষ রাজত্ব করে দু’শ’ বছর।<ref name="risingbd.com"/><ref name="anandabhuban.com.bd"/>
 
==বাংলাদেশে মসলা গবেষণা==
বাংলাদেশে মসলা গবেষণার জন্য রয়েছে '[[মসলা গবেষণা কেন্দ্র]]' যা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অন্তর্গত। এটি [[বগুড়া]] শহর হতে প্রায় ১৮ কি. মি. উত্তরে [[শিবগঞ্জ উপজেলা]]র রায়নগর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক [[মহাস্থানগড়|মহাস্থানগড়ের]] পার্শ্বে অবস্থিত। এর মোট আয়তন ২৮ হেক্টর। এই কেন্দ্রের অধীনে ৩ টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ([[গাজীপুর]], [[মাগুরা জেলা|মাগুরা]] ও [[কুমিল্লা]]) এবং ৭ টি উপ-কেন্দ্র ([[পঞ্চগড়]], [[লালমনিরহাট]], [[সিলেট]], [[মৌলভীবাজার]], [[ফরিদপুর]], [[বরিশাল]] ও [[খাগড়াছড়ি]]) রয়েছে।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|url=http://spiceresearch.bogra.gov.bd/|title=Office - spiceresearch.bogra|work=bogra.gov.bd}}</ref>
 
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা|2}}
{{Reflist|2}}
 
==বহিঃসংযোগ==
'https://bn.wikipedia.org/wiki/মসলা' থেকে আনীত