পরিভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আরও দেখুন
বর্ধন
১ নং লাইন:
যে শব্দের দ্বারা সংক্ষেপে কোন বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে ব্যক্ত করা যা তাকেই '''পরিভাষা''' বলা হয়। [[শব্দ]] হল যেকোন কিছুর নাম বা তাকে ভাষায় প্রকাশ করার উপায়, [[প্রতিশব্দ]] হল সমার্থক শব্দ; কিন্তু পরিভাষা পুরোপুরিই সংজ্ঞাবাচক। এর অর্থ ব্যাপক। একটি পরিভাষা একটি পরিপূর্ণ সংজ্ঞাকে নির্দেশ করে। শব্দের অর্থ এবং পরিভাষার অর্থ ভিন্ন বা একেবারে বিপরীত হতে পারে। যেমন, বাংলা ভাষায় ''বিজ্ঞান'' শব্দটি [[সংস্কৃত ভাষা]] থেকে এসেছে। সংস্কৃতে বিজ্ঞান শব্দের অর্থ ছিল ঈশ্বরানুভব, অপরোক্ষ জ্ঞান, তত্ত্বজ্ঞান বা বিশেষ জ্ঞান। কিন্তু বাংলায় এটি ইংরেজি ''sciecnce'' শব্দের পরিভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই বাংলায় বিজ্ঞান শব্দের অর্থ ''নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফলে কোন বিষয়ে ক্রম অনুসারে লব্ধ জ্ঞান''। ঈশ্বরানুভূতি এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞান একেবারে বিপরীত। দেখা যাচ্ছে, পরিভাষার অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং এটিই বর্তমানে একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার জন্ম দিয়েছে।
 
==পরিভাষা কাকে বলে?==
পরিভাষার অর্থ ভূমিকা অংশেই বলা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন অভিধান ও বিশ্বকোষ থেকে নেয়া অর্থগুলো উল্লেখ করা হচ্ছে:
* [[সংসদ বাঙ্গালা অভিধান|সংসদ বাঙ্গালা অভিধানে]] বলা হয়েছে, "বিশেষ অর্থে নির্দিষ্ট শব্দ বা সংজ্ঞা"।
* [[চলন্তিকা অভিধান|চলন্তিকা অভিধানে]] [[রাজশেখর বসু]] এর অর্থ করতে গিয়ে লিখেছেন, "বিশেষ অর্থবোধক শব্দ"।
* [[রাজশেখর বসু]] তার ''লঘুগুরু'' গ্রন্থে পরিভাষার অর্থ করতে গিয়ে লিখেছেন, "ভাষা একটি নমনীয় পদার্থ, তাকে টেনে বাঁকিয়ে চটকে আমরা নানা প্রয়োজনে লাগাই। কিন্তু এরকম জিনিসে কোন পাকা কাজ হয়না, মাঝে মাঝে শক্ত খুঁটির দরকার, তাই পরিভাষার উদ্ভব হয়েছে।" (১৩৪৬ বঙ্গাব্দ)
* [[বাচস্পত্য অভিধান]] গ্রন্থে বলা হয়েছে, "শাস্ত্রকারের সংজ্ঞা বিশেষ"।
 
==ইতিহাস==
প্রাচীন সংস্কৃত ভাষায় পরিভাষা শব্দের প্রচলন ছিল। [[হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়]] তার "বঙ্গীয় শব্দকোষ" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, প্রাচীন সংস্কৃত কবি মাঘের "শিশুপাল বধ" কাব্যে পরিভাষা শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
 
==আরও দেখুন==