বক্সা দুর্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''বক্সা দুর্গ''' হল [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের [[আলিপুরদুয়ার জেলা|আলিপুরদুয়ার জেলায়]] অবস্থিত একটি অধুনা-পরিত্যক্ত দুর্গ। [[বক্সা জাতীয় উদ্যান|বক্সা জাতীয় উদ্যানে]] {{convert|867|m|ft}} উচ্চতায় এই দুর্গ অবস্থিত। জেলাসদর ও নিকটবর্তী শহর [[আলিপুরদুয়ার|আলিপুরদুয়ারের]] থেকে এই দুর্গের দূরত্ব {{convert|30|km|mi}}।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|title=Buxa Fort - About|url=http://www.traveladda.com/east_india/west_bengal/forts_and_palaces/buxa_fort.html|accessdate=9 May 2012}}</ref> [[ভারত]] ও [[তিব্বত|তিব্বতের]] মধ্যে যে রেশম বাণিজ্য পথটি [[ভুটান|ভুটানের]] মধ্যে দিয়ে যেত, সেটির একাংশ রক্ষার জন্য ভুটান রাজারা এই দুর্গটি ব্যবহার করতেন। ১৯৫০ সালে চীন [[তিব্বত দখল (১৯৫০)|তিব্বত দখল]] করে নিলে, বহু শরণার্থী এই অঞ্চলে উপস্থিত হন। সেই সময় পরিত্যক্ত দুর্গটি শরণার্থী আশ্রয় শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল।

কোচবিহাররের রাজার আমন্ত্রণে ব্রিটিশরা এই দুর্গ দখল করে নেয়। ১৮৬৫ সালের ১১ নভেম্বর, [[ভুটান যুদ্ধ|সিঞ্চুলার চুক্তির]] অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গটি ব্রিটিশদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।<ref>{{citeবই bookউদ্ধৃতি|title=Bhutan: a Kingdom in the Himalayas : a study of the land, its people, and their government |first1=Nagendra |last1=Singh |edition=2 |chapter=Appendix VII – The Treaty of Sinchula |page=243 |publisher=Thomson Press Publication Division |year=1978 |url=http://books.google.com/books?id=TSRuAAAAMAAJ |accessdate=2011-08-25}}</ref> দুর্গটি আগে বাঁশের তৈরি ছিল। ব্রিটিশরা এটিকে পাথরের দুর্গে রূপান্তরিত করে। পরবর্তীকালে ১৯৩০-এর দশক অবধি দুর্গটি উচ্চ নিরাপত্তাযুক্ত কারাগার ও ডিটেনশন ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|title=West Bengal Forest Development Corporation|url=http://s222299194.onlinehome.us/rvk/what-to-see.html|accessdate=9 May 2012}}</ref> [[আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামানের]] [[সেলুলার জেল|সেলুলার জেলের]] পর এটিই ছিল ব্রিটিশ ভারতের সবচেয়ে কুখ্যাত ও দুর্গম কারাগার।

[[চীনের তিব্বত দখল|চীনের তিব্বত দখলের]] আগে [[দ্রেপুং]] ছিল তিব্বতের সবচেয়ে বিখ্যাত বৌদ্ধ মঠগুলির একটি। এই মঠে ১০,০০০ সন্ন্যাসী বাস করতেন। ১৯৫৯ সালের মার্চ মাসে তিব্বতি জনতাকে অবদমিত করে এই মঠ দখল করে নেয়। মাত্র কয়েকশো সন্ন্যাসী ভারতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। তিব্বতের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধি এই সন্ন্যাসীরা প্রথমে বক্সা দুর্গের বনাঞ্চলে ঘেরা পূর্বতন জেলখানায় একটি সন্ন্যাসীদের পঠনপাঠনের কেন্দ্র ও শরণার্থী শিবির স্থাপন করেন।<ref>{{Citeওয়েব webউদ্ধৃতি |title=About The Re-establishment of Drepung Gomang Monastic University in India|url=http://www.drepunggomang.org/about-us/77-re-establishment-of-drepung-gomang-monastic-university-in-india |author=<!--Staff writer(s); no by-line.--> |date= |website=Drepung Gomang Monastery|publisher= |accessdate=2014-04-29 }}</ref>

১৯৬৬ সালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বক্সা দুর্গে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের জন্য একটি ভাল বাসস্থানের ব্যবশা করে দেন। শরণার্থীরা প্রথমে নতুন জায়গায় যেতে অনিচ্ছুক হলেও, [[দলাই লামা|দলাই লামার]] বার্তা পেয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁরা রাজি হন। ১৯৭১ সালে তাঁরা [[কর্ণাটক]] রাজ্যের বাইলাকুপে ও মুন্দগদে চলে যান।<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি|title=Buxa Refugee Camp|url=http://www.monkstour.info/v/vspfiles/downloadables/drephistedited.pdf|accessdate=9 May 2012}}</ref>