'''বিশ্লষণী রসায়ন''' হচ্ছে প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম পদার্থের রাসায়নিক উপাদানের বিচ্ছেদ, সনাক্তকরণ এবং বৈশিষ্ট্যযুক্তকরণ নিয়ে গবেষণা।<ref name="isbn0-03-005938-0">{{citeবই bookউদ্ধৃতি |author=Holler, F. James; Skoog, Douglas A.; West, Donald M. |title=Fundamentals of analytical chemistry |publisher=Saunders College Pub |location=Philadelphia |year=১৯৯৬ |pages= |isbn=0-03-005938-0 |oclc= |doi= |accessdate=}}</ref> গুণগত বিশ্লেষণ নমুনায় রাসায়নিক প্রজাতির পরিচয়ের একটি ইঙ্গিত দেয় এবং পরিমাণগত বিশ্লেষণ পদার্থের নির্দিষ্ট উপাদানের পরিমাণ নির্ধারণ করে। উপাদান বিচ্ছেদ প্রায়ই বিশ্লেষণের পূর্বে সঞ্চালিত করা হয়।
বিশ্লষণী পদ্ধতিটিকে শাস্ত্রীয় এবং যান্ত্রিক এই দুইভাগে বিভক্ত করা করা যেতে পারে।<ref name="isbn0-03-002078-6">{{citeবই bookউদ্ধৃতি |author=Nieman, Timothy A.; Skoog, Douglas A.; Holler, F. James |title=Principles of instrumental analysis |publisher=Brooks/Cole |location=Pacific Grove, CA |year=১৯৯৮ |pages= |isbn=0-03-002078-6 |oclc= |doi= |accessdate=}}</ref> শাস্ত্রীয় পদ্ধতি (এছাড়াও আর্দ্র রসায়ন পদ্ধতি নামে পরিচিত) পৃথককরণ ব্যবহার করে যেমন: রঙ, গন্ধ অথবা গলনাঙ্ক দ্বারা অধঃক্ষেপণ, নিষ্কাশন, পাতন এবং গুণগত বিশ্লেষণ করা। শাস্ত্রীয়তে পরিমাণগত বিশ্লেষণ ওজন বা আয়তন পরিমাপ করার দ্বারা করা যায়। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভৌত পরিমাণের পরিমাপ করতে যন্ত্র ব্যবহার করা হয় যেমন আলো শোষণ, প্রতিপ্রভা অথবা পরিবাহিতা হিসাবে। পদার্থ বিচ্ছেদ ক্রোমাটোগ্রাফি, ইলেক্ট্রোফোরেসিস বা ক্ষেত্র ফ্লো ফ্রাকশোনেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়।
ভাল রাসায়নিক তথ্য প্রদান করতে বিশ্লেষণাত্নক রসায়নে এছাড়াও পরীক্ষামূলক নকশা, কেমোমেট্রিক্স এবং নতুন পরিমাপের সরঞ্জাম সৃষ্টির উন্নতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়। বিশ্লেষণাত্নক রসায়নে ফরেনসিক, জৈববিশ্লেষণ, ক্লিনিকাল বিশ্লেষণ, পরিবেশগত বিশ্লেষণ এবং উপকরণ বিশ্লেষণের প্রয়োগ আছে।