বড় সোনা মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sam jhang (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী শুদ্ধকরণ
Sam jhang (আলোচনা | অবদান)
অনুচ্ছেদ যোগ
১ নং লাইন:
ভারতের [[গৌড়|গৌড়ে]] অবস্থিত মুসলিম যুগের [[স্থাপত্য]] নিদর্শন। গৌড়ের সবচেয়ে বড় [[মসজিদ]] হলো বড় সোনা মসজিদ। এটি হোসেন-শাহ স্থাপত্য রীতিতে তৈরী। স্থাপনাটি ইটইটের গাঁথুনি দ্বারা নির্মিত এবং বাইরের অংশ পাথর দ্বারা আবৃত ছিল।
 
==নির্মাণকাল==
 
এ মসজিদটির নির্মানকাল সঠিক ভাবে জানা যায় না। মেজর ফ্রাঙ্কলিন মসজিদটির কাছে একটি শিলালিপি খুজে পান, ধারণা করা হত এটিই এই মসজিদটির শিলালিপি। এতে তারিখ ছিলো ৯৩২ [[হিজরী]] সন (১৫২৬ খৃষ্টাব্দ), এটি অনুসারে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন সুলতান হোসেন শাহের পুত্র সুলতান নাসিরুদ্দিন নুসরত শাহ। পরে মসজিদের ঠিক বাইরে উত্তর-পশ্চিম কোণে আরেকটি শিলালিপি পাওয়া যায় যা এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। এতে ৯৩০ হিজরী সনে (১৫২৩ খৃষ্টাব্দ) নুসরত শাহ কতৃক একটি তোরণ নির্মাণের বর্ণনা পাওয়া যায়। যেহেতু এ শিলালিপিটি মসজিদের অধিক কাছে পাওয়া গেছে, তাই এটি মসজিদের তোরণটির শিলালিপি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের ভবনের তোরণ মূল ভবনের আগে নির্মাণ করা হয় না। মেজর ফ্রাঙ্কলিন প্রাপ্ত শিলালিপিটির তারিখ এ শিলালিপির পরের। তাই সেটি মসজিদের শিলালিপি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।<br />
তাছাড়া নুসরত শাহ কতৃক নির্মিত [[বাঘা মসজিদ|বাঘা মসজিদের]] স্থাপত্য শৈলীর সাথে এর কোনোঅমিল মিলরয়েছে খুজে পাওয়া যায় না।যথেষ্ট। এর [[ফ্যাসাদ]]গুলোতে অলংকরণ খুবই কম, নেই বললেই চলে। তবে [[মিহরাব]] গুলোতে অলংকরণ রয়েছে। বরঞ্চ, আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলের প্রথমার্ধে নির্মিত ছোটো সোনা মসজিদের সাথে এর স্থাপত্য শৈলীর মিল খুজে পাওয়া যায়। স্থাপত্যশৈলীর এই মিল এবং পরে প্রাপ্ত শিলালিপিটির তারিখ থেকে এটা মনে হয়া অসম্ভব নয় যে মসজিদটি আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলের শেষের দিকে নির্মিত হয়েছিলো।
 
==নামকরণ==
১৬ নং লাইন:
==বহির্ভাগ==
 
মসজিদ ভবনটির চারপাশে চারটি এবং মূল প্রার্থণালয় ও করিডোর এর সংযোগস্থলে দুটি- মোট ছটি [[টারেটবুরুজ]] আছে। প্রতিটিই অষ্টকোণাকৃতি। মসজিদটির বাইরের পরিমাপ ১৬৮ ফিটx ৭৬ফিট। এর উচ্চতা ২০ ফিট। সম্মুখ ফ্যাসাদটি ধনুকের মত উপরদিকে ঈষৎ বাঁকানো। <br />
 
==অন্তর্ভাগ==
 
মসজিদ ভবনটির মূল প্রার্থনালয়ের সামনে একটি করিডোর আছে। করিডোরটি ১৫০ ফিট লম্বা। করিডোরের পূর্বদিকে এগারটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে একটি করে [[খিলান]]যুক্ত দরজা আছে। প্রার্থণালয়টি পাথর নির্মিত চতুষ্কোণ [[স্তম্ভ]] দ্বারা উত্তর-দক্ষিণে তিনটি আইলে ও পূর্ব-পশ্চিমে এগারটি সারিতে (bay) বিভক্ত। তিনটি আইলের উভয় দিকে তিনটি করে দরজা আছে। করিডোরের এগারটি দরজা বরাবর পসছিমপশ্চিম দেয়ালে এগারটি মিহরাব আছে।ছিল যার প্রতিটিই বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত। সর্ব উত্তর পার্শ্বের তিনটি সারির উপর [[জেনানা মহল]] অবস্থিত। উত্তর পাশ থেকে [[সিঁড়ি]] আছে যা দিয়ে এতে ওঠা যেত। প্রার্থণালয়ের ওপর ৩৩টি ও করিডোরের ওপর ১১টি- মোট ৪৪টি গম্বুজ ছিলো এ মসজিদে। বর্তমানে কেবল করিডোরের ওপরের ১১টি টিকে আছে। বাকিগুলো ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে।
 
==অলংকরণ==
 
ছোটো সোনা মসজিদের সাথে স্থাপত্য শৈলীতে যথেষ্ট মিল থাকলেও অলংকরণে রয়েছে বিস্তর ফারাক। ছোটো সোনা মসজিদ অলঙ্করণে সমৃদ্ধ এবং এর কাজগুলো অত্যন্ত সূক্ষ। অপরদিকে বড় সোনা মসজিদের অনাড়ম্বর ভাব এই স্থাপনাটিকে বিশেষায়িত করেছে। এর স্থাপত্যশৈলীর বৈশিষ্টই হল ফ্যাসাদগুলোর সাদামাটা ও সরল ভাব এবং বিশাল আয়তন। ইন্দো-মুসলিম স্থাপত্যে সাধারণত অপেক্ষাকৃত ছোটো স্থাপনাতে সূক্ষ কারুকাজ দেখা যায়। ইমারতের আকার যত বৃদ্ধি পায়, তার সারল্যও তত বেশি হয়। গাম্ভীর্য ও অতি অলংকরণ পাশাপাশি চলে না। বড় সোনা মসজিদে সম্ভবত এই রীতিটিই মেনে চলা হয়েছে।
 
==আরও দেখুন==