ইংরেজি ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎top: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
২৩ নং লাইন:
}}
[[File:EN English Language Symbol ISO 639-1 IETF Language Tag Icon.svg|thumb|upright|EN ([[ISO 639]]-1)]]
'''ইংরেজি''' বা '''ইংরাজি''' ({{lang|en|English}}) [[ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবার|ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাপরিবারের]] [[জার্মানীয় ভাষাসমূহ|জার্মানীয় শাখার]] পশ্চিম দলের একটি ভাষা। ইংরেজি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অধীত ভাষা, কথিত মাতৃভাষা হিসাবে এর অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। ইংরেজি কেভাষাকে বিশ্বের [[লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা]]-ও মনে করা হয়।
 
==ইতিহাস==
[[জার্মানীয় গোত্র]] অ্যাংগল্‌স, স্যাক্সন ও জুটদের ভাষা থেকে ইংরেজি ভাষার উৎপত্তি। এই গোত্রগুলি ৪৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে [[ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ|ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের]] দক্ষিণ ও পূর্ব উপকূলে পা রাখে এবং সেখানকার [[কেল্টীয় ভাষাসমূহ|কেল্টীয় ভাষাভাষী]] আদিবাসীদের উত্তরে ও পশ্চিমে [[স্কটল্যান্ড]], [[কর্নওয়াল]], [[ওয়েল্‌স]] ও [[আয়ারল্যান্ড|আয়ারল্যান্ডে]] হটিয়ে দেয়। এই হানাদার জার্মানীয় গোত্রগুলির মুখের ভাষাই [[প্রাচীন ইংরেজি]] ভাষার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। ৬০০ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ জার্মানিতে প্রচলিত উচ্চ জার্মান উপভাষাগুলিতে দ্বিতীয় বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটে। কিন্তু উত্তর [[জার্মানি]]তে প্রচলিত নিম্ন [[জার্মান উপভাষা]]গুলিতে ও [[ওলন্দাজ ভাষা]]য় দ্বিতীয়বারের মত ব্যঞ্জনধ্বনি সরণ ঘটেনি (এদের সাথেই ইংরেজির সবচেয়ে বেশি মিল দেখা যায়); এদের মত ইংরেজিতেও দ্বিতীয় ধ্বনি সরণ ঘটেনি। পরবর্তীতে ৮ম ও ৯ম শতকে [[নরওয়ে|নরওয়েজীয়]] [[ভাইকিং]] হানাদারদের [[প্রাচীন নর্স ভাষা|প্রাচীন নর্স ভাষাও]] প্রাচীন ইংরেজিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে।
 
[[১০৬৬]] সালে উত্তর [[ফ্রান্স|ফ্রান্সের]] [[নরমঁদি]] অঞ্চলে বসবাসকারী [[নর্মান জাতি]] [[ইংলিশ চ্যানেল]] নামক সমুদ্র প্রণালী পাড়ি দিয়ে [[ইংল্যান্ড]] আক্রমণ করে। নর্মানদের ইংল্যান্ড বিজয়ের পর প্রায় ৩০০ বছর ধরে ইংল্যান্ডের রাজারা ছিলেন নর্মান বংশোদ্ভূত এবং এসময় রাজকীয় ও প্রশাসনিক কাজকর্ম কেবল নর্মানদের কথ্য এক ধরনের প্রাচীন [[ফরাসি ভাষা|ফরাসি ভাষায়]] সম্পন্ন হত। এই যুগে বিপুল পরিমাণ ফরাসি শব্দ প্রাচীন ইংরেজি ভাষায় আত্মীকৃত হয়ে যায়, ইংরেজি ভাষার বেশির ভাগ বিভক্তি লুপ্ত হয় এবং ফলস্বরূপ [[মধ্য ইংরেজি ভাষা|মধ্য ইংরেজি ভাষার]] আবির্ভাব ঘটে। প্রাচীন ও মধ্য ইংরেজির সবচেয়ে বিখ্যাত সাহিত্যকর্মের মধ্যে আছে ''[[বেওউল্‌ফ]]'' এবং [[চসার|চসারের]] ''[[দ্য ক্যান্টারবেরি টেলস]]''।
 
[[১৫০০]] সালের দিকে বিরাট[[বৃহৎ স্বরধ্বনি সরণ]] সংঘটিত হয় এবং [[আধুনিক ইংরেজি|আধুনিক ইংরেজিরইংরেজি ভাষার]] উদ্ভব ঘটে। [[উইলিয়াম শেক্‌স্‌পিয়ার|শেক্‌সপিয়ারের]] রচনাসহ আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পুরোটাই এই আধুনিক ইংরেজিতে লেখা। ভাষা-গবেষণার আকরগ্রন্থ [[এথ্‌নোলগ]] অণুসারেঅনুসারে ইংরেজি ভাষার মাতৃভাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৪ কোটি। মাতৃভাষীর সংখ্যা অণুযায়ীঅনুযায়ী ইংরেজির স্থান [[ম্যান্ডারিন]], [[হিন্দি]] ও [[স্পেনীয় ভাষা|স্পেনীয় ভাষার]] পরেই।
 
প্রথমে [[ইংল্যান্ড]] ও পরে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের]] রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবের কারণে বিশ্বের অন্য যেকোন ভাষার চেয়ে ইংরেজিই বেশি বিস্তার লাভ করেছে। ইংরেজি প্রায় ৫২টি দেশের জাতীয় বা সরকারী ভাষা। বিশ্বের [[ইন্টারনেট]] ব্যবহারকারী জনসংখ্যার ৩৫ শতাংশই ইংরেজিভাষী। আধুনিক যোগাযোগে ও বিভিন্ন পেশায় ইংরেজির ব্যাপক ব্যবহারের কারণে এটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অধীত [[দ্বিতীয় ভাষা]]। সংস্কৃতি ও প্রযুক্তির নতুন নতুন আন্তর্জাতিক পরিভাষার অধিকাংশই ইংরেজি থেকে এসেছে।
 
== ভৌগোলিক বণ্টন ==
'''ইংরেজি ভাষা''' প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষা হিসেবে [[যুক্তরাজ্য]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]], [[কানাডা]], [[অস্ট্রেলিয়া]], [[প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড|আয়ারল্যান্ড]], [[নিউজিল্যান্ড]] ও অনেক [[ক্যারিবীয়]] দেশে স্বীকৃত। এছাড়া [[ভারত]], [[পাকিস্তান]], [[ফিলিপাইন]] ও অনেক [[আফ্রিকা]]ন দেশে ইংরেজি সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃত।
 
== আরও দেখুন ==