ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খলজি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Bangali ind (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
অ টেমপ্লেটে সংশোধন |
||
২৭ নং লাইন:
== বাংলা বিজয় ==
তৎকালীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেন বাংলার রাজধানী [[নদিয়া জেলা|নদিয়ায়]] অবস্থান করছিলেন কারণ [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] ছিল বহিঃশত্রুর কাছ থেকে সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল। বলা হয়ে থাকে যে নদিয়ায় আসার কিছু আগে রাজসভার কিছু দৈবজ্ঞ পণ্ডিত তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এক তুর্কি সৈনিক তাকে পরাজিত করতে পারে। এতে করে [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] মনে ভীতির সঞ্চার হয় এবং নদিয়ার প্রবেশপথ রাজমহল ও তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষণ সেনের]] ধারণা ছিল যে ঝাড়খণ্ডের শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে কোনো সৈন্যবাহিনীর পক্ষে নদিয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয় কিন্তু বখতিয়ার সেইপথেই তার সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে আসেন। [[নদিয়া জেলা|নদিয়া]] অভিযানকালে বখতিয়ার ঝাড়খণ্ডের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতিতে অগ্রসর হয়েছিলেন যে তার সাথে মাত্র ১৮ জন সৈনিকই তাল মেলাতে পেরেছিলেন<ref>{{
নদিয়া জয় করে পরবর্তীতে লক্ষণাবতীর ([[গৌড়]]) দিকে অগ্রসহ হন এবং সেখানেই রাজধানী স্থাপন করেন। এই লক্ষণাবতীই পরবর্তীকালে লখনৌতি নামে পরিচিত হয়। [[গৌড়]] জয়ের পর আরও পূর্বদিকে বরেন্দ্র বা উত্তর বাংলায় নিজ অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এলাকাগুলোকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে একজন করে সেনাপতিকে শাসণভার অর্পণ করেন। বখতিয়ারের সেনাধ্যক্ষদের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া যায়। এদের মধ্যে আলি মর্দান খলজি বরসৌলে, হুসামউদ্দিন ইওজ খলজি গঙ্গতরীর শাসনকর্তা নিযুক্ত হন।
৩৬ নং লাইন:
== মৃত্যু ==
[[তিব্বত]] অভিযান বিফল হলে বখতিয়ার [[দেবকোট|দেবকোটে]] ফিরে আসেন। গৌহাটির নিকটে [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্রের]] তীরে কানাই বড়শি বোয়া নামক স্থানে তুর্কি সেনাদলের বিধ্স্ত হওয়ার বিভিন্ন আলামত পাওয়া যায়। তিব্বত অভিযান বিফল এবং সৈন্যবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতির ফলে লখনৌতির মুসলিম রাজ্যের প্রজারের মধ্যে বিদ্রোহ ও বিরোধ দেখা দিতে শুরু করে। এরই ফলে বাংলার ছোট ছোট মুসলিম রাজ্যগুলো [[দিল্লি|দিল্লির]] সাথে সম্ভাব্য বিরোধে আগে থেকেই কোনঠাসা হয়ে পড়ে। এরকম নানাবিধ চিন্তা, এবং পরাজয়ের গ্লানিতে বখতিয়ার অসুস্থ এবং পরে শয্যাশায়ী হন। এর অল্প কিছুদিন বাদে [[১২০৬]] খ্রিষ্টাব্দে তিনি শয্যাশায়ী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। কেউ কেউ অনুমান করেন যে বখতিয়ারের মৃত্যুতে তার সেনাপতি আলিমর্দান খলজির হাত ছিল<ref>{{
== বিতর্ক ও সমালোচনা ==
ইখতিয়ার উদ্দিন বখতিয়ার খলজি সংক্রান্ত সকল তথ্যই মুসলিম ঐতিহাসিক মিনহাজউদ্দিন শিরাজের '''তবকাৎ-ই-নাসিরী''' গ্রন্থ থেকে সংগ্রহ করা। মিনহাজ বখতিয়ারের মৃত্যুর প্রায় চল্লিশ বছর পর বাংলায় গিয়ে বাংলা বিজয়ের যে কাহিনী শুনেছিলেন তাই মূলত লিপিবদ্ধ করেছেন এবং তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচিত হয়েছে। তার বর্ণনা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে তিনি মূলত প্রচলিত কাহিনীগুলিকেই লিপিবদ্ধ করেছিলেন যা ঐতিহাসিকদের কাছে বাংলা জয়ের একমাত্র দলিল। তাই মিনহাজের সব কথাই সঠিক তা নাও হতে পারে।
১১৯৩ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য খিলজিকে দায়ী করা হয়। সেখানে থাকা সকল ছাত্রদেরকেও সে সময় হত্যা করা হয়। তবে এসম্পর্কিত মূল সূত্র থেকে জানা যায় যে খিলজি এই বিষয়ে অজ্ঞাত ছিলেন যে এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়।<ref name="Siraj-552">{{harvcol|Minhāju-s Sirāj|1881|p=[http://books.google.com/books?id=u_ixTEEz8ssC&pg=552 552]}}</ref><ref>Dr. Ambedkar speech in Colombo Sri Lanka 29th May 1950.</ref><ref>{{
== অর্জন ==
৪৭ নং লাইন:
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা|2}}
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলার ইতিহাস]]
|